বিদায়ী হজ্জের ভাষণে কোন্ মৌলিক নীতির প্রতি জোর দেওয়া হয়েছে?
A
যুদ্ধ কৌশল
B
যুদ্ধ বিলোপ
C
নারী অধিকার
D
মানবতার মর্যাদা ও ক্ষমতা
উত্তরের বিবরণ
বিদায় হজের ভাষণ ছিল মানবতার মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠার এক অনন্য দৃষ্টান্ত, যেখানে রাসুলুল্লাহ ﷺ মানবজাতির ন্যায়, সমতা ও ভ্রাতৃত্বের নীতিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন। এটি শুধু ধর্মীয় নির্দেশ নয়, বরং সমগ্র মানবসমাজের জন্য এক সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা হিসেবে বিবেচিত হয়।
-
মানুষের জীবন, সম্পদ ও মর্যাদা পবিত্র, এগুলোর প্রতি আঘাত বা অবমাননা করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
-
জাতি, বর্ণ ও ভাষার কোনো শ্রেষ্ঠত্ব নেই, প্রকৃত মর্যাদা নির্ধারিত হয় কেবল তাকওয়া ও সৎকর্মের ভিত্তিতে।
-
নারীদের অধিকার সুরক্ষিত করার ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়, যাতে পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
সমাজে ন্যায়বিচার, ভ্রাতৃত্ব, সহমর্মিতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধা বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
-
সুদ, রক্তপাত ও অন্যায়ের সকল রূপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সমাজে শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানানো হয়।
-
এই ভাষণ মানবসভ্যতার ইতিহাসে এমন এক দলিল, যেখানে মানবতার মর্যাদা ও সমতার মূলনীতি সবচেয়ে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।

0
Updated: 21 hours ago
রাসুল (সঃ) কত বছর বয়সে সিরিয়ায় প্রথম বাণিজ্যের জন্য সফর করেন?
Created: 21 hours ago
A
১৫ বছর
B
১০ বছর
C
১২ বছর
D
২০ বছর
রাসূলুল্লাহ (সা.) শৈশবকালেই তাঁর জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সম্মুখীন হন। মাত্র ১২ বছর বয়সে তিনি চাচা আবু তালিবের সঙ্গে প্রথমবার সিরিয়ার বাণিজ্য সফরে যান। এই সফরের সময় সিরিয়ার বুছরা শহরে খ্রিস্টান পাদ্রী বাহীরা তাঁর মধ্যে নবুওতের নিদর্শন চিনতে পারেন এবং ভবিষ্যতে তিনি নবী হবেন বলে ইঙ্গিত দেন।
-
এই সফর ছিল নবীজীর জীবনের প্রথম বিদেশযাত্রা ও বাণিজ্য অভিজ্ঞতা।
-
বাহীরা পাদ্রী নবীজীর মুখমণ্ডল ও আচরণ দেখে নবুওতের চিহ্ন শনাক্ত করেন।
-
তিনি আবু তালিবকে সতর্ক করেন যেন নবুওতের এই শিশুকে রক্ষা করা হয়, কারণ ইহুদি বা অন্য ধর্মাবলম্বীরা তাঁকে ক্ষতি করতে পারে।
-
এই ঘটনাটি ইসলামী ইতিহাসে নবুওতের প্রারম্ভিক পূর্বাভাস হিসেবে বিবেচিত।
-
সফরটি রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর ভবিষ্যৎ বাণিজ্যিক ও দাওয়াতি জীবনের প্রস্তুতির একটি সূচনা হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ।

0
Updated: 21 hours ago
কোন পাপ আল্লাহ্ ক্ষমা করেন না?
Created: 1 day ago
A
ব্যাভিচারের পাপ
B
শিরকের পাপ
C
হত্যা করার পাপ
D
রাসুল (সাঃ)-কে অপমান করার পাপ
আল্লাহ তায়ালা স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছেন যে, তিনি শিরককে কখনো ক্ষমা করেন না, তবে এর বাইরে যেসব পাপ রয়েছে, সেগুলো তিনি যাকে চান ক্ষমা করে দেন। এটি আল্লাহর একান্ত ইচ্ছাধীন বিষয়। যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে শরীক স্থাপন করে, সে এক মহাপাপ ও অমার্জনীয় অপরাধ করে।
-
শিরক অর্থ হলো আল্লাহর সত্তা, গুণ বা ইবাদতে অন্য কাউকে অংশীদার করা।
-
এটি এমন একটি পাপ যা তওবা ছাড়া কখনো ক্ষমাযোগ্য নয়।
-
তাওহিদ হচ্ছে ইসলামের মূল ভিত্তি, যা আল্লাহর একত্বে বিশ্বাস স্থাপন করে।
-
আল্লাহর সাথে শরীক করা মানুষের আখিরাতকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয় এবং জান্নাত থেকে বঞ্চিত করে।
-
কুরআনের অন্য আয়াতেও বলা হয়েছে—“যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে শরীক করবে, নিশ্চয়ই আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দিয়েছেন এবং তার আশ্রয় হবে জাহান্নাম।”
-
এই আয়াত মানুষকে সতর্ক করে দেয় যে, ইমান রক্ষার প্রথম শর্ত হলো শিরক থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকা।

0
Updated: 1 day ago
ভাই ভাই সম্পর্ক বিনষ্টকারী কোন কাজ সুরা আল-হুজরাতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে?
Created: 1 day ago
A
টাকা ধার দেয়া
B
সালাম না দেয়া
C
উপহাস ও বিদ্রূপ করা
D
দাওয়াত না দেয়া
এই আয়াতে মুসলমানদের পারস্পরিক সম্পর্কের আদর্শ আচরণ শিক্ষা দেওয়া হয়েছে, যাতে কেউ অন্যকে তুচ্ছ বা অপমান না করে।
-
আয়াতে বলা হয়েছে, “হে ঈমানদারগণ” — অর্থাৎ এটি সরাসরি বিশ্বাসীদের উদ্দেশ্যে করা আহ্বান।
-
নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, কোনো সম্প্রদায় যেন অন্য সম্প্রদায়কে বিদ্রূপ না করে, কারণ এতে অহংকার ও হীনমন্যতা সৃষ্টি হয়।
-
বিদ্রূপের শিকার ব্যক্তিরাই আল্লাহর কাছে উত্তম হতে পারে, তাই কাউকে ছোট করে দেখা অন্যায়ের শামিল।
-
এই আয়াত মানুষকে সম্মান, ভ্রাতৃত্ব ও নৈতিক শালীনতার শিক্ষা দেয়।
-
এটি সমাজে ঘৃণা ও বিভেদ রোধের এক গুরুত্বপূর্ণ নীতি, যা ইসলামী সামাজিক ন্যায়ের মূলভিত্তি।

0
Updated: 1 day ago