প্রাথমিক অবস্থায় সমাজকল্যাণের মূল ভিত্তি ছিল?
A
দান
B
মানবহৈতেষী দর্শন
C
ধর্মীয় মুক্তি
D
সামাজিকতা
উত্তরের বিবরণ
কারণ সমাজকল্যাণের প্রাথমিক ভিত্তি হিসেবে দানশীলতা, মানবহিতৈষী মনোভাব, স্বেচ্ছাশ্রম ও সহানুভূতি — এই চারটি উপাদানই ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত এবং প্রায়ই একে অপরের পরিপূরক।
বিশ্লেষণ:
১) দানশীলতা (Charity): সমাজকল্যাণের প্রাচীনতম রূপ, যেখানে ধনী বা সক্ষম ব্যক্তিরা দরিদ্র, অসুস্থ বা বিপদগ্রস্তদের আর্থিক ও বস্তুগত সহায়তা দিতেন।
২) মানবহিতৈষী দর্শন (Humanitarianism): এটি মানুষের প্রতি সহানুভূতি ও মমত্ববোধের ভিত্তিতে গঠিত একটি নৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি, যা সমাজকল্যাণমূলক কাজের নৈতিক ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
৩) স্বেচ্ছাশ্রম (Voluntary Service): মানুষ নিজের সময়, শ্রম ও দক্ষতা বিনামূল্যে সমাজের কল্যাণে উৎসর্গ করত।
৪) সহানুভূতি (Sympathy): অন্যের দুঃখ ও কষ্ট অনুভব করে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া সমাজকল্যাণের মানসিক ভিত্তি তৈরি করে।
অতএব, প্রশ্নটির উত্তর যদি শুধু একটিকে বেছে নিতে বলা হয়, তবে তা নির্ভর করবে প্রশ্নে “মূল ভিত্তি” বলতে কোন দিকটিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে—
-
নৈতিক বা দার্শনিক ভিত্তি বোঝালে → খ (মানবহিতৈষী দর্শন)
-
বাস্তব বা প্রাথমিক কার্যক্রমের ভিত্তি বোঝালে → ক (দানশীলতা)
তবে সামগ্রিকভাবে দেখলে, অপশন “A” ও “B” উভয়টি সঠিক, কারণ সমাজকল্যাণের সূচনা হয়েছিল দানশীলতার কার্যক্রমের মাধ্যমে, যা মানবহিতৈষী দর্শন ও সহানুভূতির দ্বারা পরিচালিত ছিল।

0
Updated: 21 hours ago
ভারতবর্ষে সমাজকর্ম পাঠদানকারী প্রথম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান-
Created: 2 days ago
A
টাটা ইন্সটিটিউট
B
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
C
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
D
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়
ভারতবর্ষে সমাজকর্ম শিক্ষা প্রবর্তনের ক্ষেত্রে পথিকৃৎ প্রতিষ্ঠান হলো টাটা ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল সায়েন্সেস (TISS)। এটি ১৯৩৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় স্যার দোরাবজি টাটা গ্র্যাজুয়েট স্কুল অফ সোশ্যাল ওয়ার্ক নামে, যা পরবর্তীতে বর্তমান নাম লাভ করে। প্রতিষ্ঠানটি সমাজকর্ম শিক্ষা ও গবেষণাকে পেশাগত কাঠামোয় রূপ দিয়ে ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ায় সমাজকর্মের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
এই প্রতিষ্ঠানটির বিশেষ অবদান হলো—
১) এটি ছিল ভারতের প্রথম সমাজকর্ম পাঠদানকারী উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যেখানে সমাজকর্মকে একটি স্বতন্ত্র পেশাগত শিক্ষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়।
২) প্রায় এক দশক ধরে এটি ভারতে সমাজকর্মে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদানকারী একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত ছিল।
৩) সমাজকর্ম শিক্ষা, সমাজনীতি, সম্প্রদায় উন্নয়ন, শ্রমনীতি, নারী ও শিশু কল্যাণ, এবং সামাজিক গবেষণার মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে এ প্রতিষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা ও গবেষণামূলক অবদান রাখে।
৪) পরবর্তীতে এটি আন্তর্জাতিক মানের সমাজকর্ম শিক্ষার কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করে, যা ভারতের পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশেও সমাজকর্ম শিক্ষার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।

0
Updated: 2 days ago
বাংলাদেশে দল সমাজকর্ম প্রয়োগের উত্তম ক্ষেত্র কোনটি?
Created: 1 day ago
A
হাসপাতাল
B
মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র
C
ভবঘুরে কেন্দ্র
D
বিদ্যালয় ও সংশোধনাগার
দল সমাজকর্ম (Social Group Work) হলো সমাজকর্মের এমন একটি মৌলিক পদ্ধতি, যেখানে একটি দলকে সমস্যা সমাধান ও ব্যক্তিগত উন্নয়নের একক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এর মাধ্যমে দলীয় কার্যক্রম, পারস্পরিক সহযোগিতা এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে সদস্যদের সামাজিক অভিযোজন, আত্মোন্নয়ন ও দক্ষতা বিকাশে সহায়তা করা হয়।
এই পদ্ধতির মূল উদ্দেশ্য হলো দলীয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সদস্যদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস, নেতৃত্বগুণ, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহযোগিতার মনোভাব সৃষ্টি করা, যাতে তারা ব্যক্তিগত ও সামাজিক সমস্যাগুলো কার্যকরভাবে মোকাবিলা করতে পারে এবং সমাজে দক্ষ ও দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।
বাংলাদেশে দল সমাজকর্ম প্রয়োগের উত্তম ক্ষেত্রগুলো হলো:
১) সম্প্রদায়গত সংঘর্ষের সমাধান
২) সমবায় মালিকানার যথাযথ ব্যবহার
৩) জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা
৪) অপরাধী পুনর্বাসন কেন্দ্র
৫) বৃদ্ধদের সেবাকেন্দ্র
৬) প্রতিবন্ধীদের পুনর্বাসন কেন্দ্র
৭) কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্র
৮) শিল্প প্রতিষ্ঠানে মালিক-শ্রমিক সমস্যার সমাধান
৯) অটিস্টিক শিশু সেবা কেন্দ্র
এই ক্ষেত্রগুলোতে দল সমাজকর্ম প্রয়োগের মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে সমঝোতা, পুনর্বাসন, দক্ষতা বিকাশ ও সামাজিক সংহতি প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়।

0
Updated: 1 day ago
সমাজকর্মের বিশেষায়িত শাখা হলো-
Created: 1 day ago
A
চিকিৎসা সমাজকর্ম
B
প্রতিরোধমূলক সমাজকর্ম
C
উন্নয়নমুলক সমাজকর্ম
D
ব্যক্তি সমাজকর্ম
সমাজকর্মের বিশেষায়িত শাখাগুলি সমাজের নির্দিষ্ট সমস্যা ও জনগোষ্ঠীর চাহিদা পূরণের জন্য কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এসব শাখার মধ্যে রয়েছে চিকিৎসা সমাজকর্ম, বিদ্যালয় সমাজকর্ম, শিল্প সমাজকর্ম, প্রবীণ সমাজকর্ম, সাইকিয়াট্রিক সমাজকর্ম ইত্যাদি।
-
চিকিৎসা সমাজকর্ম: হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে রোগীদের মানসিক, সামাজিক ও আবেগিক চাহিদা পূরণে সহায়তা প্রদান করে।
-
বিদ্যালয় সমাজকর্ম: শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা, ব্যক্তিগত সমস্যা সমাধান এবং সামাজিক বিকাশে সহায়তা করে।
-
শিল্প সমাজকর্ম: কারখানার শ্রমিকদের সুযোগ-সুবিধা, অধিকার এবং কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ উন্নয়নে কাজ করে।
-
প্রবীণ সমাজকর্ম: প্রবীণ জনগোষ্ঠীর কল্যাণ ও অধিকার নিশ্চিত করতে সমাজকর্মের জ্ঞান ও কৌশল প্রয়োগ করে।
-
সাইকিয়াট্রিক সমাজকর্ম: মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনে সহায়তা প্রদান করে।

0
Updated: 1 day ago