কোন সূরায় সবচেয়ে বেশী উত্তরাধিকার সম্পদ বণ্টনের আলোচনা করা হয়েছে?
A
সুরা নিসা
B
সুরা মরিয়ম
C
সূরা আলে-ইমরান
D
সূরা আত-তাওবা
উত্তরের বিবরণ
পবিত্র কুরআনের সুরা আন্-নিসা (চতুর্থ সূরা) তে উত্তরাধিকার ও সম্পদ বণ্টন সম্পর্কে সবচেয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এই সূরায় আল্লাহ তায়ালা পরিবার ও সমাজে ন্যায়সঙ্গত সম্পদ বণ্টনের নীতি স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করেছেন।
-
এখানে উত্তরাধিকার সূত্রে সম্পদ বণ্টনের নির্দিষ্ট অংশ ও নিয়ম নির্ধারণ করা হয়েছে — পিতা-মাতা, স্ত্রী, সন্তান, ভাই-বোন ও অন্যান্য আত্মীয়ের মধ্যে কার কত অংশ প্রাপ্য তা ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
-
এতিমদের অধিকার রক্ষার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, যাতে তাদের সম্পদ অন্যরা আত্মসাৎ না করতে পারে।
-
এই সূরায় নারীদের উত্তরাধিকার ও আর্থিক অধিকারও সুনির্দিষ্টভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে, যা সে সময়ের সমাজে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ ছিল।
-
সুরা নিসা সমাজে ন্যায়, সমতা ও দায়িত্ববোধের ভিত্তিতে অর্থনৈতিক ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার শিক্ষা দেয়।
-
এতে সম্পদের সঠিক বণ্টনের মাধ্যমে অবিচার, বৈষম্য ও পারিবারিক বিবাদ প্রতিরোধের নীতিও নির্ধারিত হয়েছে।

0
Updated: 21 hours ago
কত হিজরিতে বদর যুদ্ধ সংগঠিত হয়?
Created: 1 day ago
A
প্রথম হিজরি
B
তৃতীয় হিজরি
C
পঞ্চম হিজরি
D
দ্বিতীয় হিজরি
বদরের যুদ্ধ ইসলামের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়, যা ইসলামের শক্তি ও বিশ্বাসের প্রথম সুস্পষ্ট বিজয় হিসেবে স্বীকৃত। এটি মদিনার মুসলমানদের সঙ্গে মক্কার কুরাইশদের মধ্যে সংঘটিত হয়েছিল এবং ইসলামের ভবিষ্যৎ ভিত্তি স্থাপনে বিশেষ ভূমিকা রেখেছিল।
পয়েন্ট আকারে—
-
বদরের যুদ্ধ সংঘটিত হয় ২ হিজরি, ১৭ রমজান (১৩ মার্চ ৬২৪ খ্রিষ্টাব্দ) তারিখে।
-
এটি ইসলামের ইতিহাসে প্রথম ও সবচেয়ে বড় যুদ্ধ হিসেবে পরিচিত।
-
যুদ্ধটি হয় মদিনার মুসলমান ও মক্কার কুরাইশদের মধ্যে।
-
মুসলমানদের নেতৃত্ব দেন নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আর কুরাইশদের নেতৃত্বে ছিলেন আবু জাহল।
-
মুসলমানদের সৈন্যসংখ্যা ছিল প্রায় ৩১৩ জন, আর কুরাইশদের সংখ্যা ছিল প্রায় এক হাজার।
-
আল্লাহর সাহায্যে মুসলমানরা এই যুদ্ধে বিজয় লাভ করে, যা ইসলামের অগ্রযাত্রার গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে বিবেচিত হয়।
-
বদরের বিজয় মুসলিম সমাজে ঐক্য, আত্মবিশ্বাস ও ঈমানের দৃঢ়তা বৃদ্ধি করে।

0
Updated: 1 day ago
বাইতুল হিকমাহ কোথায় অবস্থিত?
Created: 22 hours ago
A
মক্কায়
B
ইরানে
C
বাগদাদ
D
তুরস্ক
বাইতুল হিকমাহ ছিল আব্বাসীয় আমলে বাগদাদে প্রতিষ্ঠিত একটি বিখ্যাত গ্রন্থাগার ও অনুবাদকেন্দ্র, যা ইসলামি স্বর্ণযুগে জ্ঞানচর্চার অন্যতম কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। ইংরেজিতে একে “House of Wisdom” বলা হয়। এটি ছিল এমন একটি স্থান যেখানে বিভিন্ন ভাষার গ্রন্থ আরবিতে অনুবাদ করা হতো এবং বিজ্ঞান, গণিত ও জ্যোতির্বিদ্যার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।
-
এটি আব্বাসীয় খলিফা হারুনুর রশিদ ও তাঁর পুত্র আল-মামুনের আমলে সর্বাধিক সমৃদ্ধি লাভ করে।
-
এখানে গ্রিক, ফারসি, ভারতীয় ও সিরীয় উৎসের বহু গ্রন্থ অনূদিত হয়েছিল।
-
এই প্রতিষ্ঠানে আল-খোয়ারিজমি, হুনাইন ইবনে ইসহাক প্রমুখ পণ্ডিতরা কাজ করতেন।
-
এটি মধ্যযুগে ইউরোপে জ্ঞান ও বিজ্ঞানের পুনর্জাগরণে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছিল।
-
মঙ্গোলদের বাগদাদ আক্রমণের সময় (১২৫৮ খ্রিষ্টাব্দে) এই কেন্দ্র ধ্বংস হয়ে যায়।

0
Updated: 22 hours ago
জাহেলী যুগে উকাজ মেলা কিসের জন্য বিখ্যাত ছিল?
Created: 22 hours ago
A
ঘোড়া দৌড়ের প্রতিযোগিতার জন্য
B
বংশ মর্যাদা বিষয়ক পুঁথিপাঠের জন্য
C
বিখ্যাত কবিতা ও সাহিত্য চর্চার জন্য
D
সামাজিক বিচার ও সালিশের জন্য
উকাজ ছিল মক্কার নিকটবর্তী এক গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক মেলা, যা প্রাচীন আরব সমাজে বিশেষ মর্যাদা লাভ করেছিল। এটি বছরে নির্দিষ্ট সময়ে অনুষ্ঠিত হতো এবং আরবের বিভিন্ন কাবিলা এতে অংশগ্রহণ করত।
-
এটি মূলত জাহেলী যুগের (Pre-Islamic Arabia) এক বিখ্যাত মিলনমেলা, যেখানে বাণিজ্য, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সমন্বয় ঘটত।
-
মেলায় বিভিন্ন কাবিলার মানুষ এসে বাণিজ্যিক লেনদেন করত এবং নিজেদের কবিতা ও সাহিত্যকর্ম উপস্থাপন করত।
-
এখানে কবিতা পাঠ ও সাহিত্য প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হতো, যা আরবদের সামাজিক মূল্যবোধ, বীরত্ব ও নৈতিকতা প্রকাশের মাধ্যম ছিল।
-
ইম্বার, হামসা, আমর ইবন কাব, আমর ইবন আব্দুল্লাহ প্রমুখ খ্যাতনামা কবিরা তাঁদের কাব্য এখানে আবৃত্তি করতেন।
-
এই মেলা আরব সমাজে কাব্য ও ভাষাশিল্পের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
উকাজের মাধ্যমে আরব জাতি সাংস্কৃতিক ঐক্য, ভাষাগত উৎকর্ষ ও সাহিত্যিক পরিচিতি অর্জন করেছিল।

0
Updated: 22 hours ago