তাবুক কোথায় অবস্থিত?
A
বসরার সীমান্তে
B
ইরাকে
C
সিরিয়ার সীমান্তে
D
হিজাজের সীমান্তে
উত্তরের বিবরণ
তাবুক ছিল মদিনা ও দামেস্কের (সিরিয়া) মধ্যবর্তী একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান, যেখানে ইসলামী ইতিহাসের এক তাৎপর্যপূর্ণ যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এই যুদ্ধ ইসলামের বিরুদ্ধে আরবের কাফের, মুনাফিক ও রোমান সাম্রাজ্যের সম্মিলিত প্রচেষ্টার চূড়ান্ত পর্যায় হিসেবে পরিচিত।
-
যুদ্ধটি সংঘটিত হয় ৬৩০ খ্রিষ্টাব্দে (নবম হিজরিতে)।
-
রাসুলুল্লাহ (সা.) মদিনা থেকে প্রায় ৬৯০ কিলোমিটার দূরে তাবুক প্রান্তরে সেনাবাহিনীসহ যাত্রা করেন।
-
এটি ইতিহাসে “গাযওয়াতুল উসরা” নামেও পরিচিত, যার অর্থ “কষ্টের যুদ্ধ”।
-
যুদ্ধটি সংঘটিত হয়েছিল অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতিতে, যখন প্রচণ্ড গরম, খাদ্যাভাব ও পানির সংকট ছিল।
-
মুসলমানদের এই অভিযাত্রা ছিল মূলত রোমান বাহিনীর সম্ভাব্য আক্রমণ প্রতিরোধের জন্য প্রস্তুতি।
-
যদিও বড় কোনো যুদ্ধ সংঘটিত হয়নি, তবুও এটি ইসলামী ইতিহাসে অসাধারণ ত্যাগ, ধৈর্য ও ঈমানের পরীক্ষা হিসেবে স্মরণীয় হয়ে আছে।

0
Updated: 21 hours ago
বিদায়ী হজ্জের ভাষণে কোন্ মৌলিক নীতির প্রতি জোর দেওয়া হয়েছে?
Created: 21 hours ago
A
যুদ্ধ কৌশল
B
যুদ্ধ বিলোপ
C
নারী অধিকার
D
মানবতার মর্যাদা ও ক্ষমতা
বিদায় হজের ভাষণ ছিল মানবতার মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠার এক অনন্য দৃষ্টান্ত, যেখানে রাসুলুল্লাহ ﷺ মানবজাতির ন্যায়, সমতা ও ভ্রাতৃত্বের নীতিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন। এটি শুধু ধর্মীয় নির্দেশ নয়, বরং সমগ্র মানবসমাজের জন্য এক সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা হিসেবে বিবেচিত হয়।
-
মানুষের জীবন, সম্পদ ও মর্যাদা পবিত্র, এগুলোর প্রতি আঘাত বা অবমাননা করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
-
জাতি, বর্ণ ও ভাষার কোনো শ্রেষ্ঠত্ব নেই, প্রকৃত মর্যাদা নির্ধারিত হয় কেবল তাকওয়া ও সৎকর্মের ভিত্তিতে।
-
নারীদের অধিকার সুরক্ষিত করার ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়, যাতে পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
সমাজে ন্যায়বিচার, ভ্রাতৃত্ব, সহমর্মিতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধা বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
-
সুদ, রক্তপাত ও অন্যায়ের সকল রূপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সমাজে শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানানো হয়।
-
এই ভাষণ মানবসভ্যতার ইতিহাসে এমন এক দলিল, যেখানে মানবতার মর্যাদা ও সমতার মূলনীতি সবচেয়ে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।

0
Updated: 21 hours ago
ফাতরাতুল অহি কী?
Created: 22 hours ago
A
অহি শুরু হওয়ার সময়
B
অহি বন্ধ হওয়ার সময়
C
অহি বন্ধ থাকার বিরতি কাল
D
অহি অবতরনের পূর্বের সময়
ফাতরাতুল ওহী বলতে বোঝায় নবুয়তের সূচনাকালে ওহী নাযিলের পর কিছু সময়ের জন্য ওহী বন্ধ থাকার সময়কালকে। এটি ছিল রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ ও মানসিকভাবে কঠিন অধ্যায়, যখন ওহী নাযিল হওয়া হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় এবং নবীজী গভীর চিন্তা-ভাবনায় নিমগ্ন হন।
-
এই সময়কালকে সাধারণভাবে ৩ বছর বলে উল্লেখ করা হয়।
-
ওহী বন্ধ থাকার ফলে রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর হৃদয়ে আল্লাহর প্রতি গভীর আকুলতা ও প্রত্যাশা সৃষ্টি হয়।
-
এটি নবুয়তের দায়িত্ব পালনের আগে আত্মিক প্রস্তুতি ও ধৈর্যের পরীক্ষা হিসেবে বিবেচিত।
-
ফাতরাতুল ওহীর পর যখন ওহী পুনরায় নাযিল হতে শুরু করে, তখন নবীজী আরও দৃঢ় ও স্থিরচিত্তে দাওয়াতি দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
-
এই সময়টি ইসলামী ইতিহাসে নবীজীর আত্মবিশ্বাস, সহনশীলতা ও ঈমানের দৃঢ়তার প্রতীক হিসেবে গণ্য হয়।

0
Updated: 22 hours ago
হিকমা অর্থ কী?
Created: 21 hours ago
A
প্রজ্ঞা
B
সবর
C
নীতি
D
খবর
এই আয়াতে ইসলামী দাওয়াতের মূলনীতি স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে, যেখানে মানুষকে আল্লাহর পথে আহ্বান করার সময় জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও সৌজন্যের ব্যবহার অপরিহার্য বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১. উক্ত আয়াতটি পবিত্র কুরআনের সূরা আন-নাহল (১৬:১২৫) থেকে উদ্ধৃত।
২. এখানে আল্লাহ বলেন— “তুমি তোমার রবের পথে প্রজ্ঞা (হিকমাহ) ও সুন্দর উপদেশের মাধ্যমে আহ্বান কর এবং সুন্দরতম পন্থায় বিতর্ক কর।”
৩. ‘হিকমাহ’ শব্দের অর্থ প্রজ্ঞা, যা গভীর জ্ঞান, বোধ ও সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতাকে নির্দেশ করে।
4. কুরআনের বিভিন্ন স্থানে ‘হিকমাহ’ শব্দটি প্রজ্ঞা, অন্তর্দৃষ্টি ও সত্যনিষ্ঠ বুদ্ধিমত্তা অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
৫. ইসলামী দাওয়াতের মূল শিক্ষা হলো— মানুষকে রূঢ়তা বা জোরজবরদস্তি নয়, বরং যুক্তি, নৈতিকতা ও সৌজন্যের মাধ্যমে সত্যের পথে আহ্বান করা।
৬. এ নীতির মাধ্যমে ইসলামী শিক্ষা সমাজে সহনশীলতা, যুক্তিনিষ্ঠ আলোচনা ও পারস্পরিক সম্মান প্রতিষ্ঠা করতে উৎসাহিত করে।

0
Updated: 21 hours ago