বাইয়াতে রিদওয়ানের প্রেক্ষাপট কী ছিল?
A
হযরত ওসমান (রাঃ)এর শহীদ হওয়ার গুজব
B
হযরত উমর (রাঃ) এর বিরোধিতা করার কারনে
C
মক্কায় প্রবেশে কুরাইশদের প্রচন্ড বিরোধিতা
D
মুসলমানদের মধ্যে সাহস সঞ্চার করার জন্য
উত্তরের বিবরণ
বাইয়াতে রিদওয়ান ছিল ইসলামী ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, যা ঘটে হুদায়বিয়ার সময়। এর প্রেক্ষাপট ছিল মক্কার কুরাইশদের দ্বারা হযরত উসমান (রা.)-কে মক্কায় প্রবেশের অনুমতি না দেওয়া। এতে মক্কা ও মদিনার মধ্যে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
-
নবী মুহাম্মদ (সা.) হযরত উসমান (রা.)-কে দূত হিসেবে মক্কায় পাঠান শান্তিপূর্ণ আলোচনার জন্য।
-
তাঁর ফিরে আসতে বিলম্ব হওয়ায় গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে উসমান (রা.) শহিদ হয়েছেন, যা মুসলমানদের মধ্যে গভীর ক্ষোভের সৃষ্টি করে।
-
এই পরিস্থিতিতে নবী (সা.)-এর নির্দেশে প্রায় ১৪০০ সাহাবি বাবলা গাছের নিচে শপথ (বাইয়াত) গ্রহণ করেন, যে তারা হযরত উসমান (রা.)-এর হত্যার প্রতিশোধ নেবেন।
-
এই শপথই ইতিহাসে পরিচিত ‘বাইয়াতে রিদওয়ান’ নামে, যার অর্থ আল্লাহর সন্তুষ্টির বাইয়াত।
-
কুরআনে সূরা আল-ফাতহে এই ঘটনার উল্লেখ আছে, যেখানে আল্লাহ তাআলা বলেন যে, যারা এই বাইয়াত গ্রহণ করেছিলেন, আল্লাহ তাঁদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছিলেন।

0
Updated: 22 hours ago
'কিতাব আত্ তাসরিফ' গ্রন্থটি কোন বিষয়ে রচিত?
Created: 22 hours ago
A
শল্য চিকিৎসা
B
ভূগোল বিদ্যা
C
জ্যোতির্বিদ্যা
D
গনিত বিদ্যা
‘কিতাব আত তাসরিফ’ ইসলামী স্বর্ণযুগের চিকিৎসাবিজ্ঞানে এক গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ, যা আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের বিকাশে মৌলিক ভূমিকা পালন করেছে। এটি চিকিৎসাবিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখাকে সুসংগঠিতভাবে উপস্থাপন করেছে।
১. ‘কিতাব আত তাসরিফ’ একটি চিকিৎসা বিষয়ক বিশ্বকোষ, যা চিকিৎসাবিজ্ঞানের প্রায় সব শাখা নিয়ে রচিত।
২. গ্রন্থটির রচয়িতা হলেন আবুল কাসিম আল-জাহরাভি (Abul Qasim al-Zahrawi), যিনি একজন খ্যাতনামা শল্যচিকিৎসক ও সার্জন ছিলেন।
৩. এতে শল্যচিকিৎসা, ওষুধ প্রস্তুতকরণ, শরীরবিদ্যা, দাঁতের যত্ন এবং পুষ্টিবিজ্ঞান সম্পর্কিত বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে।
৪. আল-জাহরাভি তাঁর গ্রন্থে বিভিন্ন শল্যচিকিৎসার পদ্ধতি ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির চিত্র সংযোজন করেন, যা সে সময়ে এক অনন্য উদ্ভাবন ছিল।
৫. এই বই চিকিৎসাবিজ্ঞানের ইতিহাসে প্রথম ব্যবহারিক সার্জিক্যাল নির্দেশিকা হিসেবে স্বীকৃত।
৬. ‘কিতাব আত তাসরিফ’ পরবর্তীকালে ইউরোপীয় চিকিৎসাশাস্ত্রেও গভীর প্রভাব ফেলেছিল, এবং শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এটি চিকিৎসকদের পাঠ্যপুস্তক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।

0
Updated: 22 hours ago
ইসলামে সার্বভৌমত্তের মালিক কে?
Created: 22 hours ago
A
খলিফা
B
বাদশাহ
C
রাষ্ট্রপতি
D
আল্লাহ্
ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী সার্বভৌমত্বের মালিক একমাত্র আল্লাহ। মানুষের কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এ ক্ষমতার অধিকারী নয়। ইসলামি চিন্তাধারায় এই ধারণা প্রতিষ্ঠিত যে, আল্লাহই সব কিছুর সৃষ্টি, নিয়ন্ত্রণ ও বিধানদাতা।
-
আল্লাহ রাব্বুল আলামিনই একমাত্র সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী।
-
তাঁর এই ক্ষমতায় কোনো অংশীদার বা সহযোগী নেই।
-
ইসলামী রাষ্ট্রে আল্লাহর আইনই সর্বোচ্চ এবং রাষ্ট্রীয় সব ক্ষমতা তাঁর বিধানের অধীন।
-
শাসক ও প্রজারা উভয়েই আল্লাহর আদেশ ও নিষেধের প্রতি বাধ্য।
-
ইসলামী ন্যায়বিচারব্যবস্থায় মানবসৃষ্ট আইন নয়, বরং আল্লাহর নির্দেশই নীতি ও বিধানের মূল উৎস।

0
Updated: 22 hours ago
ওয়ারাকা ইবনে নওফেল কোন্ ভাষায় ইনজিল কিতাব লিখতেন?
Created: 1 day ago
A
হিব্রু ভাষায়
B
ইবরানী ভাষায়
C
আরবী ভাষায়
D
মক্কার আঞ্চলিক ভাষায়
ওয়ারাকা বিন নওফেল ছিলেন জ্ঞানী ও ধর্মীয় গ্রন্থসমূহে পারদর্শী ব্যক্তি। তিনি ইবরানী (হিব্রু) ভাষায় লেখালেখি ও অনুবাদে দক্ষ ছিলেন। আল্লাহর তাওফীকে তিনি ইঞ্জিলকে ইবরানী ভাষায় অনুবাদ করতেন, যা তার জ্ঞান ও প্রজ্ঞার প্রতিফলন।
পয়েন্ট আকারে—
-
ওয়ারাকা বিন নওফেল ছিলেন হযরত খাদিজা (রা.)-এর চাচাতো ভাই এবং প্রাক-ইসলামিক যুগে একেশ্বরবাদে বিশ্বাসী ছিলেন।
-
তিনি ইবরানী বা হিব্রু ভাষায় লিখতে জানতেন।
-
আল্লাহর অনুপ্রেরণায় তিনি ইঞ্জিলকে ইবরানী ভাষায় অনুবাদ করতেন।
-
ইবরানী ও হিব্রু ভাষা মূলত একই ভাষা, শুধু নামের পার্থক্য রয়েছে।
-
প্রশ্নে যদি “ইবরানী ভাষা” উল্লেখ থাকে, সেটিই সঠিক উত্তর; আর যদি না থাকে, তবে “হিব্রু ভাষা”ই যথার্থ উত্তর হবে।

0
Updated: 1 day ago