'আমিই রাষ্ট্র'এই ঘোষণা দিয়েছিলেন-
A
ত্রয়োদশ লুই
B
চতুর্দশ লুই
C
ষোড়শ লুই
D
পঞ্চদশ লুই
উত্তরের বিবরণ
চতুর্দশ লুই ছিলেন ফ্রান্সের সর্বময় ক্ষমতার প্রতীক হিসেবে পরিচিত একজন রাজা। তিনি নিজের শাসনক্ষমতার পরিপূর্ণতা প্রকাশ করতে বিখ্যাত উক্তি করেছিলেন “I am the State” (আমিই রাষ্ট্র)।
উক্তি: “আমিই রাষ্ট্র” (I am the State) — এটি চতুর্দশ লুই-এর বিখ্যাত উক্তি।
-
অর্থ: উক্তিটি তার একচ্ছত্র ক্ষমতার প্রকাশ ঘটায়; অর্থাৎ, রাষ্ট্রের সমস্ত ক্ষমতা তার মধ্যেই নিহিত।
-
শাসনকাল: তিনি ১৬৪৩ থেকে ১৭১৫ সাল পর্যন্ত ফ্রান্স শাসন করেন।

0
Updated: 17 hours ago
আরবদের সঙ্গে ভারতের ঘনিষ্ঠ সাংস্কৃতিক যোগাযোগ ঘটে-
Created: 14 hours ago
A
মহানবীর সময়ে
B
খোলাফায়ে রাশেদীনের যুগে
C
উমাইয়া যুগে
D
আঝাসীয় যুগে
উমাইয়া যুগে আরব ও ভারতের মধ্যে এক গভীর সাংস্কৃতিক যোগাযোগের সূত্রপাত ঘটে, যা পরবর্তী সময়ে দুই দেশের সংস্কৃতিতে স্থায়ী প্রভাব ফেলে।
উমাইয়া খলিফার নেতৃত্বে আরবরা ভারত আক্রমণ করে, যার ফলে রাজনৈতিক সম্পর্কের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানও শুরু হয়।
-
মুহাম্মদ বিন কাসিমের সিন্ধু বিজয় ছিল এই সাংস্কৃতিক সংযোগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা; এর ফলেই মুসলমান সংস্কৃতি ভারতীয় ঐতিহ্যের দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হয়।
-
আরবরা ভারতে এসে এখানকার উন্নত সভ্যতা ও সংস্কৃতি দেখে বিস্মিত হয়েছিল এবং ভারতীয় সঙ্গীতজ্ঞ, চিত্রশিল্পী, দার্শনিক, পণ্ডিত ও কারিগরদের প্রশংসা করেছিল।
-
ঐতিহাসিক তাবারির বিবরণে জানা যায়, অসুস্থ হলে খলিফা হারুন-উর-রশিদ ভারতীয় এক চিকিৎসকের চিকিৎসায় আরোগ্য লাভ করেন।
-
ভারতীয় চিকিৎসাশাস্ত্রের বহু গ্রন্থ আরবি ভাষায় অনূদিত হয়, যার মধ্যে শুশ্রুত ও চরকের গ্রন্থ বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
-
পশু-চিকিৎসা ও সর্পদংশন চিকিৎসা বিষয়ক কয়েকটি গ্রন্থও আরবিতে অনুবাদ করা হয়।
সব মিলিয়ে বোঝা যায়, আরবরা ভারতীয় চিকিৎসা ও সংস্কৃতির কাছে গভীরভাবে ঋণী, এবং উমাইয়া যুগে এই সাংস্কৃতিক বিনিময়ই ছিল দুই সভ্যতার মিলনের সূচনা।

0
Updated: 14 hours ago
বাবরের আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ 'তুজুগ-ই-বাবরী' কোন ভাষায় রচিত?
Created: 14 hours ago
A
আরবি
B
ফার্সি
C
উর্দু
D
তুর্কী
তুজুক-ই-বাবুরী হচ্ছে ভারতের মুগল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা জহিরুদ্দীন মুহাম্মদ বাবুরের আত্মজীবনী, যা বাবুরনামা বা বাবুরের স্মৃতিকথা নামেও পরিচিত। এই গ্রন্থে তার জীবনের অভিজ্ঞতা, যুদ্ধ, রাজনীতি ও সংস্কৃতিচর্চার বিবরণ পাওয়া যায়।
মূল তথ্যগুলো হলো—
-
এটি বাবুর নিজেই তুর্কি ভাষায় রচনা করেন।
-
পরবর্তীতে মুগল রাজকর্মচারী বৈরাম খান খান-ই-খানানের পুত্র আবদুর রহিম খান-ই-খানান একে ফারসি ভাষায় অনুবাদ করেন।
-
ইউরোপীয় পণ্ডিতদের মধ্যে এটি বিশেষভাবে সমাদৃত হয় এবং বিভিন্ন ইউরোপীয় ভাষায় অনূদিত হয়েছে।
-
গ্রন্থটি ইতিহাস, সাহিত্য ও সংস্কৃতির দিক থেকে মুগল যুগের এক অমূল্য দলিল হিসেবে বিবেচিত।

0
Updated: 14 hours ago
ব্রিটিশ ভারতে প্রথম শিক্ষা কমিশন (হান্টার কমিশন) হয়-
Created: 4 hours ago
A
১৮৮০ খ্রিঃ
B
১৮৮১ খ্রিঃ
C
১৮৮২ খ্রিঃ
D
১৮৮৩ খ্রিঃ
লর্ড রিপন ১৮৮২ সালে উইলিয়ম হান্টারকে চেয়ারম্যান করে প্রথম ইন্ডিয়ান এডুকেশন কমিশন গঠন করেন, যা ভারতে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
কমিশনের প্রধান সুপারিশগুলো ছিল:
-
সরকারি অনুদান ব্যবস্থার মাধ্যমে মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও ব্যবস্থাপনার হাতে তুলে দেওয়া।
-
স্কুলে অভ্যন্তরীণ ও প্রবেশিকা পরীক্ষা চালুর ব্যবস্থা করা।
-
মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ নিশ্চিত করা।
এই সুপারিশগুলো ভারতের শিক্ষাব্যবস্থায় ব্যক্তি উদ্যোগ ও মানসম্মত শিক্ষার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছিল।

0
Updated: 4 hours ago