'কিতাব আত্ তাসরিফ' গ্রন্থটি কোন বিষয়ে রচিত?
A
শল্য চিকিৎসা
B
ভূগোল বিদ্যা
C
জ্যোতির্বিদ্যা
D
গনিত বিদ্যা
উত্তরের বিবরণ
‘কিতাব আত তাসরিফ’ ইসলামী স্বর্ণযুগের চিকিৎসাবিজ্ঞানে এক গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ, যা আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের বিকাশে মৌলিক ভূমিকা পালন করেছে। এটি চিকিৎসাবিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখাকে সুসংগঠিতভাবে উপস্থাপন করেছে।
১. ‘কিতাব আত তাসরিফ’ একটি চিকিৎসা বিষয়ক বিশ্বকোষ, যা চিকিৎসাবিজ্ঞানের প্রায় সব শাখা নিয়ে রচিত।
২. গ্রন্থটির রচয়িতা হলেন আবুল কাসিম আল-জাহরাভি (Abul Qasim al-Zahrawi), যিনি একজন খ্যাতনামা শল্যচিকিৎসক ও সার্জন ছিলেন।
৩. এতে শল্যচিকিৎসা, ওষুধ প্রস্তুতকরণ, শরীরবিদ্যা, দাঁতের যত্ন এবং পুষ্টিবিজ্ঞান সম্পর্কিত বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে।
৪. আল-জাহরাভি তাঁর গ্রন্থে বিভিন্ন শল্যচিকিৎসার পদ্ধতি ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির চিত্র সংযোজন করেন, যা সে সময়ে এক অনন্য উদ্ভাবন ছিল।
৫. এই বই চিকিৎসাবিজ্ঞানের ইতিহাসে প্রথম ব্যবহারিক সার্জিক্যাল নির্দেশিকা হিসেবে স্বীকৃত।
৬. ‘কিতাব আত তাসরিফ’ পরবর্তীকালে ইউরোপীয় চিকিৎসাশাস্ত্রেও গভীর প্রভাব ফেলেছিল, এবং শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এটি চিকিৎসকদের পাঠ্যপুস্তক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।

0
Updated: 22 hours ago
রাসুল (সঃ) 'আল আমিন' উপাধি লাভ করেন?
Created: 22 hours ago
A
তাঁর সামাজিক কর্মদক্ষতা ও সততার কারণে
B
সত্য কথা বলার জন্য
C
মিথ্যাকে ঘৃণা করার কারণে
D
সামাজিক কর্মকান্ডে তাঁর সততা ও বিশ্বস্ততাঁর কারণে
রাসুল (সঃ) তাঁর অসাধারণ সততা, ন্যায়নিষ্ঠা ও বিশ্বস্ততার কারণে ‘আল-আমিন’ উপাধিতে ভূষিত হন। সমাজে তিনি ছিলেন এমন একজন ব্যক্তি, যাঁর প্রতি সবাই সম্পূর্ণ আস্থা রাখত।
-
তিনি সত্যবাদিতা ও আমানতদারিতার জন্য প্রসিদ্ধ ছিলেন।
-
শত্রু-মিত্র নির্বিশেষে সবাই তাঁর কাছে মূল্যবান সম্পদ গচ্ছিত রাখত, কারণ তাঁরা জানত, নবী (সঃ) কখনো বিশ্বাসভঙ্গ করবেন না।
-
ব্যবসা-বাণিজ্য, সামাজিক আচরণ ও ব্যক্তিগত জীবনে তিনি সর্বদা সততা ও ন্যায়পরায়ণতা বজায় রাখতেন।
-
তাঁর এই গুণাবলি মক্কার সমাজে তাঁকে বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
-
‘আল-আমিন’ উপাধি ইসলামী ইতিহাসে তাঁর নৈতিক আদর্শ ও চরিত্রের উৎকর্ষের প্রতীক হিসেবে আজও সমাদৃত।

0
Updated: 22 hours ago
যে হাদিস বুখারী ও মুসলিমে একই সনদ ও মতনে বর্ণিত তাকে বলে-
Created: 22 hours ago
A
মুত্তাফাকুন লাহু
B
মুত্তাফাকুন ফীহে
C
মুত্তাফাকুন আলাইহি
D
মুত্তাফাকুন আনহু
মুত্তাফাকুন আলাইহি এমন হাদীসকে বলা হয়, যা ইমাম আল-বুখারী (রহ.) ও ইমাম মুসলিম (রহ.) উভয়ে তাঁদের সহীহ গ্রন্থে একই বর্ণনায় একসাথে উল্লেখ করেছেন। এটি হাদীসের সর্বোচ্চ নির্ভরযোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতার প্রতীক হিসেবে গণ্য হয়।
-
“মুত্তাফাকুন আলাইহি” শব্দের অর্থ হলো উভয়ের মধ্যে ঐকমত্য রয়েছে।
-
এই ধরনের হাদীসকে সহীহুল সহীহ অর্থাৎ সবচেয়ে সহীহ হাদীসগুলোর মধ্যে ধরা হয়।
-
কারণ, সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিম উভয় গ্রন্থই সবচেয়ে প্রামাণিক হাদীস সংকলন হিসেবে স্বীকৃত।
-
মুত্তাফাকুন আলাইহি হাদীসের উপস্থিতি কোনো বিষয়ের নিশ্চিত ও অকাট্য প্রমাণ হিসেবে বিবেচিত হয়।
-
ইসলামী ফিকহ, আকীদাহ ও নৈতিক শিক্ষায় এ ধরনের হাদীসের বিশেষ গুরুত্ব ও প্রভাব বিদ্যমান।

0
Updated: 22 hours ago
রাসুল (সঃ) কত বছর বয়সে সিরিয়ায় প্রথম বাণিজ্যের জন্য সফর করেন?
Created: 22 hours ago
A
১৫ বছর
B
১০ বছর
C
১২ বছর
D
২০ বছর
রাসূলুল্লাহ (সা.) শৈশবকালেই তাঁর জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সম্মুখীন হন। মাত্র ১২ বছর বয়সে তিনি চাচা আবু তালিবের সঙ্গে প্রথমবার সিরিয়ার বাণিজ্য সফরে যান। এই সফরের সময় সিরিয়ার বুছরা শহরে খ্রিস্টান পাদ্রী বাহীরা তাঁর মধ্যে নবুওতের নিদর্শন চিনতে পারেন এবং ভবিষ্যতে তিনি নবী হবেন বলে ইঙ্গিত দেন।
-
এই সফর ছিল নবীজীর জীবনের প্রথম বিদেশযাত্রা ও বাণিজ্য অভিজ্ঞতা।
-
বাহীরা পাদ্রী নবীজীর মুখমণ্ডল ও আচরণ দেখে নবুওতের চিহ্ন শনাক্ত করেন।
-
তিনি আবু তালিবকে সতর্ক করেন যেন নবুওতের এই শিশুকে রক্ষা করা হয়, কারণ ইহুদি বা অন্য ধর্মাবলম্বীরা তাঁকে ক্ষতি করতে পারে।
-
এই ঘটনাটি ইসলামী ইতিহাসে নবুওতের প্রারম্ভিক পূর্বাভাস হিসেবে বিবেচিত।
-
সফরটি রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর ভবিষ্যৎ বাণিজ্যিক ও দাওয়াতি জীবনের প্রস্তুতির একটি সূচনা হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ।

0
Updated: 22 hours ago