ব্যক্তি সমাজকর্মের অংশগ্রহনমূলক নীতির আওতায় কার অংশগ্রহনের কথা বুঝানো হয়েছে?
A
সমস্যাগ্রস্থ ব্যক্তি
B
সমাজ
C
পুলিশ
D
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
উত্তরের বিবরণ
ব্যক্তি সমাজকর্মের অংশগ্রহণমূলক নীতি (Principle of Participation) অনুযায়ী, সমস্যাগ্রস্ত ব্যক্তিকেই সমস্যা সমাধানের মূল অংশগ্রহণকারী ও সক্রিয় সহযোগী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সমাজকর্মী কেবল সহায়তাকারীর ভূমিকা পালন করেন, কিন্তু সমস্যার সমাধান প্রক্রিয়ার কেন্দ্রে থাকেন সাহায্যপ্রার্থী নিজেই।
এই নীতির মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে নিজের সমস্যা সম্পর্কে সচেতন করা, আত্মবিশ্বাস জাগানো এবং সমাজকর্মীর সহায়তায় নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নেওয়ার ক্ষমতা তৈরি করা। এর মাধ্যমে সাহায্যপ্রার্থী শুধু সমস্যার সমাধানেই নয়, বরং নিজের ব্যক্তিগত উন্নয়ন ও আত্মনির্ভরশীলতার প্রক্রিয়ায়ও যুক্ত হয়।
অংশগ্রহণমূলক নীতির প্রধান দিকগুলো:
১) সক্রিয় সম্পৃক্ততা: সাহায্যপ্রার্থী নিজের সমস্যা বিশ্লেষণ ও সমাধানে সরাসরি অংশগ্রহণ করে।
২) ক্ষমতায়ন (Empowerment): অংশগ্রহণের মাধ্যমে ব্যক্তি নিজের সামর্থ্য ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করে।
৩) সহযোগিতামূলক সম্পর্ক: সমাজকর্মী ও ক্লায়েন্ট একসঙ্গে কাজ করে—একজন নির্দেশদাতা নয়, বরং সহযোগী হিসেবে।
৪) স্বনির্ভরতা: এই নীতি সাহায্যপ্রার্থীকে ভবিষ্যতে নিজেই সমস্যা মোকাবিলায় সক্ষম করে তোলে।
অতএব, অংশগ্রহণমূলক নীতি সমাজকর্মে এমন এক মানবিক ধারণা, যা ব্যক্তিকে নিজের সমস্যা সমাধানে সক্রিয় ভূমিকা পালনকারী ও সিদ্ধান্তগ্রহণকারী অংশীদার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে।
সে অনুযায়ী, অপশন “A” উত্তর হিসেবে বেশি উপযুক্ত।

0
Updated: 21 hours ago
অংশগ্রহণমূলক গ্রামীন মূল্যায়ন কোন ধরনের পদ্ধতি?
Created: 21 hours ago
A
গোষ্ঠী ও সম্প্রদায় নির্ভর উন্নয়ন প্রচেষ্ঠা
B
গ্রামীন মানুষের অংশগ্রহনে পরিচালিত উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড
C
শহর এলাকার মানুষের সম্মিলিত উন্নয়ন প্রচেষ্ঠা
D
বিদেশ নির্ভর উন্নয়ন প্রচেষ্ঠা

0
Updated: 21 hours ago
সামাজিক গবেষনায় তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতি কোনটি-
Created: 2 days ago
A
পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি
B
গুণবাচক পদ্ধতি
C
সংখ্যাবাচক পদ্ধতি
D
ম্যাট্রিক পদ্ধতি
সামাজিক গবেষণায় তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতি হলো গবেষণার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ, যার মাধ্যমে বাস্তবমুখী ও নির্ভরযোগ্য তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এই পদ্ধতিগুলো গবেষককে সমাজ, ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর আচরণ, মনোভাব ও সামাজিক বাস্তবতা সম্পর্কে গভীর ধারণা পেতে সহায়তা করে। নিচে প্রধান তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতিগুলো উল্লেখ করা হলো:
১) সাক্ষাৎকার পদ্ধতি: গবেষক সরাসরি ব্যক্তি বা অংশগ্রহণকারীর সঙ্গে কথা বলে তথ্য সংগ্রহ করেন। এটি কাঠামোবদ্ধ, আধা-কাঠামোবদ্ধ বা মুক্ত সাক্ষাৎকার হতে পারে।
২) জরিপ বা প্রশ্নাবলী পদ্ধতি: নির্দিষ্ট প্রশ্নের একটি সেট বা প্রশ্নাবলী ব্যবহার করে বৃহৎ জনগোষ্ঠীর কাছ থেকে পরিমাণগত তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
৩) পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি: গবেষক নিজে কোনো ঘটনা, কার্যকলাপ বা আচরণ সরাসরি পর্যবেক্ষণ করে তথ্য সংগ্রহ করেন। এটি প্রাকৃতিক বা নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে সম্পন্ন হতে পারে।
৪) দস্তাবেজ পদ্ধতি: বিদ্যমান নথিপত্র যেমন বই, জার্নাল, প্রতিবেদন, সংবাদপত্র বা অন্য প্রকাশনা বিশ্লেষণ করে তথ্য সংগৃহীত হয়।
উল্লেখ্য, এই পদ্ধতিগুলোই সামাজিক গবেষণার তথ্য সংগ্রহের উপায়, অন্যদিকে প্রশ্নে উল্লিখিত বাকি অপশনগুলো মূলত সামাজিক গবেষণার পদ্ধতি, তথ্য সংগ্রহের নয়।
সুতরাং উত্তর হবে অপশন "A"।

0
Updated: 2 days ago
টেকসই সামাজিক উন্নয়নে কোনটি অত্যাবশ্যক?
Created: 21 hours ago
A
আন্তর্জাতিক অনুদান
B
স্থানীয় শিল্পের বিকাশ
C
দক্ষ মানব সম্পদ তৈরী
D
স্থানীয় চাহিদা সম্পদের ভিত্তিতে পরিকল্পনা গ্রহন
টেকসই সামাজিক উন্নয়নের জন্য সমতা বিধান (Equity in Sustainable Social Development) একটি অত্যাবশ্যক উপাদান, কারণ প্রকৃত উন্নয়ন তখনই সম্ভব যখন সমাজের প্রতিটি মানুষ—বিশেষ করে প্রান্তিক, দরিদ্র ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠী—উন্নয়নের প্রক্রিয়ায় সক্রিয়ভাবে অংশ নিতে পারে।
সমতা বিধানের অর্থ হলো এমন একটি সামাজিক কাঠামো গঠন করা, যেখানে প্রত্যেকে তাদের সক্ষমতা অনুযায়ী সুযোগ পায় এবং সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সমান অধিকার ভোগ করে। এটি শুধু উন্নয়নের সুফল ভাগাভাগি নয়, বরং ন্যায্যতা, অন্তর্ভুক্তি ও অংশগ্রহণমূলক উন্নয়নের নিশ্চয়তা দেয়।
টেকসই সামাজিক উন্নয়নে সমতা বিধানের মূল দিকগুলো হলো:
১) সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি: শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান ও সামাজিক সুরক্ষায় সমান প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা।
২) স্থানীয় চাহিদাভিত্তিক পরিকল্পনা: সমাজের বাস্তব অবস্থা ও স্থানীয় সম্পদের ভিত্তিতে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা।
৩) প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তি: নারী, শিশু, প্রতিবন্ধী, সংখ্যালঘু ও দরিদ্র শ্রেণিকে উন্নয়নের মূলধারায় আনা।
৪) দারিদ্র্য বিমোচন: দারিদ্র্য হ্রাসের মাধ্যমে মানুষের জীবনমান উন্নয়ন করা।
৫) অসমতা হ্রাস: আয়, সুযোগ ও সম্পদের বৈষম্য কমিয়ে সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা।
সমতা বিধান টেকসই সামাজিক উন্নয়নের একটি মৌলিক শর্ত, যা সমাজে ন্যায্যতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের পথ প্রশস্ত করে।
সে অনুযায়ী, অপশন “D” উত্তর হিসেবে বেশি উপযুক্ত।

0
Updated: 21 hours ago