জাহেলী যুগে উকাজ মেলা কিসের জন্য বিখ্যাত ছিল?
A
ঘোড়া দৌড়ের প্রতিযোগিতার জন্য
B
বংশ মর্যাদা বিষয়ক পুঁথিপাঠের জন্য
C
বিখ্যাত কবিতা ও সাহিত্য চর্চার জন্য
D
সামাজিক বিচার ও সালিশের জন্য
উত্তরের বিবরণ
উকাজ ছিল মক্কার নিকটবর্তী এক গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক মেলা, যা প্রাচীন আরব সমাজে বিশেষ মর্যাদা লাভ করেছিল। এটি বছরে নির্দিষ্ট সময়ে অনুষ্ঠিত হতো এবং আরবের বিভিন্ন কাবিলা এতে অংশগ্রহণ করত।
-
এটি মূলত জাহেলী যুগের (Pre-Islamic Arabia) এক বিখ্যাত মিলনমেলা, যেখানে বাণিজ্য, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সমন্বয় ঘটত।
-
মেলায় বিভিন্ন কাবিলার মানুষ এসে বাণিজ্যিক লেনদেন করত এবং নিজেদের কবিতা ও সাহিত্যকর্ম উপস্থাপন করত।
-
এখানে কবিতা পাঠ ও সাহিত্য প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হতো, যা আরবদের সামাজিক মূল্যবোধ, বীরত্ব ও নৈতিকতা প্রকাশের মাধ্যম ছিল।
-
ইম্বার, হামসা, আমর ইবন কাব, আমর ইবন আব্দুল্লাহ প্রমুখ খ্যাতনামা কবিরা তাঁদের কাব্য এখানে আবৃত্তি করতেন।
-
এই মেলা আরব সমাজে কাব্য ও ভাষাশিল্পের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
উকাজের মাধ্যমে আরব জাতি সাংস্কৃতিক ঐক্য, ভাষাগত উৎকর্ষ ও সাহিত্যিক পরিচিতি অর্জন করেছিল।

0
Updated: 21 hours ago
কোন্ সাহাবী খন্দকের যুদ্ধে পরীখা খননের পরামর্শ দেন?
Created: 1 day ago
A
হযরত ওমর (রাঃ)
B
হযরত আলী (রাঃ)
C
হযরত সালমান ফার্সি (রাঃ)
D
হযরত আবু বকর (রাঃ)
খন্দকের যুদ্ধ ইসলামি ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়, যা আহযাবের যুদ্ধ নামেও পরিচিত। এই যুদ্ধ মদিনার প্রতিরক্ষায় নবী করিম (সা.)-এর কৌশলগত প্রজ্ঞা ও সাহাবিদের ত্যাগের সাক্ষ্য বহন করে।
-
মদিনা নগরীর তিন দিক প্রাকৃতিকভাবে খেজুরবাগান ও পাহাড় দ্বারা সুরক্ষিত ছিল।
-
চতুর্থ দিকটি ছিল উন্মুক্ত, যেখান দিয়ে শত্রু আক্রমণের সম্ভাবনা ছিল সবচেয়ে বেশি।
-
এই উন্মুক্ত দিক রক্ষার জন্য হজরত সালমান ফারসি (রা.) পরিখা খননের পরামর্শ দেন, যা মূলত পারস্যদের যুদ্ধকৌশল ছিল।
-
নবী করিম (সা.) তার পরামর্শ গ্রহণ করে সাহাবিদের নিয়ে খন্দক বা পরিখা খনন শুরু করেন।
-
পরিখার প্রশস্ততা এমনভাবে নির্ধারণ করা হয় যাতে কোনো ঘোড়া বা উট লাফিয়ে তা পার হতে না পারে।
-
এই কৌশল শত্রুদের অগ্রযাত্রা থামিয়ে দেয় এবং মুসলমানদের বিজয়ের পথ সুগম করে।
-
খন্দকের যুদ্ধ প্রমাণ করে যে ইসলামে যুদ্ধ কেবল শক্তির নয়, বুদ্ধিমত্তা ও পরিকল্পনার বিষয়ও।

0
Updated: 1 day ago
‘দেবতাভীতি হতে মুক্ত হতে না পারলে মানবজাতি কখনো স্বাধীন হতে পারে না' এটা কার উক্তি?
Created: 22 hours ago
A
এরিস্টটল
B
জর্জ বার্নার্ড শ
C
ইপিকিউরাস
D
ইবনে সিনা
ইপিকিউরাস ছিলেন প্রাচীন গ্রিক চিন্তাধারার একজন বিশিষ্ট দার্শনিক, যিনি মানবজীবনের প্রকৃত সুখকে ভয় ও কুসংস্কারমুক্ত মানসিক শান্তিতে খুঁজে পেয়েছিলেন। তাঁর চিন্তায় মুক্তি মানে ছিল আত্মিক প্রশান্তি ও বুদ্ধিবৃত্তিক স্বচ্ছতা অর্জন করা।
১. উক্তি — “দেবতাভীতি হতে মুক্ত হতে না পারলে মানবজাতি কখনো স্বাধীন হতে পারে না।” — এর মাধ্যমে তিনি মানুষকে অযৌক্তিক ভয় ও ধর্মীয় কুসংস্কার থেকে মুক্তির আহ্বান জানান।
২. ইপিকিউরাস (খ্রিষ্টপূর্ব ৩৪১–২৭০) ছিলেন একজন প্রাচীন গ্রিক দার্শনিক।
৩. তিনি “Epicureanism” নামের দর্শনধারার প্রবর্তক, যার মূল ভিত্তি হলো আনন্দ ও মানসিক প্রশান্তি (Ataraxia)।
৪. তাঁর মতে, প্রকৃত সুখ আসে দেবতা, মৃত্যু ও অজানার ভয় থেকে মুক্তি লাভের মাধ্যমে।
৫. তিনি বিশ্বাস করতেন যে, মানুষ যদি যুক্তি ও জ্ঞানের দ্বারা জীবন পরিচালনা করে, তবে ভয়, কুসংস্কার ও দুঃখ থেকে মুক্তি সম্ভব।
৬. ইপিকিউরাসের দর্শন পরবর্তীতে পাশ্চাত্য চিন্তাধারায় নৈতিকতা, আত্মসংযম ও সুখবাদ (Hedonism) সম্পর্কে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে।

0
Updated: 22 hours ago
যে হাদিসের সনদের দোষ-ত্রুটি গোপন করা হয় তাকে বলে?
Created: 1 day ago
A
মুদাল্লাস
B
মন্কাতা
C
শাম
D
মাক্তু
মুদাল্লাস হাদীস এমন একটি হাদীস যার সনদে অস্পষ্টতা বা গোপনতা থাকে। এতে কোনো বর্ণনাকারী তার শিক্ষক বা যিনি তাকে হাদীসটি বলেছেন, তার নাম উল্লেখ না করে এমনভাবে বর্ণনা করেন যেন তিনি সরাসরি তার কাছ থেকে শুনেছেন। এর ফলে সনদের একটি স্তর আড়াল হয়ে যায়, যা হাদীসের নির্ভরযোগ্যতায় প্রভাব ফেলে।
পয়েন্ট আকারে—
-
মুদাল্লাস হাদীস শব্দটি এসেছে “তাদলিস” থেকে, যার অর্থ গোপন করা বা আড়াল করা।
-
এতে বর্ণনাকারী ইচ্ছাকৃতভাবে বা অসাবধানতাবশত সনদের ত্রুটি বা দুর্বলতা লুকিয়ে রাখেন।
-
তিনি এমনভাবে হাদীস বর্ণনা করেন যেন সরাসরি তার শিক্ষক থেকে শুনেছেন, অথচ বাস্তবে অন্য কারও মাধ্যমে শুনেছেন।
-
এ কারণে এই ধরণের হাদীস বিশুদ্ধতার দিক থেকে দুর্বল বা যাচাইযোগ্য নয় বলে বিবেচিত হয়।
-
হাদীসবিদগণ মুদাল্লাস বর্ণনাকারীদের সনদ যাচাইয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করেন যাতে সত্যতা নিশ্চিত করা যায়।

0
Updated: 1 day ago