সমাজ বিজ্ঞানের জনক কে?
A
ইবনু তাইমিয়া
B
ইবনু খালদুন
C
ইবনু খালদুন
D
ইবনু হাযম
উত্তরের বিবরণ
ইবনে খালদুন সমাজবিজ্ঞানের জনক হিসেবে পরিচিত, কারণ তিনিই প্রথম সমাজ ও সভ্যতার বিকাশকে বৈজ্ঞানিক ও বিশ্লেষণমূলক দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করেন। তাঁর রচিত গ্রন্থ ‘মুকাদ্দিমা’ সমাজ, ইতিহাস ও অর্থনীতির পারস্পরিক সম্পর্ক বোঝার ক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী অবদান রাখে।
-
ইবনে খালদুন সমাজ অধ্যয়নে অভিজ্ঞতাভিত্তিক পর্যবেক্ষণ ও বাস্তব বিশ্লেষণের প্রয়োগ শুরু করেন।
-
তিনি ইতিহাসকে শুধুমাত্র ঘটনা-নির্ভর নয়, বরং সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিশ্লেষণযোগ্য বিজ্ঞান হিসেবে দেখেন।
-
তাঁর মতে, সমাজের বিকাশ নির্ভর করে অর্থনৈতিক অবস্থা, নেতৃত্ব ও সামাজিক সংহতির (আসাবিয়্যা) ওপর।
-
‘মুকাদ্দিমা’ গ্রন্থে তিনি সভ্যতার উত্থান, বিকাশ ও পতনের একটি বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা প্রদান করেন।
-
আধুনিক সমাজবিজ্ঞান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও অর্থনীতির বহু ধারণার মূল ভিত্তি ইবনে খালদুনের চিন্তাধারার মধ্যেই নিহিত।

0
Updated: 21 hours ago
পুনর্জন্ম কোন দুটি ধর্মের মূলনীতি?
Created: 21 hours ago
A
হিন্দু ও বৌদ্ধ
B
বৌদ্ধ ও ইহুদী
C
হিন্দু ও খ্রিস্টান
D
ইহুদী ও খ্রিস্টান
হিন্দুধর্ম ও বৌদ্ধধর্ম উভয়ই পুনর্জন্ম বা আত্মার পুনরাবর্তনের ধারণাকে কেন্দ্র করে গঠিত দুটি প্রধান ধর্ম। এই বিশ্বাস অনুসারে, আত্মা মৃত্যুর পর সম্পূর্ণভাবে বিলীন হয় না বরং পূর্বজীবনের কর্মফলের ভিত্তিতে নতুন জীবনে প্রবেশ করে।
১. পুনর্জন্মের মূলনীতি উভয় ধর্মেই মানবজীবনের ধারাবাহিকতা ও কর্মফলের ন্যায়বিচারের প্রতিফলন হিসেবে বিবেচিত।
২. কর্ম (Karma) এখানে মূল ভূমিকা পালন করে— পূর্বজন্মের ভালো বা মন্দ কাজ পরবর্তী জন্মের অবস্থান নির্ধারণ করে।
৩. এই প্রক্রিয়া এক অন্তহীন জন্ম-মৃত্যুর চক্র (সংসার) সৃষ্টি করে, যা অব্যাহত থাকে যতক্ষণ না আত্মা মুক্তি লাভ করে।
৪. হিন্দুধর্মে এই মুক্তিকে “মোক্ষ” বলা হয়, আর বৌদ্ধধর্মে একে “নির্বাণ” বলা হয়।
৫. উভয় ধর্মেই এই মুক্তি অর্জনের জন্য আত্মসংযম, নৈতিক জীবন ও জ্ঞানচর্চাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়।
৬. এই বিশ্বাস মানুষকে ন্যায়পরায়ণ ও দায়িত্বশীল জীবনযাপনের অনুপ্রেরণা দেয়, কারণ প্রতিটি কাজের ফল ভবিষ্যৎ জীবনে প্রভাব ফেলে।

0
Updated: 21 hours ago
ফাতরাতুল অহি কী?
Created: 22 hours ago
A
অহি শুরু হওয়ার সময়
B
অহি বন্ধ হওয়ার সময়
C
অহি বন্ধ থাকার বিরতি কাল
D
অহি অবতরনের পূর্বের সময়
ফাতরাতুল ওহী বলতে বোঝায় নবুয়তের সূচনাকালে ওহী নাযিলের পর কিছু সময়ের জন্য ওহী বন্ধ থাকার সময়কালকে। এটি ছিল রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ ও মানসিকভাবে কঠিন অধ্যায়, যখন ওহী নাযিল হওয়া হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় এবং নবীজী গভীর চিন্তা-ভাবনায় নিমগ্ন হন।
-
এই সময়কালকে সাধারণভাবে ৩ বছর বলে উল্লেখ করা হয়।
-
ওহী বন্ধ থাকার ফলে রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর হৃদয়ে আল্লাহর প্রতি গভীর আকুলতা ও প্রত্যাশা সৃষ্টি হয়।
-
এটি নবুয়তের দায়িত্ব পালনের আগে আত্মিক প্রস্তুতি ও ধৈর্যের পরীক্ষা হিসেবে বিবেচিত।
-
ফাতরাতুল ওহীর পর যখন ওহী পুনরায় নাযিল হতে শুরু করে, তখন নবীজী আরও দৃঢ় ও স্থিরচিত্তে দাওয়াতি দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
-
এই সময়টি ইসলামী ইতিহাসে নবীজীর আত্মবিশ্বাস, সহনশীলতা ও ঈমানের দৃঢ়তার প্রতীক হিসেবে গণ্য হয়।

0
Updated: 22 hours ago
তাবুক কোথায় অবস্থিত?
Created: 21 hours ago
A
বসরার সীমান্তে
B
ইরাকে
C
সিরিয়ার সীমান্তে
D
হিজাজের সীমান্তে
তাবুক ছিল মদিনা ও দামেস্কের (সিরিয়া) মধ্যবর্তী একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান, যেখানে ইসলামী ইতিহাসের এক তাৎপর্যপূর্ণ যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এই যুদ্ধ ইসলামের বিরুদ্ধে আরবের কাফের, মুনাফিক ও রোমান সাম্রাজ্যের সম্মিলিত প্রচেষ্টার চূড়ান্ত পর্যায় হিসেবে পরিচিত।
-
যুদ্ধটি সংঘটিত হয় ৬৩০ খ্রিষ্টাব্দে (নবম হিজরিতে)।
-
রাসুলুল্লাহ (সা.) মদিনা থেকে প্রায় ৬৯০ কিলোমিটার দূরে তাবুক প্রান্তরে সেনাবাহিনীসহ যাত্রা করেন।
-
এটি ইতিহাসে “গাযওয়াতুল উসরা” নামেও পরিচিত, যার অর্থ “কষ্টের যুদ্ধ”।
-
যুদ্ধটি সংঘটিত হয়েছিল অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতিতে, যখন প্রচণ্ড গরম, খাদ্যাভাব ও পানির সংকট ছিল।
-
মুসলমানদের এই অভিযাত্রা ছিল মূলত রোমান বাহিনীর সম্ভাব্য আক্রমণ প্রতিরোধের জন্য প্রস্তুতি।
-
যদিও বড় কোনো যুদ্ধ সংঘটিত হয়নি, তবুও এটি ইসলামী ইতিহাসে অসাধারণ ত্যাগ, ধৈর্য ও ঈমানের পরীক্ষা হিসেবে স্মরণীয় হয়ে আছে।

0
Updated: 21 hours ago