স্কাউট কার্যক্রমের জনক-
A
ব্যাডেন পাওয়েল
B
হেনরি ডুনান্ট
C
রাজা রামমোহন রায়
D
হেনরিয়েটা
উত্তরের বিবরণ
স্কাউট কার্যক্রমের জনক হলেন রবার্ট স্টিফেনসন স্মিথ লর্ড ব্যাডেন পাওয়েল অফ গিলওয়েল (Robert Stephenson Smyth Lord Baden-Powell of Gilwell)। তিনি বিশ্বব্যাপী স্কাউট আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে পরিচিত এবং স্কাউট সদস্যদের কাছে আদর করে “বি.পি” (B.P.) নামে বেশি পরিচিত।
ব্যাডেন পাওয়েল ছিলেন ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা। তাঁর সামরিক জীবনের অভিজ্ঞতা, বিশেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাফেকিং (Mafeking) যুদ্ধের সময় তরুণদের প্রশিক্ষণ দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পাদনের সাফল্য তাঁকে অনুপ্রাণিত করে বালক স্কাউট আন্দোলন (Boy Scout Movement) শুরু করতে।
স্কাউট আন্দোলনের সূচনা:
১৯০৭ সালে ব্যাডেন পাওয়েল ইংল্যান্ডের ব্রাউনসি দ্বীপে (Brownsea Island) প্রথম পরীক্ষামূলক স্কাউট ক্যাম্পের আয়োজন করেন, যেখানে ২০ জন বালক অংশ নেয়। এই ক্যাম্পের সাফল্যই স্কাউট আন্দোলনের আনুষ্ঠানিক সূচনা হিসেবে বিবেচিত হয়।
পরবর্তীতে তিনি ১৯০৮ সালে তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ “Scouting for Boys” প্রকাশ করেন, যা বিশ্বব্যাপী স্কাউট আন্দোলনের মূল দিকনির্দেশনা হিসেবে গৃহীত হয়।
ব্যাডেন পাওয়েলের অবদান:
১) বিশ্ব স্কাউট আন্দোলনের ভিত্তি স্থাপন।
২) তরুণদের নেতৃত্ব, শৃঙ্খলা, আত্মনির্ভরতা ও সেবার চেতনা জাগ্রত করা।
৩) শিক্ষা ও নৈতিকতার সমন্বয়ে চরিত্র গঠনমূলক আন্দোলন তৈরি।
রবার্ট স্টিফেনসন স্মিথ লর্ড ব্যাডেন পাওয়েল অফ গিলওয়েল (বি.পি.)-ই স্কাউট কার্যক্রমের প্রবর্তক ও বিশ্ব স্কাউট আন্দোলনের জনক, যিনি ১৯০৭ সালে এই মানবিক ও নেতৃত্বগঠনমূলক আন্দোলনের সূচনা করেন।

0
Updated: 21 hours ago
বেগম রোকেয়া কেন বিখ্যাত?
Created: 2 days ago
A
নারী উন্নয়নের জন্য
B
নারী জাগরণের জন্য
C
বই লেখার জন্য
D
পুরুষ-বিদ্বেষের জন্য
বেগম রোকেয়া বিখ্যাত কারণ তিনি ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম নারীবাদী, নারী জাগরণের অগ্রদূত এবং একজন বিশিষ্ট লেখক ও সমাজকর্মী। তিনি নারী শিক্ষা, লিঙ্গ সমতা ও সমাজে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন। তাঁর সাহিত্যকর্ম যেমন সুলতানার স্বপ্ন ও অবরোধবাসিনী নারীর মুক্তি, শিক্ষার গুরুত্ব এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের পক্ষে স্পষ্ট অবস্থান প্রকাশ করে।
তিনি সমাজে নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে কাজ করেন এবং মুসলিম নারী শিক্ষার প্রসারে বেথুন স্কুলের আদলে সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন, যা তাঁর নারী জাগরণে বাস্তব অবদানের প্রমাণ।
যদিও অপশন a ও c-তে আংশিকভাবে সঠিক তথ্য রয়েছে, তবুও সম্পূর্ণ ও সঠিক উত্তর হিসেবে সবচেয়ে উপযুক্ত অপশন b।

0
Updated: 2 days ago
গ্রামীন সমাজসেবা (Rural Social Service) কত সালে শুরু হয়?
Created: 1 day ago
A
১৯৬৪ সালে
B
১৯৬৫ সালে
C
১৯৭৪ সালে
D
১৯৭৫ সালে
গ্রামীণ সমাজসেবা (Rural Social Service) হলো সমাজকল্যাণমূলক একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি, যার লক্ষ্য ছিল গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন এবং সমাজে স্বনির্ভরতা প্রতিষ্ঠা করা। এ কর্মসূচির মাধ্যমে গ্রামীণ এলাকায় দারিদ্র্য হ্রাস, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নারী উন্নয়ন ও সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
এই কর্মসূচি ১৯৭৪ সালে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয়, এবং এটি পরিচালনার দায়িত্বে ছিল সমাজসেবা অধিদপ্তর। প্রথম পর্যায়ে ১৯টি তৎকালীন থানায় এ কার্যক্রম চালু করা হয়। প্রাথমিক সাফল্যের পর সরকার ১৯৭৭ সালে আরও ২১টি থানায় এই কার্যক্রম সম্প্রসারণ করে, যার ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্র বিস্তৃত হয়।
গ্রামীণ সমাজসেবার মূল উদ্দেশ্য ছিল—
১) দরিদ্র ও অবহেলিত জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে স্বনির্ভরতা গঠন।
২) স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে সামাজিক সমস্যা সমাধান করা।
৩) নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে কার্যকর সেবা প্রদান।
৪) শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে সমাজে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা।

0
Updated: 1 day ago
বাংলাদেশে সমাজকর্ম পেশা হিসাবে স্বীকৃতি না পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রধানতম প্রতিবন্ধকতা কী?
Created: 2 days ago
A
দক্ষ সমাজকর্মীর অভাব
B
পর্যাপ্ত জ্ঞান না থাকা
C
সরকারের স্বীকৃতির অভাব
D
সাধারন মানুষ চায়না
বাংলাদেশে সমাজকর্ম এখনো একটি পূর্ণাঙ্গ পেশা হিসেবে স্বীকৃতি পায়নি, যার পেছনে একাধিক কাঠামোগত ও নীতিগত প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। সমাজকর্ম দেশের সামাজিক উন্নয়ন ও মানবকল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও এটি এখনো পেশাগত মর্যাদা অর্জন করতে পারেনি।
প্রধান প্রতিবন্ধকতাগুলো হলো—
১) অপূর্ণাঙ্গ ও অসংগঠিত পেশাগত কাঠামো: সমাজকর্মের জন্য কোনো নির্দিষ্ট পেশাগত মান, দক্ষতা মূল্যায়ন ব্যবস্থা বা সুসংগঠিত প্রশাসনিক কাঠামো নেই। ফলে সমাজকর্মীরা তাদের কাজের পরিধি অনুযায়ী স্বীকৃতি পান না।
২) পেশাগত মূল্যবোধ ও নৈতিক মানদণ্ডের অভাব: সমাজকর্মে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নৈতিক মানদণ্ড থাকলেও দেশে তা পর্যাপ্তভাবে প্রয়োগ বা সংরক্ষণ করা হয় না।
৩) পেশাগত সংগঠনের অভাব: সমাজকর্মীদের জন্য একটি শক্তিশালী ও কার্যকর পেশাগত সংগঠন গঠিত না হওয়ায় তাদের অধিকার, স্বার্থ ও পেশাগত মর্যাদা রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগ দেখা যায় না।
৪) কর্মসংস্থানের সীমাবদ্ধতা: সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহে সমাজকর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত পদ ও সুযোগের অভাব রয়েছে, ফলে দক্ষ পেশাজীবীরা অন্য পেশায় চলে যেতে বাধ্য হন।
তবে, এর মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হলো সরকারের স্বীকৃতির অভাব। কারণ, যদি সরকার সমাজকর্মকে একটি আনুষ্ঠানিক পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দিত, তবে উপরের সব সমস্যার সমাধান সহজ হতো। সরকারি স্বীকৃতি সমাজকর্মীদের জন্য পেশাগত কাঠামো, সংগঠন, মানদণ্ড এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে প্রধান ভূমিকা রাখত।

0
Updated: 2 days ago