হিকমা অর্থ কী?
A
প্রজ্ঞা
B
সবর
C
নীতি
D
খবর
উত্তরের বিবরণ
এই আয়াতে ইসলামী দাওয়াতের মূলনীতি স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে, যেখানে মানুষকে আল্লাহর পথে আহ্বান করার সময় জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও সৌজন্যের ব্যবহার অপরিহার্য বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১. উক্ত আয়াতটি পবিত্র কুরআনের সূরা আন-নাহল (১৬:১২৫) থেকে উদ্ধৃত।
২. এখানে আল্লাহ বলেন— “তুমি তোমার রবের পথে প্রজ্ঞা (হিকমাহ) ও সুন্দর উপদেশের মাধ্যমে আহ্বান কর এবং সুন্দরতম পন্থায় বিতর্ক কর।”
৩. ‘হিকমাহ’ শব্দের অর্থ প্রজ্ঞা, যা গভীর জ্ঞান, বোধ ও সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতাকে নির্দেশ করে।
4. কুরআনের বিভিন্ন স্থানে ‘হিকমাহ’ শব্দটি প্রজ্ঞা, অন্তর্দৃষ্টি ও সত্যনিষ্ঠ বুদ্ধিমত্তা অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
৫. ইসলামী দাওয়াতের মূল শিক্ষা হলো— মানুষকে রূঢ়তা বা জোরজবরদস্তি নয়, বরং যুক্তি, নৈতিকতা ও সৌজন্যের মাধ্যমে সত্যের পথে আহ্বান করা।
৬. এ নীতির মাধ্যমে ইসলামী শিক্ষা সমাজে সহনশীলতা, যুক্তিনিষ্ঠ আলোচনা ও পারস্পরিক সম্মান প্রতিষ্ঠা করতে উৎসাহিত করে।

0
Updated: 21 hours ago
জাহেলী যুগে উকাজ মেলা কিসের জন্য বিখ্যাত ছিল?
Created: 21 hours ago
A
ঘোড়া দৌড়ের প্রতিযোগিতার জন্য
B
বংশ মর্যাদা বিষয়ক পুঁথিপাঠের জন্য
C
বিখ্যাত কবিতা ও সাহিত্য চর্চার জন্য
D
সামাজিক বিচার ও সালিশের জন্য
উকাজ ছিল মক্কার নিকটবর্তী এক গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক মেলা, যা প্রাচীন আরব সমাজে বিশেষ মর্যাদা লাভ করেছিল। এটি বছরে নির্দিষ্ট সময়ে অনুষ্ঠিত হতো এবং আরবের বিভিন্ন কাবিলা এতে অংশগ্রহণ করত।
-
এটি মূলত জাহেলী যুগের (Pre-Islamic Arabia) এক বিখ্যাত মিলনমেলা, যেখানে বাণিজ্য, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সমন্বয় ঘটত।
-
মেলায় বিভিন্ন কাবিলার মানুষ এসে বাণিজ্যিক লেনদেন করত এবং নিজেদের কবিতা ও সাহিত্যকর্ম উপস্থাপন করত।
-
এখানে কবিতা পাঠ ও সাহিত্য প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হতো, যা আরবদের সামাজিক মূল্যবোধ, বীরত্ব ও নৈতিকতা প্রকাশের মাধ্যম ছিল।
-
ইম্বার, হামসা, আমর ইবন কাব, আমর ইবন আব্দুল্লাহ প্রমুখ খ্যাতনামা কবিরা তাঁদের কাব্য এখানে আবৃত্তি করতেন।
-
এই মেলা আরব সমাজে কাব্য ও ভাষাশিল্পের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
উকাজের মাধ্যমে আরব জাতি সাংস্কৃতিক ঐক্য, ভাষাগত উৎকর্ষ ও সাহিত্যিক পরিচিতি অর্জন করেছিল।

0
Updated: 21 hours ago
বিদায়ী হজ্জের ভাষণে কোন্ মৌলিক নীতির প্রতি জোর দেওয়া হয়েছে?
Created: 21 hours ago
A
যুদ্ধ কৌশল
B
যুদ্ধ বিলোপ
C
নারী অধিকার
D
মানবতার মর্যাদা ও ক্ষমতা
বিদায় হজের ভাষণ ছিল মানবতার মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠার এক অনন্য দৃষ্টান্ত, যেখানে রাসুলুল্লাহ ﷺ মানবজাতির ন্যায়, সমতা ও ভ্রাতৃত্বের নীতিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন। এটি শুধু ধর্মীয় নির্দেশ নয়, বরং সমগ্র মানবসমাজের জন্য এক সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা হিসেবে বিবেচিত হয়।
-
মানুষের জীবন, সম্পদ ও মর্যাদা পবিত্র, এগুলোর প্রতি আঘাত বা অবমাননা করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
-
জাতি, বর্ণ ও ভাষার কোনো শ্রেষ্ঠত্ব নেই, প্রকৃত মর্যাদা নির্ধারিত হয় কেবল তাকওয়া ও সৎকর্মের ভিত্তিতে।
-
নারীদের অধিকার সুরক্ষিত করার ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়, যাতে পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
সমাজে ন্যায়বিচার, ভ্রাতৃত্ব, সহমর্মিতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধা বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
-
সুদ, রক্তপাত ও অন্যায়ের সকল রূপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সমাজে শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানানো হয়।
-
এই ভাষণ মানবসভ্যতার ইতিহাসে এমন এক দলিল, যেখানে মানবতার মর্যাদা ও সমতার মূলনীতি সবচেয়ে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।

0
Updated: 21 hours ago
হযরত আয়েশা (রাঃ) কয়টি হাদিস বর্ণনা করেন?
Created: 22 hours ago
A
৩২১০
B
২২১০
C
২২১৭
D
৩০২১
উম্মুল মুমিনিন আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হাদীস বর্ণনায় অন্যতম বিশিষ্ট সাহাবিয়া ছিলেন। তিনি নবী করিম (সঃ)-এর নিকটতম সঙ্গী ও জীবনসঙ্গী হিসেবে বহু হাদীস প্রত্যক্ষভাবে শুনে তা সংরক্ষণ ও প্রচার করেছেন।
-
তাঁর বর্ণিত হাদীসের সংখ্যা ২২১০টি।
-
তিনি মুকছিরিন পর্যায়ের রাবিদের অন্তর্ভুক্ত, অর্থাৎ যাঁরা প্রচুর সংখ্যক হাদীস বর্ণনা করেছেন।
-
হাদীস বর্ণনার সংখ্যার দিক থেকে তাঁর অবস্থান চতুর্থ (৪র্থ)।
-
তাঁর বর্ণিত হাদীসসমূহে নারী-সংক্রান্ত বিষয়, গৃহস্থালি আচরণ, ইবাদত ও শরীয়ত সম্পর্কিত বিশদ নির্দেশনা পাওয়া যায়।
-
আয়েশা (রা.) ছিলেন জ্ঞানের ক্ষেত্রে গভীর প্রাজ্ঞ, এবং সাহাবিরা কঠিন ধর্মীয় বিষয়ে তাঁর পরামর্শ গ্রহণ করতেন।
-
হাদীস সংরক্ষণ ও প্রচারে তাঁর অবদান ইসলামী জ্ঞানের ইতিহাসে এক অনন্য স্থান দখল করে আছে।

0
Updated: 22 hours ago