সমাজের সংজ্ঞায় ম্যাকাইভার কোন্ বিষয়টি বেশী গুরুত্ব দিয়েছেন?
A
সামাজিক সম্পর্ক
B
সামাজিক দক্ষতা
C
সামাজিক জ্ঞান
D
সামাজিক প্রজ্ঞা
উত্তরের বিবরণ
ম্যাকাইভার (R. M. MacIver) সমাজের সংজ্ঞায় সামাজিক সম্পর্কের গুরুত্বের ওপর বিশেষভাবে জোর দিয়েছেন। তাঁর মতে, সমাজ কোনো স্থির বস্তু নয়, বরং এটি এমন এক গতিশীল ব্যবস্থা, যেখানে মানুষ একে অপরের সঙ্গে বিভিন্ন সামাজিক সম্পর্কের মাধ্যমে যুক্ত ও পরস্পরনির্ভরশীল।
তিনি সমাজকে সংজ্ঞায়িত করেছেন এইভাবে—
“যেসব সামাজিক সম্পর্কের মাধ্যমে আমরা জীবনধারণ করি, সেসব সম্পর্কের সংগঠিত রূপই হলো সমাজ।”
অর্থাৎ, সমাজ কেবল একটি ভৌগোলিক এলাকা বা জনগোষ্ঠী নয়, বরং মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক, যোগাযোগ ও সহযোগিতার মাধ্যমে গঠিত একটি জীবন্ত সামাজিক কাঠামো।
ম্যাকাইভারের সমাজ ধারণার মূল দিকগুলো হলো:
১) সামাজিক সম্পর্কের গুরুত্ব: সমাজের মূল ভিত্তি হলো ব্যক্তি ও ব্যক্তির মধ্যকার সম্পর্ক। এই সম্পর্ক ছাড়া সমাজের অস্তিত্ব কল্পনাতীত।
২) মানবিক পারস্পরিকতা: সমাজ মানুষের পারস্পরিক নির্ভরতা, সহযোগিতা ও পারস্পরিক প্রভাবের মাধ্যমে গঠিত।
৩) সমাজ একটি সংগঠিত রূপ: সমাজকে একটি “জটিল সম্পর্কের জাল” হিসেবে দেখা হয়েছে, যেখানে বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠান, মূল্যবোধ ও নিয়ম একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিত।
৪) ভৌগলিক নয়, সামাজিক কাঠামো: সমাজ কোনো নির্দিষ্ট এলাকা নয়, বরং এটি মানুষের সামাজিক ক্রিয়া ও সম্পর্কের ফল।
ম্যাকাইভার সমাজকে এমন এক সম্পর্কনির্ভর সামাজিক ব্যবস্থা হিসেবে দেখেছেন, যেখানে মানুষ তার জীবন, সংস্কৃতি ও সামাজিক অবস্থান গড়ে তোলে।

0
Updated: 21 hours ago
কোন আইনটি সামাজিক নিরাপত্তার সাথে সম্পর্কযুক্ত?
Created: 1 day ago
A
তথ্য অধিকার আইন ২০০৯
B
পরিবেশ সংরক্ষন আইন ১৯৯৫
C
শ্রমিক ক্ষতিপূরণ আইন ১৯২৩
D
যোগাযোগ আইন ২০০৬
শ্রমিক ক্ষতিপূরণ আইন, ১৯২৩ হল একটি আইন যা ব্রিটিশ শাসনামলে তৎকালীন অবিভক্ত ভারতে প্রণীত হয়েছিল এবং বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে সংশোধিত আকারে কার্যকর রয়েছে। এই আইনের মূল লক্ষ্য হলো কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা বা পেশাগত রোগে আহত বা মৃত্যুবরণকারী শ্রমিকের উপর নির্ভরশীলদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদান করা। আইনটি শ্রমিকদের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং তাদের মৌলিক অধিকার রক্ষা করে।
-
শ্রমিক ক্ষতিপূরণ আইন, ১৯২৩ সরাসরি সামাজিক নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত, কারণ এটি শ্রমিক ও তাদের পরিবারকে আর্থিক সুরক্ষা প্রদান করে।
-
অন্যান্য আইন যেমন জনশৃঙ্খলা বা সুরক্ষামূলক আইন সামাজিক নিরাপত্তার মূলধারার বাইরে পড়ে, যা মূলত জনসাধারণের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষা করে।

0
Updated: 1 day ago
বেগম রোকেয়া কেন বিখ্যাত?
Created: 2 days ago
A
নারী উন্নয়নের জন্য
B
নারী জাগরণের জন্য
C
বই লেখার জন্য
D
পুরুষ-বিদ্বেষের জন্য
বেগম রোকেয়া বিখ্যাত কারণ তিনি ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম নারীবাদী, নারী জাগরণের অগ্রদূত এবং একজন বিশিষ্ট লেখক ও সমাজকর্মী। তিনি নারী শিক্ষা, লিঙ্গ সমতা ও সমাজে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন। তাঁর সাহিত্যকর্ম যেমন সুলতানার স্বপ্ন ও অবরোধবাসিনী নারীর মুক্তি, শিক্ষার গুরুত্ব এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের পক্ষে স্পষ্ট অবস্থান প্রকাশ করে।
তিনি সমাজে নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে কাজ করেন এবং মুসলিম নারী শিক্ষার প্রসারে বেথুন স্কুলের আদলে সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন, যা তাঁর নারী জাগরণে বাস্তব অবদানের প্রমাণ।
যদিও অপশন a ও c-তে আংশিকভাবে সঠিক তথ্য রয়েছে, তবুও সম্পূর্ণ ও সঠিক উত্তর হিসেবে সবচেয়ে উপযুক্ত অপশন b।

0
Updated: 2 days ago
কোনটি সামাজিক গবেষনার পদ্ধতি নয়?
Created: 2 days ago
A
সাক্ষাৎকার পদ্ধতি
B
সামাজিক জরিপ পদ্ধতি
C
পরীক্ষা মূলক পদ্ধতি
D
ঐতিহাসিক পদ্ধতি
সামাজিক গবেষণার বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে, যার মাধ্যমে সমাজ, মানুষ ও সামাজিক ঘটনার বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ করা হয়। প্রধান পদ্ধতিগুলোর মধ্যে রয়েছে গুণগত ও পরিমাণগত গবেষণা, জরিপ, কেস স্টাডি, নৃবৈজ্ঞানিক পদ্ধতি, পরীক্ষণ পদ্ধতি ইত্যাদি। নিচে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেওয়া হলো:
১) তুলনামূলক পদ্ধতি: দুটি বা ততোধিক সমাজ বা সম্প্রদায়ের মধ্যে তুলনা করে তাদের সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য নির্ধারণ করা হয়। এটি সমাজের কাঠামোগত ও সাংস্কৃতিক পার্থক্য বিশ্লেষণে সহায়ক।
২) জরিপ পদ্ধতি: এটি সবচেয়ে প্রচলিত গবেষণা পদ্ধতি, যেখানে একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীর কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। সাধারণত প্রশ্নপত্র বা সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে পরিসংখ্যানভিত্তিক তথ্য সংগৃহীত হয়।
৩) কেস স্টাডি (Case Study): কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি, গোষ্ঠী, প্রতিষ্ঠান বা ঘটনার গভীর ও বিস্তারিত বিশ্লেষণ করা হয়, যাতে বিষয়টির প্রকৃতি ও প্রভাব স্পষ্টভাবে বোঝা যায়।
৪) নৃবৈজ্ঞানিক পদ্ধতি: গবেষক সরাসরি সমাজে মিশে গিয়ে মানুষের আচরণ, সংস্কৃতি ও জীবনধারা পর্যবেক্ষণ করেন। এটি সমাজের অন্তর্নিহিত সংস্কৃতি ও সম্পর্কের ধরন বোঝার জন্য বিশেষভাবে কার্যকর।
৫) গুণগত ও পরিমাণগত গবেষণা:
-
গুণগত গবেষণা: মানুষের আচরণ, মনোভাব, অভিজ্ঞতা ও সামাজিক ঘটনার গভীরতা বিশ্লেষণ করে।
-
পরিমাণগত গবেষণা: পরিসংখ্যান, সংখ্যা ও পরিমাপযোগ্য তথ্যের মাধ্যমে সমাজ সম্পর্কিত ধারণা তৈরি করে।
৬) পরীক্ষণ পদ্ধতি বা পরীক্ষামূলক পদ্ধতি: নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে কোনো ঘটনার কারণ ও ফলাফল নির্ধারণের জন্য পরীক্ষা পরিচালনা করা হয়।
৭) ঐতিহাসিক পদ্ধতি: অতীতের ঘটনা, দলিল ও ঐতিহাসিক নথি বিশ্লেষণ করে বর্তমান সমাজের বিকাশ ও কাঠামো বোঝা হয়।
উল্লেখ্য, সাক্ষাৎকার পদ্ধতি সামাজিক গবেষণার মূল পদ্ধতি নয়; এটি কেবল একটি তথ্য সংগ্রহের উপায় (Data Collection Method) হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
সুতরাং উত্তর হবে অপশন "a"।

0
Updated: 2 days ago