আপেক্ষিক দারিদ্র্য কোন বিষয়টি নির্দেশ করে?
A
জীবন যাত্রার নিম্নমান
B
সমাজের অন্যান্য মানুষের তুলনায় জীবন যাত্রার নিম্নমান
C
জীবন ধারনের জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদের অভাব
D
বিলাসী দ্রব্যসমেত জীবনযাত্রা
উত্তরের বিবরণ
আপেক্ষিক দারিদ্র্য (Relative Poverty) বলতে বোঝায় এমন এক অর্থনৈতিক অবস্থা, যেখানে একজন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর আয় বা জীবনযাত্রার মান সমাজের অন্য সদস্যদের তুলনায় নিম্নস্তরে অবস্থান করে। এটি কেবল মৌলিক চাহিদা পূরণের অভাব নয়, বরং সমাজে অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্যের প্রতিফলন।
এই দারিদ্র্যের ধারণা নির্ভর করে একটি নির্দিষ্ট সমাজ, সময় ও প্রেক্ষাপটের ওপর—অর্থাৎ সমাজ যত উন্নত হয়, আপেক্ষিক দারিদ্র্যের মানদণ্ডও পরিবর্তিত হয়।
আপেক্ষিক দারিদ্র্যের প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ:
১) অর্থনৈতিক বৈষম্য: এটি সমাজে ধনী ও দরিদ্রের আয়ের পার্থক্যকে নির্দেশ করে, যেখানে নিম্ন আয়ের মানুষ তুলনামূলকভাবে বঞ্চিত থাকে।
২) সামাজিক প্রেক্ষাপট: আপেক্ষিক দারিদ্র্যের ধারণা এক দেশ থেকে অন্য দেশে, এমনকি একই দেশের মধ্যেও ভিন্ন হতে পারে, কারণ এটি সমাজের সামগ্রিক জীবনযাত্রার মানের ওপর নির্ভরশীল।
৩) তুলনামূলক অবস্থান: একজন ব্যক্তি যখন তার সমাজে প্রচলিত জীবনমান ও সুযোগ-সুবিধা অর্জনে ব্যর্থ হয়, তখন তাকে আপেক্ষিকভাবে দরিদ্র বলা হয়।

0
Updated: 21 hours ago
সমস্যাগ্রস্থ ব্যক্তির অন্তর্নিহিত শক্তি বলতে বুঝানো হয়-
Created: 2 days ago
A
ব্যক্তির মূল্যবোধের বিকাশ
B
ব্যক্তির সততার বিকাশ
C
ব্যক্তির পারিপার্শ্বিক বিকাশ
D
ব্যক্তির সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ
সমাজকর্মে সমস্যাগ্রস্ত ব্যক্তির অন্তর্নিহিত শক্তি বলতে বোঝানো হয় সেই সকল নিজস্ব ক্ষমতা, দক্ষতা, জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও মানসিক দৃঢ়তা, যা একজন ব্যক্তি নিজের সমস্যা মোকাবিলায় ব্যবহার করতে পারে। সমাজকর্মের অন্যতম মূল ধারণা হলো—প্রত্যেক মানুষের ভেতরেই কিছু না কিছু সুপ্ত সামর্থ্য ও ইতিবাচক শক্তি থাকে, যা সঠিক দিকনির্দেশনা ও সহযোগিতার মাধ্যমে বিকশিত করা সম্ভব।
এই অন্তর্নিহিত শক্তি ব্যক্তি সমাজকর্মের মূল ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত, কারণ সমাজকর্মের লক্ষ্য কেবল সাহায্য প্রদান নয়, বরং ব্যক্তিকে নিজের সমস্যার সমাধানে সক্ষম করে তোলা।
ব্যক্তির অন্তর্নিহিত শক্তির মূল দিকগুলো হলো—
১) ব্যক্তিগত দক্ষতা ও সামর্থ্য: যেমন আত্মবিশ্বাস, ধৈর্য, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতা।
২) মানসিক ও আবেগিক দৃঢ়তা: চাপ, দুঃখ বা ব্যর্থতা মোকাবিলার মানসিক প্রস্তুতি ও ইতিবাচক মনোভাব।
৩) সামাজিক ও পারিবারিক সমর্থন: পরিবার, বন্ধু, সমাজ বা প্রতিষ্ঠানের সহায়তা, যা ব্যক্তির পুনর্গঠনে সাহায্য করে।
৪) অভ্যন্তরীণ প্রেরণা ও লক্ষ্য সচেতনতা: নিজের জীবনে পরিবর্তন আনার ইচ্ছাশক্তি ও লক্ষ্যের প্রতি দৃঢ় প্রতিজ্ঞা।
৫) সম্পদ ব্যবহারের দক্ষতা: নিজের চারপাশের সহায়ক উপকরণ ও সুযোগগুলো চিহ্নিত করে সেগুলোর কার্যকর ব্যবহার।
সমাজকর্মী এই অন্তর্নিহিত শক্তিগুলো শনাক্ত করে ব্যক্তিকে নিজের সামর্থ্য কাজে লাগাতে উদ্বুদ্ধ করেন, যাতে সে আত্মনির্ভর ও সমাজে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারে।

0
Updated: 2 days ago
'আচরণ সংশোধন' কৌশল কোন ক্ষেত্রে বেশী প্রয়োগ করা হয়?
Created: 2 days ago
A
দ্বন্দ্ব নিরসনে
B
সামাজিক নিয়ন্ত্রণে
C
আসক্তি নিরাময়ে
D
সমাজ সংস্কার আন্দোলনে
আচরণ সংশোধন (Behavior Modification) হলো এমন একটি কৌশল, যা মূলত শিক্ষা, মনোবিজ্ঞান, থেরাপি এবং সমাজকর্মে ব্যবহৃত হয় মানুষের আচরণে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে। এটি শিক্ষণ তত্ত্ব (Learning Theory), বিশেষ করে বি. এফ. স্কিনারের (B.F. Skinner) প্রবর্তিত অপারেন্ট কন্ডিশনিং (Operant Conditioning) নীতির ওপর ভিত্তি করে গঠিত। এই পদ্ধতিতে ব্যক্তির কাঙ্ক্ষিত আচরণকে উৎসাহিত করা হয় এবং অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ ধীরে ধীরে পরিবর্তনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
সমাজকর্মের ক্ষেত্রে আচরণ সংশোধন কৌশল বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি—
১) সমস্যাগ্রস্ত ব্যক্তির আচরণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, যেমন রাগ, উদ্বেগ, হিংসা বা আত্মবিধ্বংসী প্রবণতা কমানো।
২) মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে ভূমিকা রাখে, যেমন আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি, ইতিবাচক চিন্তা ও সামাজিক মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা বিকাশ।
৩) শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করে, যেখানে ইতিবাচক আচরণকে উৎসাহিত করা হয় এবং কর্মপরিবেশে শৃঙ্খলা বজায় রাখা হয়।
৪) থেরাপি ও কাউন্সেলিংয়ে ব্যবহৃত হয়, বিশেষ করে ব্যক্তির মানসিক বা আবেগীয় সমস্যাগুলো নিরসনে।
এক্ষেত্রে আসক্তি নিরাময়ে আচরণ সংশোধনের ব্যবহার বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। আসক্ত ব্যক্তিদের ধীরে ধীরে মাদক বা ক্ষতিকর অভ্যাস থেকে দূরে রাখতে ইতিবাচক প্রণোদনা, পর্যবেক্ষণ এবং বিকল্প আচরণ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নতুন অভ্যাস গঠনে সহায়তা করা হয়।

0
Updated: 2 days ago
সমাজকর্মের বিশেষায়িত শাখা হলো-
Created: 1 day ago
A
চিকিৎসা সমাজকর্ম
B
প্রতিরোধমূলক সমাজকর্ম
C
উন্নয়নমুলক সমাজকর্ম
D
ব্যক্তি সমাজকর্ম
সমাজকর্মের বিশেষায়িত শাখাগুলি সমাজের নির্দিষ্ট সমস্যা ও জনগোষ্ঠীর চাহিদা পূরণের জন্য কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এসব শাখার মধ্যে রয়েছে চিকিৎসা সমাজকর্ম, বিদ্যালয় সমাজকর্ম, শিল্প সমাজকর্ম, প্রবীণ সমাজকর্ম, সাইকিয়াট্রিক সমাজকর্ম ইত্যাদি।
-
চিকিৎসা সমাজকর্ম: হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে রোগীদের মানসিক, সামাজিক ও আবেগিক চাহিদা পূরণে সহায়তা প্রদান করে।
-
বিদ্যালয় সমাজকর্ম: শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা, ব্যক্তিগত সমস্যা সমাধান এবং সামাজিক বিকাশে সহায়তা করে।
-
শিল্প সমাজকর্ম: কারখানার শ্রমিকদের সুযোগ-সুবিধা, অধিকার এবং কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ উন্নয়নে কাজ করে।
-
প্রবীণ সমাজকর্ম: প্রবীণ জনগোষ্ঠীর কল্যাণ ও অধিকার নিশ্চিত করতে সমাজকর্মের জ্ঞান ও কৌশল প্রয়োগ করে।
-
সাইকিয়াট্রিক সমাজকর্ম: মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনে সহায়তা প্রদান করে।

0
Updated: 1 day ago