ব্যক্তি সমাজকর্মে স্থান বলতে বুঝায়?
A
ব্যক্তি সমাজকর্মের পরিবেশকে
B
প্রতিষ্ঠানকে
C
ব্যক্তির পরিবারকে
D
রাষ্ট্রকে
উত্তরের বিবরণ
ব্যক্তি সমাজকর্মে ‘স্থান’ (The Place) বলতে বোঝানো হয় সেই সুসংগঠিত ও পেশাগত প্রতিষ্ঠানকে, যেখানে একজন সমস্যাগ্রস্ত ব্যক্তি সমাজকর্মীর সহায়তায় তার সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় সেবা গ্রহণ করে। এটি ব্যক্তি সমাজকর্মের অন্যতম মূল উপাদান, কারণ সেবাপ্রদান ও পেশাগত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থান বা প্রতিষ্ঠান অপরিহার্য।
এই ‘স্থান’ হতে পারে সরকারি সংস্থা, বেসরকারি সংস্থা (NGO), হাসপাতাল, বিদ্যালয়, পুনর্বাসন কেন্দ্র, সামাজিক কল্যাণ অফিস বা অন্যান্য সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠান, যা ব্যক্তি সমাজকর্মের কার্যক্রমের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
‘স্থান’-এর মূল বৈশিষ্ট্যসমূহ:
১) পেশাগত কাঠামো: এটি একটি নির্দিষ্ট সংগঠন, যেখানে সমাজকর্মী পেশাগতভাবে সেবা প্রদান করেন।
২) সেবা প্রদান কেন্দ্র: সমস্যাগ্রস্ত ব্যক্তি এখানে এসে মানসিক, সামাজিক ও বস্তুগত সহায়তা পেতে পারেন।
৩) প্রাতিষ্ঠানিক সমর্থন: প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সমাজকর্মী বিভিন্ন নীতি, সম্পদ ও সেবা ব্যবহার করে ক্লায়েন্টকে সাহায্য করেন।
৪) বিশ্বাসযোগ্য পরিবেশ: এটি এমন একটি স্থান, যেখানে ক্লায়েন্ট তার ব্যক্তিগত সমস্যা খোলামেলাভাবে আলোচনা করতে পারেন।
উদাহরণ:
একজন সমস্যাগ্রস্ত ব্যক্তি যদি মানসিক বা সামাজিক সহায়তা চান, তবে তিনি সরকারি সমাজসেবা অধিদপ্তর, এনজিও অফিস, পুনর্বাসন কেন্দ্র বা কমিউনিটি কাউন্সেলিং সেন্টার-এর মতো প্রতিষ্ঠানে এসে পেশাদার সমাজকর্মীর কাছ থেকে সাহায্য নিতে পারেন।

0
Updated: 21 hours ago
বাংলাদেশে সমাজকর্ম পেশা হিসাবে স্বীকৃতি না পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রধানতম প্রতিবন্ধকতা কী?
Created: 2 days ago
A
দক্ষ সমাজকর্মীর অভাব
B
পর্যাপ্ত জ্ঞান না থাকা
C
সরকারের স্বীকৃতির অভাব
D
সাধারন মানুষ চায়না
বাংলাদেশে সমাজকর্ম এখনো একটি পূর্ণাঙ্গ পেশা হিসেবে স্বীকৃতি পায়নি, যার পেছনে একাধিক কাঠামোগত ও নীতিগত প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। সমাজকর্ম দেশের সামাজিক উন্নয়ন ও মানবকল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও এটি এখনো পেশাগত মর্যাদা অর্জন করতে পারেনি।
প্রধান প্রতিবন্ধকতাগুলো হলো—
১) অপূর্ণাঙ্গ ও অসংগঠিত পেশাগত কাঠামো: সমাজকর্মের জন্য কোনো নির্দিষ্ট পেশাগত মান, দক্ষতা মূল্যায়ন ব্যবস্থা বা সুসংগঠিত প্রশাসনিক কাঠামো নেই। ফলে সমাজকর্মীরা তাদের কাজের পরিধি অনুযায়ী স্বীকৃতি পান না।
২) পেশাগত মূল্যবোধ ও নৈতিক মানদণ্ডের অভাব: সমাজকর্মে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নৈতিক মানদণ্ড থাকলেও দেশে তা পর্যাপ্তভাবে প্রয়োগ বা সংরক্ষণ করা হয় না।
৩) পেশাগত সংগঠনের অভাব: সমাজকর্মীদের জন্য একটি শক্তিশালী ও কার্যকর পেশাগত সংগঠন গঠিত না হওয়ায় তাদের অধিকার, স্বার্থ ও পেশাগত মর্যাদা রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগ দেখা যায় না।
৪) কর্মসংস্থানের সীমাবদ্ধতা: সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহে সমাজকর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত পদ ও সুযোগের অভাব রয়েছে, ফলে দক্ষ পেশাজীবীরা অন্য পেশায় চলে যেতে বাধ্য হন।
তবে, এর মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হলো সরকারের স্বীকৃতির অভাব। কারণ, যদি সরকার সমাজকর্মকে একটি আনুষ্ঠানিক পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দিত, তবে উপরের সব সমস্যার সমাধান সহজ হতো। সরকারি স্বীকৃতি সমাজকর্মীদের জন্য পেশাগত কাঠামো, সংগঠন, মানদণ্ড এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে প্রধান ভূমিকা রাখত।

0
Updated: 2 days ago
বেগম রোকেয়া কেন বিখ্যাত?
Created: 2 days ago
A
নারী উন্নয়নের জন্য
B
নারী জাগরণের জন্য
C
বই লেখার জন্য
D
পুরুষ-বিদ্বেষের জন্য
বেগম রোকেয়া বিখ্যাত কারণ তিনি ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম নারীবাদী, নারী জাগরণের অগ্রদূত এবং একজন বিশিষ্ট লেখক ও সমাজকর্মী। তিনি নারী শিক্ষা, লিঙ্গ সমতা ও সমাজে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন। তাঁর সাহিত্যকর্ম যেমন সুলতানার স্বপ্ন ও অবরোধবাসিনী নারীর মুক্তি, শিক্ষার গুরুত্ব এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের পক্ষে স্পষ্ট অবস্থান প্রকাশ করে।
তিনি সমাজে নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে কাজ করেন এবং মুসলিম নারী শিক্ষার প্রসারে বেথুন স্কুলের আদলে সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন, যা তাঁর নারী জাগরণে বাস্তব অবদানের প্রমাণ।
যদিও অপশন a ও c-তে আংশিকভাবে সঠিক তথ্য রয়েছে, তবুও সম্পূর্ণ ও সঠিক উত্তর হিসেবে সবচেয়ে উপযুক্ত অপশন b।

0
Updated: 2 days ago
বাংলাদেশে স্বেচ্ছাপ্রণোদিত সমাজকল্যাণমূলক কার্যক্রম কী নামে পরিচিত?
Created: 1 day ago
A
Donation
B
Voluntary Social Work
C
Aid
D
Help
বাংলাদেশে স্বেচ্ছাপ্রণোদিত সমাজকল্যাণমূলক কার্যক্রমকে ইংরেজিতে Voluntary Social Work বলা হয়। এটি এমন একটি সমাজসেবামূলক উদ্যোগ, যা কোনো আর্থিক লাভ বা ব্যক্তিগত স্বার্থের উদ্দেশ্যে নয়, বরং সম্পূর্ণভাবে মানবকল্যাণ ও সমাজের উন্নয়নের লক্ষ্যে পরিচালিত হয়।
এই ধরনের কার্যক্রমে ব্যক্তি, দল বা সংগঠন সমাজের বিভিন্ন সমস্যা মোকাবিলায় স্বেচ্ছায় অংশগ্রহণ করে। তারা সমাজে মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করা, সামাজিক দায়িত্ববোধ বৃদ্ধি করা এবং মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে।
স্বেচ্ছাপ্রণোদিত সমাজকল্যাণমূলক কার্যক্রমের প্রধান ক্ষেত্রসমূহ হলো:
১) দারিদ্র্য নিরসন: দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য খাদ্য, বস্ত্র, আশ্রয় ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।
২) শিক্ষা উন্নয়ন: নিরক্ষরতা দূরীকরণ, প্রাথমিক শিক্ষা ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান।
৩) স্বাস্থ্যসেবা: বিনামূল্যে চিকিৎসা, স্বাস্থ্য সচেতনতা এবং জনস্বাস্থ্য কার্যক্রম পরিচালনা।
৪) পরিবেশ রক্ষা: বৃক্ষরোপণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি।
৫) দুস্থ ও অসহায় মানুষের সহায়তা: অনাথ, প্রতিবন্ধী, প্রবীণ ও বিপর্যস্ত জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানো।
অতএব, স্বেচ্ছাপ্রণোদিত সমাজকল্যাণমূলক কার্যক্রম এমন এক মানবিক প্রচেষ্টা, যা সমাজে সহযোগিতা, সহানুভূতি ও ন্যায়ভিত্তিক উন্নয়ন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সামাজিক কল্যাণ সাধন করে।

0
Updated: 1 day ago