পুনর্জন্ম কোন দুটি ধর্মের মূলনীতি?
A
হিন্দু ও বৌদ্ধ
B
বৌদ্ধ ও ইহুদী
C
হিন্দু ও খ্রিস্টান
D
ইহুদী ও খ্রিস্টান
উত্তরের বিবরণ
হিন্দুধর্ম ও বৌদ্ধধর্ম উভয়ই পুনর্জন্ম বা আত্মার পুনরাবর্তনের ধারণাকে কেন্দ্র করে গঠিত দুটি প্রধান ধর্ম। এই বিশ্বাস অনুসারে, আত্মা মৃত্যুর পর সম্পূর্ণভাবে বিলীন হয় না বরং পূর্বজীবনের কর্মফলের ভিত্তিতে নতুন জীবনে প্রবেশ করে।
১. পুনর্জন্মের মূলনীতি উভয় ধর্মেই মানবজীবনের ধারাবাহিকতা ও কর্মফলের ন্যায়বিচারের প্রতিফলন হিসেবে বিবেচিত।
২. কর্ম (Karma) এখানে মূল ভূমিকা পালন করে— পূর্বজন্মের ভালো বা মন্দ কাজ পরবর্তী জন্মের অবস্থান নির্ধারণ করে।
৩. এই প্রক্রিয়া এক অন্তহীন জন্ম-মৃত্যুর চক্র (সংসার) সৃষ্টি করে, যা অব্যাহত থাকে যতক্ষণ না আত্মা মুক্তি লাভ করে।
৪. হিন্দুধর্মে এই মুক্তিকে “মোক্ষ” বলা হয়, আর বৌদ্ধধর্মে একে “নির্বাণ” বলা হয়।
৫. উভয় ধর্মেই এই মুক্তি অর্জনের জন্য আত্মসংযম, নৈতিক জীবন ও জ্ঞানচর্চাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়।
৬. এই বিশ্বাস মানুষকে ন্যায়পরায়ণ ও দায়িত্বশীল জীবনযাপনের অনুপ্রেরণা দেয়, কারণ প্রতিটি কাজের ফল ভবিষ্যৎ জীবনে প্রভাব ফেলে।

0
Updated: 21 hours ago
হযরত আয়েশা (রাঃ) কয়টি হাদিস বর্ণনা করেন?
Created: 21 hours ago
A
৩২১০
B
২২১০
C
২২১৭
D
৩০২১
উম্মুল মুমিনিন আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হাদীস বর্ণনায় অন্যতম বিশিষ্ট সাহাবিয়া ছিলেন। তিনি নবী করিম (সঃ)-এর নিকটতম সঙ্গী ও জীবনসঙ্গী হিসেবে বহু হাদীস প্রত্যক্ষভাবে শুনে তা সংরক্ষণ ও প্রচার করেছেন।
-
তাঁর বর্ণিত হাদীসের সংখ্যা ২২১০টি।
-
তিনি মুকছিরিন পর্যায়ের রাবিদের অন্তর্ভুক্ত, অর্থাৎ যাঁরা প্রচুর সংখ্যক হাদীস বর্ণনা করেছেন।
-
হাদীস বর্ণনার সংখ্যার দিক থেকে তাঁর অবস্থান চতুর্থ (৪র্থ)।
-
তাঁর বর্ণিত হাদীসসমূহে নারী-সংক্রান্ত বিষয়, গৃহস্থালি আচরণ, ইবাদত ও শরীয়ত সম্পর্কিত বিশদ নির্দেশনা পাওয়া যায়।
-
আয়েশা (রা.) ছিলেন জ্ঞানের ক্ষেত্রে গভীর প্রাজ্ঞ, এবং সাহাবিরা কঠিন ধর্মীয় বিষয়ে তাঁর পরামর্শ গ্রহণ করতেন।
-
হাদীস সংরক্ষণ ও প্রচারে তাঁর অবদান ইসলামী জ্ঞানের ইতিহাসে এক অনন্য স্থান দখল করে আছে।

0
Updated: 21 hours ago
কোন্ ঘটনা ইসলামের ইতিহাসে মিথ্যা অপবাদ নামে পরিচিত?
Created: 1 day ago
A
ইফকের ঘটনা
B
ব্যাভিচারের ঘটনা
C
চুরির ঘটনা
D
কোনটিই নয়
ইফকের ঘটনা ইসলামি ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়, যা মিথ্যা অপবাদ ও তার সামাজিক প্রভাব সম্পর্কে গভীর শিক্ষা দেয়। এতে মুনাফিকদের কুপ্রচার ও আল্লাহর পক্ষ থেকে সত্যের বিজয় প্রতিফলিত হয়েছে।
-
ইফক অর্থ অত্যন্ত জঘন্য মিথ্যা অপবাদ।
-
এই ঘটনা বনু মুসতালিক যুদ্ধের পর সংঘটিত হয়, যখন আয়েশা (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাফেলায় ছিলেন।
-
ফেরার পথে ভুলক্রমে কাফেলা তাঁকে রেখে চলে গেলে, মুনাফিকরা তাঁর সম্পর্কে মিথ্যা অভিযোগ ছড়িয়ে দেয়।
-
মুনাফিক নেতা আবদুল্লাহ ইবনে উবাই এই অপপ্রচারের মূল উদ্দোক্তা ছিল, যার উদ্দেশ্য ছিল নবী (সা.)-এর পরিবারকে কলঙ্কিত করা।
-
এ ঘটনায় নবী (সা.), সাহাবাগণ ও মদীনার সমাজ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে।
-
পরে সুরা আন-নূর-এর ১১-২০ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা আয়েশা (রা.)-এর নির্দোষিতা ও পবিত্রতা ঘোষণা করেন।
-
এই আয়াতগুলো মিথ্যা অপবাদ, গুজব ছড়ানো ও অন্যের সম্মানহানি থেকে বিরত থাকার কঠোর সতর্কবার্তা প্রদান করে।
-
ঘটনাটি মুসলমানদের শিখিয়েছে যে, অভিযোগ প্রমাণ ছাড়া গ্রহণ করা মারাত্মক অন্যায় এবং সততা ও শুদ্ধ চরিত্র রক্ষার দায়িত্ব প্রত্যেক বিশ্বাসীর ওপর অপরিহার্য।

0
Updated: 1 day ago
বিবাহের রোকন কী?
Created: 1 day ago
A
দুইজন সাক্ষী
B
উভয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া
C
ইজাব কবুল
D
গণ্যমান্য মেহমান উপস্থিত থাকা
ইসলামে বিবাহ একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি, যা নির্দিষ্ট শর্ত ও নিয়মের মাধ্যমে সম্পাদিত হয়। এর মূল ভিত্তি বা রুকন হলো ‘ইজাব ও কবুল’, অর্থাৎ প্রস্তাব ও গ্রহণ।
-
ইজাব বলতে বোঝায় কনের অভিভাবক বা প্রতিনিধির পক্ষ থেকে বিয়ের প্রস্তাব প্রদান।
-
কবুল হলো বরের পক্ষ থেকে সেই প্রস্তাব গ্রহণ করা, যা বিবাহের বৈধতা নিশ্চিত করে।
-
এই প্রক্রিয়াটি অবশ্যই দুজন প্রাপ্তবয়স্ক সাক্ষীর উপস্থিতিতে সম্পন্ন হতে হবে, যাতে বিবাহ প্রকাশ্য ও স্বীকৃত হয়।
-
ইজাব ও কবুল স্পষ্ট ও সম্মতভাবে উচ্চারণ করা জরুরি, যাতে কোনো পক্ষের অনিচ্ছা না থাকে।
-
এই বিধান ইসলামে ন্যায়, সম্মতি ও সামাজিক স্বচ্ছতার ভিত্তিতে বিবাহ প্রতিষ্ঠার প্রতীক।

0
Updated: 1 day ago