মদিনায় গিয়ে রাসুল (সাঃ) সর্বপ্রথম কার মেহমান হন?
A
আবু আইয়ুব আনসারী (রাঃ)
B
আব্দুর রাহমান বিন আউফ (রাঃ)
C
আবু জার গিফারী (রাঃ)
D
মুসআব ইবনু উমাইর
উত্তরের বিবরণ
মদিনায় হিজরতের পর নবী করিম (সা.) যখন সেখানে পৌঁছান, তখন তিনি সর্বপ্রথম হযরত আবু আইয়ুব আনসারী (রা.)-এর ঘরে মেহমান হন। তিনি ছিলেন নবীর প্রতি অতুলনীয় ভালোবাসা ও আতিথেয়তার উদাহরণ।
-
তাঁর আসল নাম ছিল খালেদ ইবনে জায়েদ ইবনে কুলাইব।
-
নবী (সা.)-এর আগমনে মদিনার লোকেরা নিজেদের ঘরে তাঁকে আতিথ্য দেওয়ার অনুরোধ করলেও, উটের থামার স্থানে নবী (সা.) থাকার সিদ্ধান্ত নেন, আর সেটিই ছিল আবু আইয়ুব (রা.)-এর বাড়ি।
-
নবী (সা.) কিছু দিন তাঁর ঘরের নিচতলায় অবস্থান করেন এবং ইসলামী সমাজ গঠনের ভিত্তি স্থাপন শুরু করেন।
-
হযরত আবু আইয়ুব আনসারী (রা.) পরবর্তীতে জিহাদে অংশগ্রহণ ও ইসলামের প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
-
তাঁর মাজার বর্তমানে ইস্তানবুলে (তুরস্ক) অবস্থিত এবং এটি মুসলমানদের জন্য এক ঐতিহাসিক স্মৃতিচিহ্ন।

0
Updated: 21 hours ago
হিকমা অর্থ কী?
Created: 21 hours ago
A
প্রজ্ঞা
B
সবর
C
নীতি
D
খবর
এই আয়াতে ইসলামী দাওয়াতের মূলনীতি স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে, যেখানে মানুষকে আল্লাহর পথে আহ্বান করার সময় জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও সৌজন্যের ব্যবহার অপরিহার্য বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১. উক্ত আয়াতটি পবিত্র কুরআনের সূরা আন-নাহল (১৬:১২৫) থেকে উদ্ধৃত।
২. এখানে আল্লাহ বলেন— “তুমি তোমার রবের পথে প্রজ্ঞা (হিকমাহ) ও সুন্দর উপদেশের মাধ্যমে আহ্বান কর এবং সুন্দরতম পন্থায় বিতর্ক কর।”
৩. ‘হিকমাহ’ শব্দের অর্থ প্রজ্ঞা, যা গভীর জ্ঞান, বোধ ও সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতাকে নির্দেশ করে।
4. কুরআনের বিভিন্ন স্থানে ‘হিকমাহ’ শব্দটি প্রজ্ঞা, অন্তর্দৃষ্টি ও সত্যনিষ্ঠ বুদ্ধিমত্তা অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
৫. ইসলামী দাওয়াতের মূল শিক্ষা হলো— মানুষকে রূঢ়তা বা জোরজবরদস্তি নয়, বরং যুক্তি, নৈতিকতা ও সৌজন্যের মাধ্যমে সত্যের পথে আহ্বান করা।
৬. এ নীতির মাধ্যমে ইসলামী শিক্ষা সমাজে সহনশীলতা, যুক্তিনিষ্ঠ আলোচনা ও পারস্পরিক সম্মান প্রতিষ্ঠা করতে উৎসাহিত করে।

0
Updated: 21 hours ago
‘দেবতাভীতি হতে মুক্ত হতে না পারলে মানবজাতি কখনো স্বাধীন হতে পারে না' এটা কার উক্তি?
Created: 22 hours ago
A
এরিস্টটল
B
জর্জ বার্নার্ড শ
C
ইপিকিউরাস
D
ইবনে সিনা
ইপিকিউরাস ছিলেন প্রাচীন গ্রিক চিন্তাধারার একজন বিশিষ্ট দার্শনিক, যিনি মানবজীবনের প্রকৃত সুখকে ভয় ও কুসংস্কারমুক্ত মানসিক শান্তিতে খুঁজে পেয়েছিলেন। তাঁর চিন্তায় মুক্তি মানে ছিল আত্মিক প্রশান্তি ও বুদ্ধিবৃত্তিক স্বচ্ছতা অর্জন করা।
১. উক্তি — “দেবতাভীতি হতে মুক্ত হতে না পারলে মানবজাতি কখনো স্বাধীন হতে পারে না।” — এর মাধ্যমে তিনি মানুষকে অযৌক্তিক ভয় ও ধর্মীয় কুসংস্কার থেকে মুক্তির আহ্বান জানান।
২. ইপিকিউরাস (খ্রিষ্টপূর্ব ৩৪১–২৭০) ছিলেন একজন প্রাচীন গ্রিক দার্শনিক।
৩. তিনি “Epicureanism” নামের দর্শনধারার প্রবর্তক, যার মূল ভিত্তি হলো আনন্দ ও মানসিক প্রশান্তি (Ataraxia)।
৪. তাঁর মতে, প্রকৃত সুখ আসে দেবতা, মৃত্যু ও অজানার ভয় থেকে মুক্তি লাভের মাধ্যমে।
৫. তিনি বিশ্বাস করতেন যে, মানুষ যদি যুক্তি ও জ্ঞানের দ্বারা জীবন পরিচালনা করে, তবে ভয়, কুসংস্কার ও দুঃখ থেকে মুক্তি সম্ভব।
৬. ইপিকিউরাসের দর্শন পরবর্তীতে পাশ্চাত্য চিন্তাধারায় নৈতিকতা, আত্মসংযম ও সুখবাদ (Hedonism) সম্পর্কে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে।

0
Updated: 22 hours ago
কোন্ যুদ্ধে অধিক সংখ্যক হাফিজে কুরআন শহীদ হয়?
Created: 22 hours ago
A
খন্দকের যুদ্ধে
B
হুনাইনের যুদ্ধে
C
তাবুকের যুদ্ধে
D
ইয়ামামার যুদ্ধে
ইয়ামামার যুদ্ধ ছিল ইসলামের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক যুদ্ধ, যেখানে অসংখ্য সাহাবি শাহাদাত বরণ করেন। এই যুদ্ধে ভণ্ড নবী মুসাইলিমা কজ্জাবের অনুসারীদের বিরুদ্ধে মুসলমানরা লড়াই করেছিলেন।
-
এই যুদ্ধে প্রায় ৭০ জন হাফেজে কুরআন শাহাদাত বরণ করেন।
-
এত অধিক সংখ্যক হাফেজের শাহাদতের কারণে কুরআন হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়।
-
ফলে খলিফা আবু বকর (রা.) সাহাবিদের পরামর্শে কুরআন সংকলনের নির্দেশ দেন।
-
এই সংকলনের দায়িত্ব পালন করেন হজরত যায়েদ ইবন সাবিত (রা.), যিনি নবী করিম (সা.)-এর ওহি লেখক ছিলেন।
-
ইয়ামামার যুদ্ধের এই ঘটনা কুরআন সংরক্ষণের ইতিহাসে একটি মোড় ঘোরানো ঘটনা হিসেবে বিবেচিত।

0
Updated: 22 hours ago