পবিত্র কোরআনের কোন্ সূরায় লৌহের কথা উল্লেখ করেন?
A
সূরা বাকারা
B
সূরা নাস
C
সূরা হাদীদ
D
সূরা ফীল্
উত্তরের বিবরণ
সূরা আল-হাদীদ পবিত্র কোরআনের ৫৭ নম্বর সূরা, যেখানে ২৫ নম্বর আয়াতে লোহার (হাদীদ) উল্লেখ পাওয়া যায়। এতে বলা হয়েছে,
“আর আমি লৌহ (লোহা) নাযিল করেছি, যাতে আছে প্রচণ্ড শক্তি এবং মানুষের জন্য বহুবিধ কল্যাণ।”
-
এই আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা লোহার শক্তি, উপযোগিতা ও মানবকল্যাণে ভূমিকার কথা প্রকাশ করেছেন।
-
সূরার নাম ‘আল-হাদীদ’ অর্থাৎ ‘লোহা’, যা এই আয়াত থেকেই গৃহীত।
-
লোহা মানবসভ্যতার অগ্রগতি, যুদ্ধ, নির্মাণ ও প্রযুক্তি সবক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
আয়াতের ভাষা থেকে বোঝা যায়, লোহা পৃথিবীতে স্বাভাবিকভাবে নয়, বরং আল্লাহর ইচ্ছায় প্রেরিত এক বিশেষ অনুগ্রহ।
-
বিজ্ঞানীরাও পরবর্তীতে প্রমাণ করেন যে লোহার মূল উপাদান নক্ষত্রে সৃষ্টি হয়ে পৃথিবীতে এসেছে, যা আয়াতের অর্থের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

0
Updated: 21 hours ago
ব্যাভিচার প্রমান করার জন্য কতজন লোকের সাক্ষ্য প্রয়োজন?
Created: 1 day ago
A
৪ জন
B
৬ জন
C
২ জন
D
৩ জন
নিচে দেওয়া বাক্যটির অর্থ ও স্পষ্টতা বজায় রেখেই সংক্ষেপে পুনঃলিখন করা হল।
-
যেসব নারী ব্যভিচার করবে, তাদের বিরুদ্ধে চারজন পুরুষের সাক্ষ্য গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
-
যদি ওই চারজন সাক্ষ্য প্রদান করে, তাহলে ঐ নারীকে গৃহে আবদ্ধ করে রাখা হবে।
-
আবদ্ধ রাখার মেয়াদ হলো যতক্ষণ না তাদের মৃত্যু হয় বা আল্লাহ তাদের জন্য কোনো পৃথক পথ বের করেন।

0
Updated: 1 day ago
হিন্দু ধর্মের প্রধান ও প্রাচীনতম ধর্মগ্রন্থ কোনটি?
Created: 21 hours ago
A
রামায়ন
B
মহাভারত
C
বেদ
D
হিন্দুধর্মের প্রধান ও প্রাচীনতম ধর্মগ্রন্থ হলো বেদ। এটি হিন্দুধর্মের আদি ও মূল ধর্মগ্রন্থ হিসেবে সর্বাধিক গুরুত্ব বহন করে এবং হিন্দুরা একে ঈশ্বরের বাণী (শ্রুতি) বলে বিশ্বাস করে। বেদে ধর্মীয় আচার, দার্শনিক চিন্তা ও মানবজীবনের নানা দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে।
-
বেদের সংখ্যা চারটি: ঋগ্বেদ, যজুর্বেদ, সামবেদ ও অথর্ববেদ।
-
প্রতিটি বেদের চারটি উপবিভাগ রয়েছে: সংহিতা, ব্রাহ্মণ, আরণ্যক ও উপনিষদ।
-
ঋগ্বেদে দেবতাদের উদ্দেশ্যে স্তোত্র ও মন্ত্র সংকলিত হয়েছে।
-
যজুর্বেদে যজ্ঞের নিয়ম ও মন্ত্র রয়েছে।
-
সামবেদে সংগীত ও সুরভিত পাঠের পদ্ধতি বর্ণিত।
-
অথর্ববেদে চিকিৎসা, জাদুবিদ্যা ও দৈনন্দিন জীবনের নানা অনুষঙ্গের কথা রয়েছে।
-
পরবর্তী যুগে উপনিষদ, মহাভারত, রামায়ণ, পুরাণ প্রভৃতি বহু ধর্মগ্রন্থ রচিত হলেও, বেদের প্রাধান্যই সর্বাধিক থেকে গেছে।

0
Updated: 21 hours ago
তাকাফুল জায়েজ কী না?
Created: 1 day ago
A
লাভ ক্ষতির ভিত্তিতে জায়েজ
B
জায়েজ নয়
C
হারাম
D
মুবাহ্
ইসলাম পারস্পরিক সহযোগিতা ও কল্যাণের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত লেনদেনকে সমর্থন করে। তাই যদি কোনো বীমা বা তাকাফুল ব্যবস্থা এমন নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত হয়, যা শরীয়তের নির্দেশ অনুযায়ী চলে এবং হারাম উপাদান থেকে মুক্ত থাকে, তবে সেটি বৈধ গণ্য হয়।
-
তাকাফুল শব্দের অর্থ পারস্পরিক দায়িত্ব বা সহযোগিতা, যা ইসলামী বীমা ব্যবস্থা হিসেবে পরিচিত।
-
এই ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারীরা একে অপরের ক্ষতি পূরণে সাহায্য করে, লাভ বা ক্ষতি ভাগাভাগি করে নেয়।
-
সংগৃহীত অর্থ যদি হালাল ব্যবসা বা শরীয়তসম্মত বিনিয়োগে ব্যবহার করা হয়, তাহলে তা বৈধ।
-
এতে সুদ (রিবা), জুয়া (মায়সির) বা অনিশ্চয়তা (গারার) থাকা চলবে না।
-
মূল উদ্দেশ্য হতে হবে পারস্পরিক কল্যাণ, লাভ অর্জন নয় বরং সমাজে নিরাপত্তা ও সহায়তার পরিবেশ তৈরি করা।
-
শরীয়তসম্মত তাকাফুল ব্যবস্থা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের এক উত্তম উপায়, যা সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

0
Updated: 1 day ago