কল্যাণ রাষ্ট্রের প্রবক্তা হলেন-
A
কার্ল মার্ক্স
B
সক্রেটিস
C
স্মিথ
D
স্যার উইলিয়াম বিভারিজ
উত্তরের বিবরণ
বিভারিজ রিপোর্টের প্রবক্তা ছিলেন স্যার উইলিয়াম হেনরি বিভারিজ। তিনি ১৯৪২ সালে এই বিখ্যাত “Beveridge Report” প্রণয়ন করেন, যা ইংল্যান্ডে সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত হয়। এই প্রতিবেদনে তিনি সমাজের পাঁচটি প্রধান সমস্যা বা "বিপদ" (Five Giants) হিসেবে অভাব (Want), রোগ (Disease), অজ্ঞতা (Ignorance), মলিনতা (Squalor), ও অলসতা (Idleness) — এই বিষয়গুলো চিহ্নিত করেন এবং এগুলোর বিরুদ্ধে সমন্বিত সামাজিক কর্মসূচি নেওয়ার পরামর্শ দেন। তাঁর এই দৃষ্টিভঙ্গিই পরবর্তীতে আধুনিক কল্যাণ রাষ্ট্র (Welfare State) গঠনের মূল দার্শনিক ভিত্তি তৈরি করে।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমূহ:
১) রিপোর্ট প্রকাশকাল: ১৯৪২ সাল।
২) প্রণেতা: স্যার উইলিয়াম হেনরি বিভারিজ।
৩) মূল উদ্দেশ্য: দারিদ্র্য, বেকারত্ব, অসুস্থতা, অজ্ঞতা ও বাসস্থান সংকট দূরীকরণ।
৪) গুরুত্ব: এই রিপোর্ট থেকেই আধুনিক সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ধারণার সূচনা হয়।
৫) অবদান: বিভারিজের ধারণার উপর ভিত্তি করেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী ইংল্যান্ডে “Welfare State” বা কল্যাণ রাষ্ট্রের নীতি গৃহীত হয়।
৬) অন্য প্রবক্তাগণ: কল্যাণ রাষ্ট্র ধারণার প্রাথমিক প্রবক্তা হিসেবে অটো ভন বিসমার্ক ও ম্যাক্স ওয়েবার-এর নামও উল্লেখযোগ্য।
৭) যেহেতু প্রদত্ত বিকল্পে এদের নাম অনুপস্থিত, তাই স্যার উইলিয়াম বিভারিজ-ই হবে এখানে সঠিক উত্তর D

0
Updated: 21 hours ago
মানবীয় চাহিদা তত্ত্বের প্রবক্তা হলেন-ম্যাক্স ওয়েবার
Created: 1 day ago
A
ম্যাক্স ওয়েবার
B
আব্রাহাম মাসলো
C
প্লেটো
D
ম্যাকাইভার
মানবীয় চাহিদা তত্ত্বের (Theory of Human Needs) প্রবক্তা হলেন আব্রাহাম মাসলো (Abraham Maslow)। তিনি ১৯৪৩ সালে প্রকাশিত তাঁর বিখ্যাত গবেষণাপত্র “A Theory of Human Motivation”-এ এই তত্ত্বটি প্রথম উপস্থাপন করেন। এই তত্ত্বটি মনোবিজ্ঞান ও সমাজকর্ম উভয় ক্ষেত্রেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি মানুষের আচরণ ও প্রেষণার (motivation) মূল ভিত্তি ব্যাখ্যা করে।
মাসলোর মতে, মানুষ তার চাহিদাগুলোকে একটি সোপানের (Hierarchy) মাধ্যমে পূরণ করতে চায়, অর্থাৎ নিম্নস্তরের চাহিদা পূরণ না হলে সে উচ্চস্তরের চাহিদার দিকে অগ্রসর হতে পারে না।
মাসলোর চাহিদার পাঁচটি স্তর হলো:
১) শারীরিক চাহিদা (Physiological Needs): খাদ্য, পানি, আশ্রয়, নিদ্রা ও বস্ত্রের মতো মৌলিক চাহিদা।
২) নিরাপত্তা চাহিদা (Safety Needs): শারীরিক ও আর্থিক নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও স্থিতিশীলতার প্রয়োজন।
৩) ভালোবাসা ও আত্মীয়তা চাহিদা (Love and Belonging Needs): পরিবার, বন্ধু, ভালোবাসা ও সামাজিক সম্পর্কের প্রয়োজন।
৪) সম্মান চাহিদা (Esteem Needs): আত্মসম্মান, সামাজিক মর্যাদা ও অন্যের স্বীকৃতি লাভের আকাঙ্ক্ষা।
৫) আত্ম-বাস্তবায়ন চাহিদা (Self-Actualization Needs): নিজের সামর্থ্য ও সম্ভাবনাকে সম্পূর্ণভাবে বিকশিত করার আকাঙ্ক্ষা।
আব্রাহাম মাসলোর মানবীয় চাহিদা তত্ত্ব মানুষকে ক্রমধারায় চাহিদা পূরণের মাধ্যমে আত্ম-উন্নয়নের পথে পরিচালিত হওয়ার প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করে, যা সমাজকর্মে ব্যক্তির সমস্যা বোঝা ও তার উন্নয়নে কার্যকর নির্দেশনা দেয়।

0
Updated: 1 day ago