যাতুন নিকাতাইন কার উপাধি?
A
হযরত যয়নব (রাঃ)
B
হযরত আসমা (রাঃ)
C
হযরত আয়েশা (রাঃ)
D
হযরত সুমাইয়া (রাঃ)
উত্তরের বিবরণ
‘যাতুন নিকাতাইন’ উপাধিটি প্রদান করা হয়েছিল হযরত আসমা বিনতে আবু বকর (রা.)-কে। তিনি ছিলেন ইসলামের প্রাথমিক যুগের সাহসী ও নিবেদিতপ্রাণ নারী।
-
মদিনায় হিজরতের সময় তিনি রাসূলুল্লাহ (সা.) এবং আবু বকর (রা.)-এর জন্য খাবার বহন করেন।
-
খাবার রাখার দুটি বস্তার মুখ বাঁধার জন্য তিনি নিজের কোমরবন্ধনী (নিকাত) ছিঁড়ে দুই ভাগে ভাগ করেন।
-
এই ত্যাগ ও বুদ্ধিমত্তার কারণে রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁকে ‘যাতুন নিকাতাইন’ উপাধি দেন, যার অর্থ ‘দুই কোমরবন্ধনীওয়ালা নারী’।
-
তাঁর এই কাজ ইসলামী ইতিহাসে ত্যাগ, বুদ্ধি ও সাহসিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে স্মরণীয়।

0
Updated: 22 hours ago
মক্কাবাসী হযরত খাদিজা (রাঃ) কে কি নামে অভিহিত করতো?
Created: 22 hours ago
A
সালেহা
B
আবিদা
C
সাদিকা
D
তাহিরা
হযরত খাদিজা (রাঃ) ছিলেন ইসলামের ইতিহাসে একজন মহীয়সী নারী, যিনি তাঁর চরিত্র, নৈতিকতা ও পবিত্র জীবনের জন্য সর্বজনবিদিত। মক্কার মানুষ তাঁর এই গুণাবলির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা পোষণ করত এবং তাই তাঁকে বিশেষ উপাধিতে ভূষিত করেছিল।
১. মক্কাবাসীরা তাঁকে “তাহিরা” নামে অভিহিত করত, যার অর্থ “পবিত্র” বা “পুণ্যবতী”।
২. তিনি ব্যবসা-বাণিজ্যে অত্যন্ত সততা ও ন্যায়পরায়ণতা বজায় রাখতেন, যা তাঁর সুনাম বৃদ্ধি করে।
৩. তাঁর বিশ্বস্ততা ও ভদ্রতা সমাজে তাঁকে মর্যাদার উচ্চ আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছিল।
৪. নবুওয়াতের পূর্বেই তিনি তাঁর নৈতিকতা ও আদর্শ আচরণ দ্বারা মক্কার অন্যান্য নারীদের থেকে আলাদা হয়ে ওঠেন।
৫. ইসলাম গ্রহণের পর তিনি প্রথমেই নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সমর্থন দেন এবং তাঁর পাশে দৃঢ়ভাবে দাঁড়ান।
৬. তাঁর চরিত্র মুসলিম সমাজে নারীর মর্যাদা, পবিত্রতা ও আদর্শ জীবনের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

0
Updated: 22 hours ago
সূরা হুজরাতের আলোচ্য বিষয় কী?
Created: 1 day ago
A
সামাজিক নিয়মনীতির শিক্ষা
B
রাজনৈতিক নিয়মনীতির শিক্ষা
C
অর্থনৈতিক মূলনীতির শিক্ষা
D
নামাজের নিয়মনীতির শিক্ষা
সূরা হুজরাত ইসলামী সমাজে শিষ্টাচার, সামাজিক আচরণ ও পারস্পরিক সম্পর্কের সঠিক দিকনির্দেশনা প্রদানকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ সূরা। এটি মদীনায় অবতীর্ণ হয় এবং মুসলমানদের নৈতিক ও সামাজিক জীবনের আদর্শ গঠন করে।
১. সূরাটিকে “سورة الأخلاق والأدب” বলা হয়, কারণ এতে আদব, শিষ্টাচার ও সামাজিক আচরণের নিয়ম বিস্তারিতভাবে বর্ণিত হয়েছে।
২. এতে আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও আদব রক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৩. মুসলমানদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব, ঐক্য ও পারস্পরিক সৌহার্দ্য বজায় রাখার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।
৪. কোনো সংবাদ বা তথ্য পাওয়ার পর তা যাচাই না করে প্রচার না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে সমাজে বিভ্রান্তি সৃষ্টি না হয়।
৫. মুসলিম সমাজে দ্বন্দ্ব বা সংঘর্ষ দেখা দিলে ন্যায়বিচারের মাধ্যমে সমঝোতা স্থাপন করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
৬. অন্যের অপমান, উপহাস, গীবত ও সন্দেহ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কারণ এগুলো সমাজের বন্ধন দুর্বল করে।
৭. সূরায় ঈমান ও ইসলামের মধ্যে পার্থক্য স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে এবং প্রকৃত সত্যবাদী ও মুমিনদের বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
৮. এই সূরার মাধ্যমে ইসলামী সমাজে নৈতিকতা, আদব ও পারস্পরিক সম্মান বজায় রাখার এক পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান উপস্থাপন করা হয়েছে।

0
Updated: 1 day ago
হাদিসের আলোকে 'আয্ল' এর হুকুম কী?
Created: 1 day ago
A
সম্পূর্ণ হারাম
B
সম্পূর্ণ হালাল
C
মুস্তাহাব
D
শর্ত সাপেক্ষে বৈধ
হাদীসের আলোকে ‘আয্ল’ বা স্ত্রীর গোপনাঙ্গের বাইরে বীর্যপাত করার বিষয়টি ইসলামী শরীয়তে সীমিতভাবে অনুমোদিত, তবে তা নির্দিষ্ট শর্ত ও উদ্দেশ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে।
-
‘আয্ল’ অর্থ হলো সহবাসের সময় বীর্যপাতের আগে সরে আসা, যাতে গর্ভধারণ না ঘটে।
-
নবী করিম (সা.)-এর যুগে সাহাবারা এ কাজ করতেন এবং রাসূল (সা.) একে সরাসরি নিষিদ্ধ করেননি, তবে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
-
এটি স্ত্রীর সম্মতিতে করা আবশ্যক, কারণ এতে তার মাতৃত্বের অধিকার প্রভাবিত হয়।
-
নিয়মিত অভ্যাসে পরিণত করা নিষিদ্ধ, কারণ ইসলামে সন্তান গ্রহণ উৎসাহিত করা হয়েছে।
-
দারিদ্র্য বা আর্থিক সংকটের ভয়ে সন্তান না নেওয়া শরীয়তসম্মত নয়, কারণ জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহর উপর নির্ভরশীল।
-
প্রয়োজনে চিকিৎসাগত কারণ বা অস্থায়ী প্রয়োজনের জন্য আয্ল বৈধ হতে পারে, তবে তা দায়িত্বশীলতা ও পরিমিতিবোধের সঙ্গে পালন করতে হয়।

0
Updated: 1 day ago