হিন্দু ধর্মের প্রধান ও প্রাচীনতম ধর্মগ্রন্থ কোনটি?
A
রামায়ন
B
মহাভারত
C
বেদ
D
উত্তরের বিবরণ
হিন্দুধর্মের প্রধান ও প্রাচীনতম ধর্মগ্রন্থ হলো বেদ। এটি হিন্দুধর্মের আদি ও মূল ধর্মগ্রন্থ হিসেবে সর্বাধিক গুরুত্ব বহন করে এবং হিন্দুরা একে ঈশ্বরের বাণী (শ্রুতি) বলে বিশ্বাস করে। বেদে ধর্মীয় আচার, দার্শনিক চিন্তা ও মানবজীবনের নানা দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে।
-
বেদের সংখ্যা চারটি: ঋগ্বেদ, যজুর্বেদ, সামবেদ ও অথর্ববেদ।
-
প্রতিটি বেদের চারটি উপবিভাগ রয়েছে: সংহিতা, ব্রাহ্মণ, আরণ্যক ও উপনিষদ।
-
ঋগ্বেদে দেবতাদের উদ্দেশ্যে স্তোত্র ও মন্ত্র সংকলিত হয়েছে।
-
যজুর্বেদে যজ্ঞের নিয়ম ও মন্ত্র রয়েছে।
-
সামবেদে সংগীত ও সুরভিত পাঠের পদ্ধতি বর্ণিত।
-
অথর্ববেদে চিকিৎসা, জাদুবিদ্যা ও দৈনন্দিন জীবনের নানা অনুষঙ্গের কথা রয়েছে।
-
পরবর্তী যুগে উপনিষদ, মহাভারত, রামায়ণ, পুরাণ প্রভৃতি বহু ধর্মগ্রন্থ রচিত হলেও, বেদের প্রাধান্যই সর্বাধিক থেকে গেছে।

0
Updated: 22 hours ago
রাসুল (সঃ) 'আল আমিন' উপাধি লাভ করেন?
Created: 22 hours ago
A
তাঁর সামাজিক কর্মদক্ষতা ও সততার কারণে
B
সত্য কথা বলার জন্য
C
মিথ্যাকে ঘৃণা করার কারণে
D
সামাজিক কর্মকান্ডে তাঁর সততা ও বিশ্বস্ততাঁর কারণে
রাসুল (সঃ) তাঁর অসাধারণ সততা, ন্যায়নিষ্ঠা ও বিশ্বস্ততার কারণে ‘আল-আমিন’ উপাধিতে ভূষিত হন। সমাজে তিনি ছিলেন এমন একজন ব্যক্তি, যাঁর প্রতি সবাই সম্পূর্ণ আস্থা রাখত।
-
তিনি সত্যবাদিতা ও আমানতদারিতার জন্য প্রসিদ্ধ ছিলেন।
-
শত্রু-মিত্র নির্বিশেষে সবাই তাঁর কাছে মূল্যবান সম্পদ গচ্ছিত রাখত, কারণ তাঁরা জানত, নবী (সঃ) কখনো বিশ্বাসভঙ্গ করবেন না।
-
ব্যবসা-বাণিজ্য, সামাজিক আচরণ ও ব্যক্তিগত জীবনে তিনি সর্বদা সততা ও ন্যায়পরায়ণতা বজায় রাখতেন।
-
তাঁর এই গুণাবলি মক্কার সমাজে তাঁকে বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
-
‘আল-আমিন’ উপাধি ইসলামী ইতিহাসে তাঁর নৈতিক আদর্শ ও চরিত্রের উৎকর্ষের প্রতীক হিসেবে আজও সমাদৃত।

0
Updated: 22 hours ago
ইসলামী রাষ্ট্রে বসবাসকারী অমুসলিম নিরাপত্তা করকে কী বলা হয়?
Created: 1 day ago
A
উশর
B
জিজিয়া
C
দিয়াত
D
খারাজ
জিযিয়া হলো ইসলামী শাসনব্যবস্থার একটি আর্থ-সামাজিক বিধান, যা অমুসলিম নাগরিকদের নিরাপত্তা ও অধিকার সংরক্ষণের নিশ্চয়তা দেয়।
-
জিযিয়া (الْجِزْيَةُ) অর্থ নির্ধারিত অর্থকর বা ট্যাক্স, যা ইসলামী রাষ্ট্রে বসবাসকারী অমুসলিম নাগরিকদের (আহলে জিম্মা) কাছ থেকে আদায় করা হয়।
-
এই করের বিনিময়ে তাদের জান-মাল, ধর্মীয় স্বাধীনতা ও নাগরিক অধিকার সুরক্ষিত থাকে।
-
মুসলমানরা যেখানে যাকাত প্রদান করে, সেখানে অমুসলিম নাগরিকরা জিযিয়া প্রদান করে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে।
-
জিযিয়া প্রদানের পর তারা ইসলামী রাষ্ট্রের সুরক্ষা ও প্রশাসনিক সুবিধা ভোগ করে, এবং তাদের ধর্মীয় আচারে কোনো বাধা দেওয়া হয় না।
-
ইসলামী ইতিহাসে এই বিধান প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ন্যায়বিচার, সহাবস্থান ও মানবাধিকারের নিশ্চয়তার ভিত্তিতে।

0
Updated: 1 day ago
বিবাহ বৈধ হওয়ার জন্য সর্বনিম্ন কতজন সাক্ষী প্রয়োজন?
Created: 22 hours ago
A
দুইজন পুরুষ ও দুইজন নারী
B
দুইজন পুরুষ অথবা একজন পুরুষ ও দুইজন নারী
C
একজন পুরুষ ও একজন নারী
D
একজন পুরুষ ও তিন জন নারী
বিবাহের আকদ বা চুক্তি ইসলামী শরীয়তের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক, যেখানে সাক্ষীর উপস্থিতি অপরিহার্য। কুরআনের নির্দেশ অনুযায়ী, সাক্ষী হিসেবে দুজন পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুজন নারী থাকা আবশ্যক। এতে চুক্তির স্বচ্ছতা, নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়।
-
সূত্র: সুরা আল-বাকারা, আয়াত ২৮২—এ আয়াতে সাক্ষীর সংখ্যা ও শর্ত স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে।
-
বিয়ের সময় সাক্ষীরা প্রস্তাব (ইজাব) ও কবুল (কবুল) উভয় বক্তব্য শুনে উপস্থিত থাকতে হবে।
-
সাক্ষী হতে হবে বিশ্বাসযোগ্য ও স্বাধীন ব্যক্তি, যাতে পরবর্তীতে কোনো বিভ্রান্তি বা অস্বীকারের সুযোগ না থাকে।
-
ইসলামে সাক্ষীর উপস্থিতি বিবাহের বৈধতা ও সামাজিক স্বীকৃতি নিশ্চিত করার একটি মূল শর্ত।
-
এই নিয়মের মাধ্যমে সমাজে ন্যায়বিচার ও পারিবারিক শৃঙ্খলা বজায় থাকে এবং বিবাহ সম্পর্কের সুরক্ষা নিশ্চিত হয়।

0
Updated: 22 hours ago