যাকাত প্রদান অস্বীকারকারীদের বিরুদ্ধে কে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন?
A
হযরত আলী (রাঃ)
B
হযরত ওমর (রাঃ)
C
হযরত ওসমান (রাঃ)
D
হযরত আবু বকর (রাঃ)
উত্তরের বিবরণ
হযরত আবু বকর (রা.), ইসলামের প্রথম খলিফা হিসেবে, যাকাত দিতে অস্বীকারকারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। তিনি এটিকে শুধু আর্থিক অমান্যতা নয়, বরং ইসলামের একটি মৌলিক স্তম্ভের প্রতি অবজ্ঞা হিসেবে দেখেছিলেন।
-
নবী করিম (সা.)-এর wafat-এর পর কিছু গোত্র যাকাত প্রদান বন্ধ করে দেয় এবং এটিকে তাদের ব্যক্তিগত সম্পদের অধিকার বলে দাবি করে।
-
হযরত আবু বকর (রা.) দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করেন, যে ব্যক্তি সালাত ও যাকাতের মধ্যে পার্থক্য করে, তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা হবে।
-
তাঁর এই সিদ্ধান্তে অনেক সাহাবি প্রথমে দ্বিধাগ্রস্ত হলেও পরে হযরত উমর (রা.) তাঁর অবস্থানের সমর্থন করেন।
-
এই যুদ্ধে মুসলমানরা বিজয়ী হন, এবং ফলস্বরূপ ইসলামের অর্থনৈতিক ও ধর্মীয় শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়।
-
ইতিহাসে এই যুদ্ধগুলো পরিচিত “হুরুবুর রিদ্দা” (বিদ্রোহ দমন যুদ্ধ) নামে।হযরত আবু বকর (রা.), ইসলামের প্রথম খলিফা হিসেবে, যাকাত দিতে অস্বীকারকারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। তিনি এটিকে শুধু আর্থিক অমান্যতা নয়, বরং ইসলামের একটি মৌলিক স্তম্ভের প্রতি অবজ্ঞা হিসেবে দেখেছিলেন।
-
নবী করিম (সা.)-এর wafat-এর পর কিছু গোত্র যাকাত প্রদান বন্ধ করে দেয় এবং এটিকে তাদের ব্যক্তিগত সম্পদের অধিকার বলে দাবি করে।
-
হযরত আবু বকর (রা.) দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করেন, যে ব্যক্তি সালাত ও যাকাতের মধ্যে পার্থক্য করে, তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা হবে।
-
তাঁর এই সিদ্ধান্তে অনেক সাহাবি প্রথমে দ্বিধাগ্রস্ত হলেও পরে হযরত উমর (রা.) তাঁর অবস্থানের সমর্থন করেন।
-
এই যুদ্ধে মুসলমানরা বিজয়ী হন, এবং ফলস্বরূপ ইসলামের অর্থনৈতিক ও ধর্মীয় শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়।
-
ইতিহাসে এই যুদ্ধগুলো পরিচিত “হুরুবুর রিদ্দা” (বিদ্রোহ দমন যুদ্ধ) নামে।
-

0
Updated: 21 hours ago
বিবাহের রোকন কী?
Created: 1 day ago
A
দুইজন সাক্ষী
B
উভয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া
C
ইজাব কবুল
D
গণ্যমান্য মেহমান উপস্থিত থাকা
ইসলামে বিবাহ একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি, যা নির্দিষ্ট শর্ত ও নিয়মের মাধ্যমে সম্পাদিত হয়। এর মূল ভিত্তি বা রুকন হলো ‘ইজাব ও কবুল’, অর্থাৎ প্রস্তাব ও গ্রহণ।
-
ইজাব বলতে বোঝায় কনের অভিভাবক বা প্রতিনিধির পক্ষ থেকে বিয়ের প্রস্তাব প্রদান।
-
কবুল হলো বরের পক্ষ থেকে সেই প্রস্তাব গ্রহণ করা, যা বিবাহের বৈধতা নিশ্চিত করে।
-
এই প্রক্রিয়াটি অবশ্যই দুজন প্রাপ্তবয়স্ক সাক্ষীর উপস্থিতিতে সম্পন্ন হতে হবে, যাতে বিবাহ প্রকাশ্য ও স্বীকৃত হয়।
-
ইজাব ও কবুল স্পষ্ট ও সম্মতভাবে উচ্চারণ করা জরুরি, যাতে কোনো পক্ষের অনিচ্ছা না থাকে।
-
এই বিধান ইসলামে ন্যায়, সম্মতি ও সামাজিক স্বচ্ছতার ভিত্তিতে বিবাহ প্রতিষ্ঠার প্রতীক।

0
Updated: 1 day ago
যে হাদিস বুখারী ও মুসলিমে একই সনদ ও মতনে বর্ণিত তাকে বলে-
Created: 22 hours ago
A
মুত্তাফাকুন লাহু
B
মুত্তাফাকুন ফীহে
C
মুত্তাফাকুন আলাইহি
D
মুত্তাফাকুন আনহু
মুত্তাফাকুন আলাইহি এমন হাদীসকে বলা হয়, যা ইমাম আল-বুখারী (রহ.) ও ইমাম মুসলিম (রহ.) উভয়ে তাঁদের সহীহ গ্রন্থে একই বর্ণনায় একসাথে উল্লেখ করেছেন। এটি হাদীসের সর্বোচ্চ নির্ভরযোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতার প্রতীক হিসেবে গণ্য হয়।
-
“মুত্তাফাকুন আলাইহি” শব্দের অর্থ হলো উভয়ের মধ্যে ঐকমত্য রয়েছে।
-
এই ধরনের হাদীসকে সহীহুল সহীহ অর্থাৎ সবচেয়ে সহীহ হাদীসগুলোর মধ্যে ধরা হয়।
-
কারণ, সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিম উভয় গ্রন্থই সবচেয়ে প্রামাণিক হাদীস সংকলন হিসেবে স্বীকৃত।
-
মুত্তাফাকুন আলাইহি হাদীসের উপস্থিতি কোনো বিষয়ের নিশ্চিত ও অকাট্য প্রমাণ হিসেবে বিবেচিত হয়।
-
ইসলামী ফিকহ, আকীদাহ ও নৈতিক শিক্ষায় এ ধরনের হাদীসের বিশেষ গুরুত্ব ও প্রভাব বিদ্যমান।

0
Updated: 22 hours ago
ব্যাভিচার প্রমান করার জন্য কতজন লোকের সাক্ষ্য প্রয়োজন?
Created: 1 day ago
A
৪ জন
B
৬ জন
C
২ জন
D
৩ জন
নিচে দেওয়া বাক্যটির অর্থ ও স্পষ্টতা বজায় রেখেই সংক্ষেপে পুনঃলিখন করা হল।
-
যেসব নারী ব্যভিচার করবে, তাদের বিরুদ্ধে চারজন পুরুষের সাক্ষ্য গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
-
যদি ওই চারজন সাক্ষ্য প্রদান করে, তাহলে ঐ নারীকে গৃহে আবদ্ধ করে রাখা হবে।
-
আবদ্ধ রাখার মেয়াদ হলো যতক্ষণ না তাদের মৃত্যু হয় বা আল্লাহ তাদের জন্য কোনো পৃথক পথ বের করেন।

0
Updated: 1 day ago