ফাতরাতুল অহি কী?
A
অহি শুরু হওয়ার সময়
B
অহি বন্ধ হওয়ার সময়
C
অহি বন্ধ থাকার বিরতি কাল
D
অহি অবতরনের পূর্বের সময়
উত্তরের বিবরণ
ফাতরাতুল ওহী বলতে বোঝায় নবুয়তের সূচনাকালে ওহী নাযিলের পর কিছু সময়ের জন্য ওহী বন্ধ থাকার সময়কালকে। এটি ছিল রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ ও মানসিকভাবে কঠিন অধ্যায়, যখন ওহী নাযিল হওয়া হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় এবং নবীজী গভীর চিন্তা-ভাবনায় নিমগ্ন হন।
-
এই সময়কালকে সাধারণভাবে ৩ বছর বলে উল্লেখ করা হয়।
-
ওহী বন্ধ থাকার ফলে রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর হৃদয়ে আল্লাহর প্রতি গভীর আকুলতা ও প্রত্যাশা সৃষ্টি হয়।
-
এটি নবুয়তের দায়িত্ব পালনের আগে আত্মিক প্রস্তুতি ও ধৈর্যের পরীক্ষা হিসেবে বিবেচিত।
-
ফাতরাতুল ওহীর পর যখন ওহী পুনরায় নাযিল হতে শুরু করে, তখন নবীজী আরও দৃঢ় ও স্থিরচিত্তে দাওয়াতি দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
-
এই সময়টি ইসলামী ইতিহাসে নবীজীর আত্মবিশ্বাস, সহনশীলতা ও ঈমানের দৃঢ়তার প্রতীক হিসেবে গণ্য হয়।

0
Updated: 22 hours ago
রাসুল (সঃ) 'আল আমিন' উপাধি লাভ করেন?
Created: 22 hours ago
A
তাঁর সামাজিক কর্মদক্ষতা ও সততার কারণে
B
সত্য কথা বলার জন্য
C
মিথ্যাকে ঘৃণা করার কারণে
D
সামাজিক কর্মকান্ডে তাঁর সততা ও বিশ্বস্ততাঁর কারণে
রাসুল (সঃ) তাঁর অসাধারণ সততা, ন্যায়নিষ্ঠা ও বিশ্বস্ততার কারণে ‘আল-আমিন’ উপাধিতে ভূষিত হন। সমাজে তিনি ছিলেন এমন একজন ব্যক্তি, যাঁর প্রতি সবাই সম্পূর্ণ আস্থা রাখত।
-
তিনি সত্যবাদিতা ও আমানতদারিতার জন্য প্রসিদ্ধ ছিলেন।
-
শত্রু-মিত্র নির্বিশেষে সবাই তাঁর কাছে মূল্যবান সম্পদ গচ্ছিত রাখত, কারণ তাঁরা জানত, নবী (সঃ) কখনো বিশ্বাসভঙ্গ করবেন না।
-
ব্যবসা-বাণিজ্য, সামাজিক আচরণ ও ব্যক্তিগত জীবনে তিনি সর্বদা সততা ও ন্যায়পরায়ণতা বজায় রাখতেন।
-
তাঁর এই গুণাবলি মক্কার সমাজে তাঁকে বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
-
‘আল-আমিন’ উপাধি ইসলামী ইতিহাসে তাঁর নৈতিক আদর্শ ও চরিত্রের উৎকর্ষের প্রতীক হিসেবে আজও সমাদৃত।

0
Updated: 22 hours ago
কোন্ ঘটনা ইসলামের ইতিহাসে মিথ্যা অপবাদ নামে পরিচিত?
Created: 1 day ago
A
ইফকের ঘটনা
B
ব্যাভিচারের ঘটনা
C
চুরির ঘটনা
D
কোনটিই নয়
ইফকের ঘটনা ইসলামি ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়, যা মিথ্যা অপবাদ ও তার সামাজিক প্রভাব সম্পর্কে গভীর শিক্ষা দেয়। এতে মুনাফিকদের কুপ্রচার ও আল্লাহর পক্ষ থেকে সত্যের বিজয় প্রতিফলিত হয়েছে।
-
ইফক অর্থ অত্যন্ত জঘন্য মিথ্যা অপবাদ।
-
এই ঘটনা বনু মুসতালিক যুদ্ধের পর সংঘটিত হয়, যখন আয়েশা (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাফেলায় ছিলেন।
-
ফেরার পথে ভুলক্রমে কাফেলা তাঁকে রেখে চলে গেলে, মুনাফিকরা তাঁর সম্পর্কে মিথ্যা অভিযোগ ছড়িয়ে দেয়।
-
মুনাফিক নেতা আবদুল্লাহ ইবনে উবাই এই অপপ্রচারের মূল উদ্দোক্তা ছিল, যার উদ্দেশ্য ছিল নবী (সা.)-এর পরিবারকে কলঙ্কিত করা।
-
এ ঘটনায় নবী (সা.), সাহাবাগণ ও মদীনার সমাজ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে।
-
পরে সুরা আন-নূর-এর ১১-২০ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা আয়েশা (রা.)-এর নির্দোষিতা ও পবিত্রতা ঘোষণা করেন।
-
এই আয়াতগুলো মিথ্যা অপবাদ, গুজব ছড়ানো ও অন্যের সম্মানহানি থেকে বিরত থাকার কঠোর সতর্কবার্তা প্রদান করে।
-
ঘটনাটি মুসলমানদের শিখিয়েছে যে, অভিযোগ প্রমাণ ছাড়া গ্রহণ করা মারাত্মক অন্যায় এবং সততা ও শুদ্ধ চরিত্র রক্ষার দায়িত্ব প্রত্যেক বিশ্বাসীর ওপর অপরিহার্য।

0
Updated: 1 day ago
‘আল কানুন ফিত্ তিবব' গ্রন্থটি কে রচনা করেন?
Created: 22 hours ago
A
আবুল কাশেম আল জাহরাবী
B
ইবনে সিনা
C
আল রাযী
D
আল বেরুনী
‘আল-কানুন ফিত তিব্ব’ একটি বিখ্যাত চিকিৎসাবিষয়ক গ্রন্থ, যার রচয়িতা প্রখ্যাত মুসলিম বিজ্ঞানী ও চিকিৎসক ইবনে সিনা। এটি ছিল মধ্যযুগীয় চিকিৎসা বিজ্ঞানের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংকলন।
-
গ্রন্থটি ১০২৫ সালে রচিত হয় এবং এতে চিকিৎসাবিজ্ঞানের বিস্তৃত ও সংগঠিত ধারণা উপস্থাপন করা হয়েছে।
-
এতে মানবদেহ, রোগ, ঔষধ ও চিকিৎসা-পদ্ধতি সম্পর্কিত বিস্তারিত ব্যাখ্যা রয়েছে।
-
এই গ্রন্থটি পরবর্তীকালে লাতিন, ইংরেজি, হিব্রু ও অন্যান্য ভাষায় অনূদিত হয়।
-
ইউরোপের চিকিৎসা শিক্ষা ও গবেষণায় এটি শতাব্দীর পর শতাব্দী পাঠ্যপুস্তক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।
-
ইবনে সিনার এই রচনা তাঁকে ‘আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক’ উপাধি এনে দেয়।
-
‘আল-কানুন ফিত তিব্ব’ ইসলামী সভ্যতার বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির একটি ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে আজও স্বীকৃত।

0
Updated: 22 hours ago