মহা নবী (সাঃ) কোন ইবাদাতকে সেতুবন্ধন হিসেবে উল্লেখ করেন?
A
নামাজ
B
রোজা
C
যাকাত
D
হজ্জ
উত্তরের বিবরণ
নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যাকাতকে “ইসলামের সেতুবন্ধন” বলেছেন, কারণ এটি সমাজে ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে সম্পর্ক, সহানুভূতি ও ভারসাম্য সৃষ্টি করে। যাকাত শুধু একটি আর্থিক দান নয়, বরং এটি একটি সামাজিক ও নৈতিক দায়িত্ব, যা সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
যাকাত ধনীদের সম্পদ থেকে নির্ধারিত অংশ দরিদ্রদের মাঝে বণ্টনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক বৈষম্য কমায়।
-
এটি দরিদ্র ও অভাবী মানুষের কষ্ট লাঘব করে এবং তাদের জীবনে স্বস্তি আনে।
-
যাকাত সমাজে শান্তি, সম্প্রীতি ও ঐক্যের বন্ধন দৃঢ় করে।
-
এটি মানুষের মধ্যে আত্মসংযম, ত্যাগ ও আল্লাহভীতি জাগ্রত করে।
-
ইসলামী অর্থব্যবস্থায় যাকাতকে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও সামাজিক নিরাপত্তার মূলভিত্তি হিসেবে গণ্য করা হয়।
-
ফলে যাকাত কেবল দান নয়, বরং একটি সমন্বিত কল্যাণনীতি, যা সমাজকে ন্যায় ও সমতার পথে পরিচালিত করে।

0
Updated: 21 hours ago
‘সমগ্র সৃষ্টিই আল্লাহর পরিজন' এটা কার উক্তি?
Created: 1 day ago
A
মহানবী (সাঃ)
B
আবু হানিফা
C
কুরআনের বাণী
D
হযরত আবু বকর (রাঃ) এর উক্তি
এই হাদীসটি মানবতা ও দয়ার প্রতি ইসলামের গভীর দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করে, যেখানে সমগ্র সৃষ্টিকে আল্লাহর পরিবারের সদস্য হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে আল্লাহর সৃষ্টির প্রতি সহানুভূতি, করুণা ও সদ্ব্যবহারকে উৎসাহিত করা হয়েছে।
-
হাদীসটি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর বাণী, যেখানে বলা হয়েছে: “الْخَلْقُ عِيَالُ اللَّهِ” অর্থাৎ সমস্ত সৃষ্টি আল্লাহর পরিজন বা পরিবারের সদস্য।
-
এই হাদীসটি আনাস (রা.) ও আবদুল্লাহ (রা.) হতে বর্ণিত।
-
নবী করিম (সা.) বলেন, আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় সেই ব্যক্তি, যে আল্লাহর পরিবারের প্রতি অনুগ্রহশীল ও দয়ালু।
-
এই বাণীর মূল শিক্ষা হলো— মানুষ হোক বা অন্য কোনো প্রাণী, প্রত্যেক সৃষ্টিই আল্লাহর সৃষ্টি, তাই তাদের প্রতি ভালোবাসা, সাহায্য ও সহমর্মিতা প্রদর্শন ইবাদতের অংশ।
-
এটি প্রমাণ করে যে, ইসলামে মানবসেবা, সামাজিক দয়া ও ন্যায়পরায়ণতা আল্লাহর সন্তুষ্টির অন্যতম উপায়।
-
হাদীসটি মুসলমানদের মনে সার্বজনীন কল্যাণ ও মানবিক দায়িত্ববোধ জাগ্রত করার আহ্বান জানায়।

0
Updated: 1 day ago
যাকাত প্রদান অস্বীকারকারীদের বিরুদ্ধে কে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন?
Created: 21 hours ago
A
হযরত আলী (রাঃ)
B
হযরত ওমর (রাঃ)
C
হযরত ওসমান (রাঃ)
D
হযরত আবু বকর (রাঃ)
হযরত আবু বকর (রা.), ইসলামের প্রথম খলিফা হিসেবে, যাকাত দিতে অস্বীকারকারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। তিনি এটিকে শুধু আর্থিক অমান্যতা নয়, বরং ইসলামের একটি মৌলিক স্তম্ভের প্রতি অবজ্ঞা হিসেবে দেখেছিলেন।
-
নবী করিম (সা.)-এর wafat-এর পর কিছু গোত্র যাকাত প্রদান বন্ধ করে দেয় এবং এটিকে তাদের ব্যক্তিগত সম্পদের অধিকার বলে দাবি করে।
-
হযরত আবু বকর (রা.) দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করেন, যে ব্যক্তি সালাত ও যাকাতের মধ্যে পার্থক্য করে, তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা হবে।
-
তাঁর এই সিদ্ধান্তে অনেক সাহাবি প্রথমে দ্বিধাগ্রস্ত হলেও পরে হযরত উমর (রা.) তাঁর অবস্থানের সমর্থন করেন।
-
এই যুদ্ধে মুসলমানরা বিজয়ী হন, এবং ফলস্বরূপ ইসলামের অর্থনৈতিক ও ধর্মীয় শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়।
-
ইতিহাসে এই যুদ্ধগুলো পরিচিত “হুরুবুর রিদ্দা” (বিদ্রোহ দমন যুদ্ধ) নামে।হযরত আবু বকর (রা.), ইসলামের প্রথম খলিফা হিসেবে, যাকাত দিতে অস্বীকারকারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। তিনি এটিকে শুধু আর্থিক অমান্যতা নয়, বরং ইসলামের একটি মৌলিক স্তম্ভের প্রতি অবজ্ঞা হিসেবে দেখেছিলেন।
-
নবী করিম (সা.)-এর wafat-এর পর কিছু গোত্র যাকাত প্রদান বন্ধ করে দেয় এবং এটিকে তাদের ব্যক্তিগত সম্পদের অধিকার বলে দাবি করে।
-
হযরত আবু বকর (রা.) দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করেন, যে ব্যক্তি সালাত ও যাকাতের মধ্যে পার্থক্য করে, তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা হবে।
-
তাঁর এই সিদ্ধান্তে অনেক সাহাবি প্রথমে দ্বিধাগ্রস্ত হলেও পরে হযরত উমর (রা.) তাঁর অবস্থানের সমর্থন করেন।
-
এই যুদ্ধে মুসলমানরা বিজয়ী হন, এবং ফলস্বরূপ ইসলামের অর্থনৈতিক ও ধর্মীয় শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়।
-
ইতিহাসে এই যুদ্ধগুলো পরিচিত “হুরুবুর রিদ্দা” (বিদ্রোহ দমন যুদ্ধ) নামে।
-

0
Updated: 21 hours ago
হিজরতের পর ইসলামের প্রথম সৃষ্ট সামাজিক বন্ধন কী নামে পরিচিত?
Created: 22 hours ago
A
মুয়াখাত (ভাই ভাই)
B
আখলাকী বন্ধন
C
মদিনা সনদ
D
বৈমাত্রেয় ভাই
হিজরতের পর ইসলামি সমাজে একটি নতুন সামাজিক কাঠামো প্রতিষ্ঠিত হয়, যার মূল ভিত্তি ছিল মুহাজির ও আনসারদের ভ্রাতৃত্ব বা মুখাওয়াত। রাসুলুল্লাহ (সা.) মদিনায় আগমনের পর মক্কার মুহাজির ও মদিনার আনসারদের মধ্যে এই ভ্রাতৃত্ব স্থাপন করেন, যা মুসলমানদের পারস্পরিক ঐক্য, সহানুভূতি ও সহযোগিতার দৃষ্টান্ত তৈরি করে।
-
মুখাওয়াত ছিল ইসলামের প্রথম সামাজিক বন্ধন, যা সমাজে ভ্রাতৃত্ব ও সমতার ভিত্তি স্থাপন করে।
-
মদিনার আনসাররা মুহাজিরদের সহায়তা ও আশ্রয় দেন, ফলে তারা অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারেন।
-
এই বন্ধনের মাধ্যমে মুসলিম সমাজে পারস্পরিক সহমর্মিতা ও ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
এটি পরবর্তীতে ইসলামি সমাজব্যবস্থার একটি মূল নীতি হিসেবে গণ্য হয়, যেখানে মুসলমানরা একে অপরের ভাই হিসেবে বিবেচিত।
-
মুখাওয়াতের মাধ্যমে ইসলামী সমাজে জাতি, বংশ ও শ্রেণিবৈষম্য বিলুপ্ত হয়ে মানবিক মূল্যবোধের বিকাশ ঘটে।

0
Updated: 22 hours ago