ইসলামী রাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতি কোন নীতির ভিত্তিতে হয়ে থাকে?
A
জনগনের মতামতের ভিত্তিতে
B
উপদেষ্টাদের মতামতের ভিত্তিতে
C
সামরিক বাহিনীর মতামতের আলোকে
D
আল্লার নির্দেশ ও ন্যায় বিচারের মাধ্যমে
উত্তরের বিবরণ
ইসলামী রাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতি এমন একটি নীতিমালা যা মানবতার কল্যাণ, ন্যায়বিচার ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের ভিত্তিতে গঠিত। এটি আল্লাহর নির্দেশ ও ইসলামি শরীয়াহর নীতিমালা অনুযায়ী পরিচালিত হয়, যাতে রাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সম্পর্কও নৈতিকতা ও সত্যনিষ্ঠার উপর প্রতিষ্ঠিত থাকে।
১. ইসলামী রাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতি আল্লাহর নির্দেশ ও ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়।
২. এর মূল ভিত্তি হলো ইসলামি শরীয়াহ, যা প্রতিটি বিষয়ে ন্যায়, সমতা ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেয়।
৩. ইসলামী রাষ্ট্র অন্য রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে শান্তি, সহযোগিতা ও ন্যায়বিচার রক্ষার উদ্দেশ্যে।
৪. এই নীতির অধীনে আগ্রাসন, শোষণ বা অন্যায়ের কোনো স্থান নেই।
৫. কুরআন ও হাদীসে বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে অঙ্গীকার রক্ষা, সত্যবাদিতা ও মানবিকতা বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৬. ইসলামী বৈদেশিক নীতির লক্ষ্য হলো একটি ন্যায়ভিত্তিক ও শান্তিপূর্ণ বিশ্বব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে প্রতিটি জাতি মর্যাদার সঙ্গে সহাবস্থান করতে পারে।

0
Updated: 21 hours ago
মক্কা বিজয়কে প্রাচীন ইতিহাসে একটি তুলনাহীন মহাবিজয় বলে অভিহিত করেছেন কে?
Created: 1 day ago
A
নিকলসন
B
বসত্তারথ
C
যেসেফহেল
D
পি. কে. হিট্টি
প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ ফিলিপ কে. হিট্টি মক্কা বিজয়কে ইতিহাসের অন্যতম অনন্য ঘটনা হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তাঁর মতে, এটি এমন এক বিজয় যেখানে কোনো প্রতিশোধ, রক্তপাত বা ধ্বংসযজ্ঞ ছাড়াই মানবিকতা, ন্যায় ও ক্ষমার মহত্তম দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছিল।
পয়েন্ট আকারে—
-
ফিলিপ কে. হিট্টি (Philip K. Hitti) ছিলেন একজন বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ ও ইসলামি সভ্যতার গবেষক।
-
তিনি তাঁর গ্রন্থে মক্কা বিজয়কে “a unique and unparalleled conquest”, অর্থাৎ “প্রাচীন ইতিহাসের এক তুলনাহীন মহাবিজয়” বলে উল্লেখ করেছেন।
-
এই বর্ণনা দ্বারা তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, মক্কা বিজয় ছিল রক্তপাতহীন, ন্যায়নিষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ এক ঐতিহাসিক ঘটনা।
-
নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কা জয় করেও শত্রুদের ক্ষমা করে দিয়েছেন, যা ইতিহাসে বিরল উদাহরণ।
-
এই বিজয়ের মাধ্যমে ইসলামের দয়া, ন্যায়বিচার ও মানবিকতার আদর্শ সুস্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
-
তাই হিট্টির দৃষ্টিতে মক্কা বিজয় শুধু রাজনৈতিক নয়, বরং নৈতিক ও আধ্যাত্মিক বিজয় হিসেবেও অমর হয়ে আছে।

0
Updated: 1 day ago
পবিত্র কোরআনের কোন্ সূরায় লৌহের কথা উল্লেখ করেন?
Created: 21 hours ago
A
সূরা বাকারা
B
সূরা নাস
C
সূরা হাদীদ
D
সূরা ফীল্
সূরা আল-হাদীদ পবিত্র কোরআনের ৫৭ নম্বর সূরা, যেখানে ২৫ নম্বর আয়াতে লোহার (হাদীদ) উল্লেখ পাওয়া যায়। এতে বলা হয়েছে,
“আর আমি লৌহ (লোহা) নাযিল করেছি, যাতে আছে প্রচণ্ড শক্তি এবং মানুষের জন্য বহুবিধ কল্যাণ।”
-
এই আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা লোহার শক্তি, উপযোগিতা ও মানবকল্যাণে ভূমিকার কথা প্রকাশ করেছেন।
-
সূরার নাম ‘আল-হাদীদ’ অর্থাৎ ‘লোহা’, যা এই আয়াত থেকেই গৃহীত।
-
লোহা মানবসভ্যতার অগ্রগতি, যুদ্ধ, নির্মাণ ও প্রযুক্তি সবক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
আয়াতের ভাষা থেকে বোঝা যায়, লোহা পৃথিবীতে স্বাভাবিকভাবে নয়, বরং আল্লাহর ইচ্ছায় প্রেরিত এক বিশেষ অনুগ্রহ।
-
বিজ্ঞানীরাও পরবর্তীতে প্রমাণ করেন যে লোহার মূল উপাদান নক্ষত্রে সৃষ্টি হয়ে পৃথিবীতে এসেছে, যা আয়াতের অর্থের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

0
Updated: 21 hours ago
ইসলামী খেলাফত রাষ্ট্রের মূল দায়িত্ব কী?
Created: 1 day ago
A
ইসলাম প্রচার
B
অমুসলিমদের সুরক্ষা
C
অপরাধ রোধ
D
ইসলাম প্রচার ও সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা
ইসলামী খেলাফত রাষ্ট্র এমন একটি শাসনব্যবস্থা যা আল্লাহর নির্দেশনা ও নববী আদর্শ অনুসারে সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনা করে। এর মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মাঝে ন্যায়, সমতা ও আল্লাহর দীন প্রতিষ্ঠা করা।
১. খেলাফত রাষ্ট্রের অন্যতম দায়িত্ব ইসলাম প্রচার ও দাওয়াতের প্রসার ঘটানো, যাতে মানবজাতি সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত হয়।
২. এটি সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করে, যেখানে প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার সংরক্ষিত থাকে।
৩. রাষ্ট্রের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা পরস্পর সম্পর্কিত, কারণ উভয় ক্ষেত্রেই আল্লাহর বিধান কার্যকর করা হয়।
৪. কুরআন ও সুন্নাহকে প্রশাসনিক ও বিচারব্যবস্থার ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করা হয়।
৫. খেলাফত রাষ্ট্র দারিদ্র্য দূরীকরণ, ন্যায়বিচার ও জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে সমাজে ভারসাম্য আনে।
৬. এটি নৈতিকতা ও চরিত্র গঠনের মাধ্যমে আত্মিক শুদ্ধতা ও সামাজিক ঐক্য প্রতিষ্ঠা করে।
৭. রাষ্ট্রের লক্ষ্য হলো আল্লাহর মনোনীত দীন (ইসলাম) সংরক্ষণ, রক্ষা ও বিশ্বব্যাপী প্রচার করা।
৮. খেলাফত ব্যবস্থার মাধ্যমে সমাজে সত্য, ন্যায়, সাম্য ও শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়, যা ইসলামী সভ্যতার মূল ভিত্তি।

0
Updated: 1 day ago