কোন তত্ত্বটি মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনার সাথে বেশী জড়িত-
A
বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনা তত্ত্ব
B
X ও Y তত্ত্ব
C
সিস্টেম তত্ত্ব
D
জনসংখা তত্ত্ব
উত্তরের বিবরণ
X তত্ত্ব ও Y তত্ত্ব (Theory X and Theory Y) মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা ও সংগঠন পরিচালনার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা, যা ডগলাস ম্যাকগ্রেগর (Douglas McGregor) ১৯৬০ সালে প্রস্তাব করেন। এই দুটি তত্ত্ব মানুষের কাজের প্রতি মনোভাব ও ব্যবস্থাপনার ধরন সম্পর্কে দুটি বিপরীতমুখী দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে।
X তত্ত্বের মূল বক্তব্য:
১) কর্মীরা সহজাতভাবে কাজ অপছন্দ করে এবং সুযোগ পেলে তা এড়িয়ে যায়।
২) তাদের কাজে বাধ্য, নিয়ন্ত্রিত ও তদারকির মাধ্যমে সম্পৃক্ত রাখতে হয়।
৩) তারা দায়িত্ব নিতে চায় না, বরং নির্দেশ মেনে চলতে পছন্দ করে।
৪) তাদের মূল প্রেরণা অর্থ বা বেতন, কাজের প্রতি আন্তরিক আগ্রহ নয়।
৫) এই তত্ত্বে ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি কর্তৃত্বমূলক ও শৃঙ্খলামুখী।
Y তত্ত্বের মূল বক্তব্য:
১) কর্মীরা কাজকে প্রাকৃতিক ও স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া হিসেবে গ্রহণ করে।
২) তারা স্বনিয়ন্ত্রিত ও স্বপ্রণোদিত, তাই সবসময় নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন হয় না।
৩) কর্মীরা শুধু বেতন নয়, দায়িত্ব, সৃজনশীলতা ও স্বীকৃতিকেও প্রেরণার উৎস হিসেবে দেখে।
৪) তারা সমস্যা সমাধান ও লক্ষ্য অর্জনে আগ্রহী এবং অংশগ্রহণমূলক পরিবেশে ভালো কাজ করে।
৫) এই তত্ত্বে ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি উদ্দীপনামূলক ও সহযোগিতামূলক।
সংক্ষেপে:
-
X তত্ত্ব একটি নেতিবাচক ও কর্তৃত্বমূলক ব্যবস্থাপনা দৃষ্টিভঙ্গি, যেখানে কর্মীদের অবিশ্বাস ও শৃঙ্খলায় রাখা হয়।
-
Y তত্ত্ব একটি ইতিবাচক ও অংশগ্রহণমূলক দৃষ্টিভঙ্গি, যেখানে কর্মীদের বিশ্বাস, প্রেরণা ও সৃজনশীলতা গুরুত্ব পায়।
অতএব, প্রদত্ত প্রশ্নে অপশন “B” উত্তর হিসেবে সবচেয়ে উপযুক্ত, কারণ এটি কর্মীদের আচরণ ও ব্যবস্থাপনার বাস্তবধর্মী ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রতিফলিত করে।

0
Updated: 21 hours ago
সমাজকর্মের বিভিন্ন দিকগুলো (aspects) হলো-
Created: 2 days ago
A
Curative,Preventive, Developmental, Rehabilitative
B
Curative, Suggestive, Regulative, Preventive
C
Occupational, Counseling, Rational, Understandable
D
Regulative, Rationalitive, Curative, Preventive.
সমাজকর্মের কার্যক্রম মূলত মানুষের কল্যাণ ও সমাজে ন্যায়ভিত্তিক উন্নয়ন নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়। এর প্রধান দিকগুলো হলো নিরাময়মূলক (Curative), প্রতিরোধমূলক (Preventive), উন্নয়নমূলক (Developmental) এবং পুনর্বাসনমূলক (Rehabilitative)। এই চারটি দিক সমাজকর্মের মৌলিক ভিত্তি গঠন করে এবং ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও সমাজের সর্বাঙ্গীন কল্যাণে সমন্বিত ভূমিকা পালন করে।
প্রধান দিকসমূহের ব্যাখ্যা—
১) নিরাময়মূলক (Curative): এই দিকের লক্ষ্য হলো ইতিমধ্যে বিদ্যমান সামাজিক, মানসিক বা অর্থনৈতিক সমস্যাগুলির সমাধান করা। উদাহরণস্বরূপ— অসুস্থ, অসচ্ছল বা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ব্যক্তিদের সাহায্য করা, তাদের সমস্যা নির্ণয় ও নিরসনে সমাজকর্মী সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
২) প্রতিরোধমূলক (Preventive): এই দিকটি ভবিষ্যতে সম্ভাব্য সমস্যাগুলিকে আগে থেকেই প্রতিরোধ করার ওপর গুরুত্ব দেয়। যেমন— দারিদ্র্য, অপরাধ, বাল্যবিবাহ বা মাদকাসক্তি প্রতিরোধের জন্য সচেতনতামূলক ও প্রতিরোধমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা।
৩) উন্নয়নমূলক (Developmental): সমাজকর্মের এই দিকের উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তি ও সমাজের সামগ্রিক উন্নয়ন সাধন করা। যেমন— শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, নারীর ক্ষমতায়ন, সামাজিক ন্যায়বিচার ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুযোগ সৃষ্টি করা।
৪) পুনর্বাসনমূলক (Rehabilitative): এটি এমন একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে সমস্যাগ্রস্ত, বিপর্যস্ত বা সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন ব্যক্তিকে পুনরায় সমাজে একীভূত করা হয়। উদাহরণস্বরূপ— আসক্ত, বন্দি, শারীরিক প্রতিবন্ধী বা দুর্যোগপীড়িত ব্যক্তিদের স্বাভাবিক জীবনযাপন ও সমাজে পুনরায় স্থান করে নেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা।

0
Updated: 2 days ago
দল সমাজকর্মের উপাদান নয় কোনটি?
Created: 2 days ago
A
দল সমাজকর্মী
B
দলীয় প্রক্রিয়া
C
দলের আর্থিক সামর্থ্য
D
দল সমাজকর্ম এজেন্সী
দল সমাজকর্মের মৌলিক উপাদান হলো সেই প্রধান উপাদানসমূহ, যেগুলোর সমন্বয়ে দল সমাজকর্ম কার্যকরভাবে পরিচালিত হয়। দল সমাজকর্মের উদ্দেশ্য হলো দলগত কার্যক্রমের মাধ্যমে সদস্যদের পারস্পরিক সম্পর্ক গঠন, সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং ব্যক্তিগত ও সামাজিক বিকাশে সহায়তা করা। নিচে এর চারটি মৌলিক উপাদান উল্লেখ করা হলো—
১) সামাজিক দল: এটি দল সমাজকর্মের মূল কেন্দ্রবিন্দু। একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে গঠিত এই দল সদস্যদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক, অভিজ্ঞতা বিনিময় ও সমবায়মূলক আচরণ বিকাশে সহায়তা করে।
২) দল সমাজকর্ম প্রতিষ্ঠান: এটি হলো সেই সংগঠন বা সংস্থা যেখানে দল সমাজকর্ম কার্যক্রম পরিচালিত হয়। প্রতিষ্ঠানটি প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা, সম্পদ ও কাঠামোগত সহায়তা প্রদান করে।
৩) দল সমাজকর্মী: সমাজকর্মী এখানে নির্দেশক, সহায়ক ও পরিচালকের ভূমিকা পালন করেন। তিনি দলের সদস্যদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন, সম্পর্ক গঠন ও লক্ষ্য অর্জনের জন্য পেশাগত দক্ষতা প্রয়োগ করেন।
৪) দল সমাজকর্ম প্রক্রিয়া: এটি একটি ধাপে ধাপে পরিচালিত পদ্ধতি, যার মাধ্যমে দল গঠন, পরিকল্পনা, কার্যক্রম বাস্তবায়ন এবং ফলাফল মূল্যায়ন করা হয়।

0
Updated: 2 days ago
সমস্যাগ্রস্থ ব্যক্তির অন্তর্নিহিত শক্তি বলতে বুঝানো হয়-
Created: 2 days ago
A
ব্যক্তির মূল্যবোধের বিকাশ
B
ব্যক্তির সততার বিকাশ
C
ব্যক্তির পারিপার্শ্বিক বিকাশ
D
ব্যক্তির সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ
সমাজকর্মে সমস্যাগ্রস্ত ব্যক্তির অন্তর্নিহিত শক্তি বলতে বোঝানো হয় সেই সকল নিজস্ব ক্ষমতা, দক্ষতা, জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও মানসিক দৃঢ়তা, যা একজন ব্যক্তি নিজের সমস্যা মোকাবিলায় ব্যবহার করতে পারে। সমাজকর্মের অন্যতম মূল ধারণা হলো—প্রত্যেক মানুষের ভেতরেই কিছু না কিছু সুপ্ত সামর্থ্য ও ইতিবাচক শক্তি থাকে, যা সঠিক দিকনির্দেশনা ও সহযোগিতার মাধ্যমে বিকশিত করা সম্ভব।
এই অন্তর্নিহিত শক্তি ব্যক্তি সমাজকর্মের মূল ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত, কারণ সমাজকর্মের লক্ষ্য কেবল সাহায্য প্রদান নয়, বরং ব্যক্তিকে নিজের সমস্যার সমাধানে সক্ষম করে তোলা।
ব্যক্তির অন্তর্নিহিত শক্তির মূল দিকগুলো হলো—
১) ব্যক্তিগত দক্ষতা ও সামর্থ্য: যেমন আত্মবিশ্বাস, ধৈর্য, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতা।
২) মানসিক ও আবেগিক দৃঢ়তা: চাপ, দুঃখ বা ব্যর্থতা মোকাবিলার মানসিক প্রস্তুতি ও ইতিবাচক মনোভাব।
৩) সামাজিক ও পারিবারিক সমর্থন: পরিবার, বন্ধু, সমাজ বা প্রতিষ্ঠানের সহায়তা, যা ব্যক্তির পুনর্গঠনে সাহায্য করে।
৪) অভ্যন্তরীণ প্রেরণা ও লক্ষ্য সচেতনতা: নিজের জীবনে পরিবর্তন আনার ইচ্ছাশক্তি ও লক্ষ্যের প্রতি দৃঢ় প্রতিজ্ঞা।
৫) সম্পদ ব্যবহারের দক্ষতা: নিজের চারপাশের সহায়ক উপকরণ ও সুযোগগুলো চিহ্নিত করে সেগুলোর কার্যকর ব্যবহার।
সমাজকর্মী এই অন্তর্নিহিত শক্তিগুলো শনাক্ত করে ব্যক্তিকে নিজের সামর্থ্য কাজে লাগাতে উদ্বুদ্ধ করেন, যাতে সে আত্মনির্ভর ও সমাজে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারে।

0
Updated: 2 days ago