কোন বইটি Mary Ellen Richmond রচিত?
A
Diagnosis in Social Work
B
Social Prevention
C
Social Diagnosis
D
Social Competence
উত্তরের বিবরণ
মেরি এলেন রিচমন্ড (Mary Ellen Richmond) ছিলেন পেশাদার সমাজকর্মের ভিত্তি প্রণেতা হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরিচিত। তাঁর লেখা বইগুলো সমাজকর্মকে একটি বৈজ্ঞানিক ও পদ্ধতিগত পেশা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত গ্রন্থ হলো “Social Diagnosis” (১৯১৭), যা সমাজকর্ম ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী কাজ হিসেবে বিবেচিত। এই বইয়ে রিচমন্ড সমাজকর্মে বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ, পর্যবেক্ষণ এবং তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া উপস্থাপন করেন। তিনি দেখান যে, একজন ব্যক্তির সমস্যা বোঝার জন্য তার পারিপার্শ্বিক পরিবেশ, সামাজিক সম্পর্ক ও অর্থনৈতিক অবস্থা গভীরভাবে বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন।
“Social Diagnosis” (১৯১৭)-এর মূল অবদান:
১) সমাজকর্মে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির প্রবর্তন।
২) ব্যক্তি ও পরিবেশের পারস্পরিক সম্পর্ক বিশ্লেষণের ওপর জোর।
৩) সমাজকর্মীর জন্য তথ্য সংগ্রহ, মূল্যায়ন ও পরিকল্পনা প্রণয়নের নির্দেশনা।
৪) সমাজকর্মকে পেশাগত জ্ঞান ও নৈতিক মানদণ্ডের ভিত্তিতে পরিচালিত করার ভিত্তি।
এছাড়া মেরি রিচমন্ড আরও দুটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ রচনা করেন—
১) “Friendly Visiting Among the Poor” (১৮৯৯): সমাজের দরিদ্র মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলে সহায়তা করার নীতিমালা।
২) “What Is Social Case Work: An Introductory Description” (১৯২২): ব্যক্তি সমাজকর্মের ধারণা ও পদ্ধতির সহজ ব্যাখ্যা।

0
Updated: 21 hours ago
কোন তত্ত্বটি মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনার সাথে বেশী জড়িত-
Created: 21 hours ago
A
বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনা তত্ত্ব
B
X ও Y তত্ত্ব
C
সিস্টেম তত্ত্ব
D
জনসংখা তত্ত্ব
X তত্ত্ব ও Y তত্ত্ব (Theory X and Theory Y) মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা ও সংগঠন পরিচালনার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা, যা ডগলাস ম্যাকগ্রেগর (Douglas McGregor) ১৯৬০ সালে প্রস্তাব করেন। এই দুটি তত্ত্ব মানুষের কাজের প্রতি মনোভাব ও ব্যবস্থাপনার ধরন সম্পর্কে দুটি বিপরীতমুখী দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে।
X তত্ত্বের মূল বক্তব্য:
১) কর্মীরা সহজাতভাবে কাজ অপছন্দ করে এবং সুযোগ পেলে তা এড়িয়ে যায়।
২) তাদের কাজে বাধ্য, নিয়ন্ত্রিত ও তদারকির মাধ্যমে সম্পৃক্ত রাখতে হয়।
৩) তারা দায়িত্ব নিতে চায় না, বরং নির্দেশ মেনে চলতে পছন্দ করে।
৪) তাদের মূল প্রেরণা অর্থ বা বেতন, কাজের প্রতি আন্তরিক আগ্রহ নয়।
৫) এই তত্ত্বে ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি কর্তৃত্বমূলক ও শৃঙ্খলামুখী।
Y তত্ত্বের মূল বক্তব্য:
১) কর্মীরা কাজকে প্রাকৃতিক ও স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া হিসেবে গ্রহণ করে।
২) তারা স্বনিয়ন্ত্রিত ও স্বপ্রণোদিত, তাই সবসময় নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন হয় না।
৩) কর্মীরা শুধু বেতন নয়, দায়িত্ব, সৃজনশীলতা ও স্বীকৃতিকেও প্রেরণার উৎস হিসেবে দেখে।
৪) তারা সমস্যা সমাধান ও লক্ষ্য অর্জনে আগ্রহী এবং অংশগ্রহণমূলক পরিবেশে ভালো কাজ করে।
৫) এই তত্ত্বে ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি উদ্দীপনামূলক ও সহযোগিতামূলক।
সংক্ষেপে:
-
X তত্ত্ব একটি নেতিবাচক ও কর্তৃত্বমূলক ব্যবস্থাপনা দৃষ্টিভঙ্গি, যেখানে কর্মীদের অবিশ্বাস ও শৃঙ্খলায় রাখা হয়।
-
Y তত্ত্ব একটি ইতিবাচক ও অংশগ্রহণমূলক দৃষ্টিভঙ্গি, যেখানে কর্মীদের বিশ্বাস, প্রেরণা ও সৃজনশীলতা গুরুত্ব পায়।
অতএব, প্রদত্ত প্রশ্নে অপশন “B” উত্তর হিসেবে সবচেয়ে উপযুক্ত, কারণ এটি কর্মীদের আচরণ ও ব্যবস্থাপনার বাস্তবধর্মী ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রতিফলিত করে।

0
Updated: 21 hours ago
কোন অবস্থা সামাজিক নিরাপত্তার জন্য বিবেচ্য নয়?
Created: 1 day ago
A
অসুস্থতা
B
বার্ধক্য
C
বেকারত্ব
D
ছিনতাইয়ের শিকার হওয়া
যখন কোনো ব্যক্তি অসুস্থতা, বেকারত্ব, বার্ধক্য, দুর্ঘটনা বা পঙ্গুত্বের মতো পরিস্থিতির কারণে নিজে বা পরিবারকে রক্ষা করতে পারে না, তখন এসব পরিস্থিতি সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় পড়ে।
সামাজিক নিরাপত্তা বলতে এমন সব নীতি ও কর্মসূচিকে বোঝায়, যা মানুষকে অর্থনৈতিক ও সামাজিক ঝুঁকি—যেমন অসুস্থতা, বেকারত্ব, বার্ধক্য বা দুর্ঘটনা—থেকে রক্ষা করে। এর মাধ্যমে সমাজে দারিদ্র্য, বৈষম্য ও দুর্বলতা হ্রাস পায়।
এর আওতায় সাধারণত বিভিন্ন সুবিধা অন্তর্ভুক্ত থাকে, যেমন—
১) নগদ অর্থ প্রদান বা ভাতা।
২) চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা।
৩) দক্ষতা উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ।
৪) অন্যান্য সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি, যা দুর্বল জনগোষ্ঠীকে সমাজের মূলধারায় ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করে।

0
Updated: 1 day ago
সক্ষম দরিদ্র কারা?
Created: 1 day ago
A
যারা ভিক্ষা করতে সক্ষম
B
জীবিকা নির্বাহের জন্য যারা শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষমতাসম্পন্ন
C
যারা কাজ করে অথচ দরিদ্র
D
যারা কাজ করার জন্য শারীরিক ভাবে সক্ষম নয়
সক্ষম দরিদ্র বলতে তাদেরকে বোঝায়, যারা শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ এবং কাজ করার সক্ষমতা রাখে, কিন্তু তবুও দারিদ্র্যের মধ্যে জীবনযাপন করে। এই শ্রেণির মানুষদের সাধারণত ‘সবল ও কর্মক্ষম ভিক্ষুক’ হিসেবেও উল্লেখ করা হয়, কারণ তারা শ্রম দিতে সক্ষম হলেও নানা কারণে কর্মসংস্থান পায় না এবং অনেক সময় ভিক্ষাবৃত্তির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে।
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে দেখা যায়, ১৬০১ সালের ইংল্যান্ডের দরিদ্র আইন (Poor Law of 1601)-এ এই সক্ষম দরিদ্রদের ভিক্ষাবৃত্তি করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছিল এবং তাদের কাজ করতে বাধ্য করা হতো। এর মাধ্যমে সমাজে কর্মক্ষম ব্যক্তিদের শ্রমের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছিল।

0
Updated: 1 day ago