হযরত আয়েশা (রাঃ) কয়টি হাদিস বর্ণনা করেন?
A
৩২১০
B
২২১০
C
২২১৭
D
৩০২১
উত্তরের বিবরণ
উম্মুল মুমিনিন আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হাদীস বর্ণনায় অন্যতম বিশিষ্ট সাহাবিয়া ছিলেন। তিনি নবী করিম (সঃ)-এর নিকটতম সঙ্গী ও জীবনসঙ্গী হিসেবে বহু হাদীস প্রত্যক্ষভাবে শুনে তা সংরক্ষণ ও প্রচার করেছেন।
-
তাঁর বর্ণিত হাদীসের সংখ্যা ২২১০টি।
-
তিনি মুকছিরিন পর্যায়ের রাবিদের অন্তর্ভুক্ত, অর্থাৎ যাঁরা প্রচুর সংখ্যক হাদীস বর্ণনা করেছেন।
-
হাদীস বর্ণনার সংখ্যার দিক থেকে তাঁর অবস্থান চতুর্থ (৪র্থ)।
-
তাঁর বর্ণিত হাদীসসমূহে নারী-সংক্রান্ত বিষয়, গৃহস্থালি আচরণ, ইবাদত ও শরীয়ত সম্পর্কিত বিশদ নির্দেশনা পাওয়া যায়।
-
আয়েশা (রা.) ছিলেন জ্ঞানের ক্ষেত্রে গভীর প্রাজ্ঞ, এবং সাহাবিরা কঠিন ধর্মীয় বিষয়ে তাঁর পরামর্শ গ্রহণ করতেন।
-
হাদীস সংরক্ষণ ও প্রচারে তাঁর অবদান ইসলামী জ্ঞানের ইতিহাসে এক অনন্য স্থান দখল করে আছে।

0
Updated: 22 hours ago
আল্লাহ্ কাকে জিবরাইল (আঃ)-এর মাধ্যমে সালাম দেন?
Created: 22 hours ago
A
হযরত আয়েশা (রাঃ)
B
হযরত খাদীজা (রাঃ)
C
হযরত ওমর (রাঃ)
D
হযরত আবু বকর (রাঃ)
হজরত আনাস বিন মালিক (রা.) বর্ণনা করেন, একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে জিবরাইল (আ.) আগমন করেন, তখন তাঁর পাশে ছিলেন হজরত খাদিজা (রা.)। জিবরাইল (আ.) নবী করিম (সা.)-কে বললেন যে, আল্লাহ তায়ালা নিজেই খাদিজা (রা.)-কে সালাম পাঠিয়েছেন। এটি ছিল তাঁর প্রতি আল্লাহর বিশেষ সম্মান ও ভালোবাসার প্রকাশ।
-
হজরত খাদিজা (রা.) জবাবে বলেন, “ইন্নাল্লাহা হুয়াস সালাম, ওয়া আলা জিবরিলাস সালাম, ওয়া আলাইকাস সালাম, ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকুহ।”
-
এর অর্থ, “নিশ্চয় আল্লাহ সেই সত্তা যিনি সালাম ও শান্তির অধিকারী, জিবরাইলের ওপর সালাম, আপনার ওপরও সালাম ও আল্লাহর রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক।”
-
এই ঘটনা আল্লাহর প্রেরিত সালামের একমাত্র উদাহরণ হিসেবে ইসলামী ইতিহাসে বিখ্যাত।
-
এটি হজরত খাদিজা (রা.)-এর মর্যাদা, ঈমান, ও মহান চরিত্রের স্বীকৃতি প্রকাশ করে।
-
বুখারি ও নাসায়ি গ্রন্থে এই ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা পাওয়া যায়।
-
উল্লেখযোগ্য যে, হজরত আয়েশা (রা.)-কে জিবরাইল (আ.) নিজে সালাম দিয়েছেন, তবে আল্লাহ সরাসরি সালাম পাঠাননি, যা খাদিজা (রা.)-এর বিশেষত্বকে আরও স্পষ্ট করে।

0
Updated: 22 hours ago
পবিত্র কুরআনের কোন সুরায় মৌমাছির কথা বলা আছে?
Created: 1 day ago
A
সূরা বাকারা
B
সূরা আন্ নাজম
C
সূরা আন্ নাহল
D
সূরা ইয়াসীন
পবিত্র কুরআনের ১৬তম সূরা ‘আন-নাহল’ (النحل) মানবজাতিকে আল্লাহর অনুগ্রহ, সৃষ্টির বৈচিত্র্য এবং প্রাকৃতিক ব্যবস্থার মাধ্যমে শিক্ষা দেয়। এই সূরার নামকরণ করা হয়েছে মৌমাছি (নাহল)-এর নামে, কারণ এতে মৌমাছির জীবনধারা ও কর্মের মাধ্যমে আল্লাহর ক্ষমতা ও প্রজ্ঞা তুলে ধরা হয়েছে।
১. সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ, এবং এতে আল্লাহর অসংখ্য নিয়ামতের উল্লেখ রয়েছে।
২. ৬৮ ও ৬৯ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা মৌমাছিকে নির্দেশ দেন, যাতে সে পাহাড়, গাছপালা ও মানুষের নির্মিত স্থানে ঘর তৈরি করে।
৩. এসব আয়াতে মৌমাছির অতুলনীয় কর্মদক্ষতা ও আল্লাহপ্রদত্ত প্রেরণার কথা বর্ণিত হয়েছে।
৪. মৌমাছির তৈরি মধুকে আল্লাহ “মানুষের জন্য নিরাময়” হিসেবে ঘোষণা করেছেন।
৫. এই সূরার মাধ্যমে আল্লাহর সৃষ্টি ও প্রাকৃতিক ব্যবস্থার মধ্যে তাঁর অসীম জ্ঞান ও পরিকল্পনা প্রতিফলিত হয়েছে।
৬. ‘আন-নাহল’ সূরা মানুষকে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা, চিন্তাশীলতা ও অনুধাবনের আহ্বান জানায়।
৭. মৌমাছির উদাহরণের মাধ্যমে সূরাটি শেখায় যে সুশৃঙ্খলতা, পরিশ্রম ও উপকারিতা আল্লাহপ্রদত্ত একটি গুণ।
৮. তাই এই সূরাকে প্রায়ই “আল্লাহর নিয়ামত ও সৃষ্টির জ্ঞানভিত্তিক সূরা” বলা হয়ে থাকে।

0
Updated: 1 day ago
কোন্ সাহাবী খন্দকের যুদ্ধে পরীখা খননের পরামর্শ দেন?
Created: 1 day ago
A
হযরত ওমর (রাঃ)
B
হযরত আলী (রাঃ)
C
হযরত সালমান ফার্সি (রাঃ)
D
হযরত আবু বকর (রাঃ)
খন্দকের যুদ্ধ ইসলামি ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়, যা আহযাবের যুদ্ধ নামেও পরিচিত। এই যুদ্ধ মদিনার প্রতিরক্ষায় নবী করিম (সা.)-এর কৌশলগত প্রজ্ঞা ও সাহাবিদের ত্যাগের সাক্ষ্য বহন করে।
-
মদিনা নগরীর তিন দিক প্রাকৃতিকভাবে খেজুরবাগান ও পাহাড় দ্বারা সুরক্ষিত ছিল।
-
চতুর্থ দিকটি ছিল উন্মুক্ত, যেখান দিয়ে শত্রু আক্রমণের সম্ভাবনা ছিল সবচেয়ে বেশি।
-
এই উন্মুক্ত দিক রক্ষার জন্য হজরত সালমান ফারসি (রা.) পরিখা খননের পরামর্শ দেন, যা মূলত পারস্যদের যুদ্ধকৌশল ছিল।
-
নবী করিম (সা.) তার পরামর্শ গ্রহণ করে সাহাবিদের নিয়ে খন্দক বা পরিখা খনন শুরু করেন।
-
পরিখার প্রশস্ততা এমনভাবে নির্ধারণ করা হয় যাতে কোনো ঘোড়া বা উট লাফিয়ে তা পার হতে না পারে।
-
এই কৌশল শত্রুদের অগ্রযাত্রা থামিয়ে দেয় এবং মুসলমানদের বিজয়ের পথ সুগম করে।
-
খন্দকের যুদ্ধ প্রমাণ করে যে ইসলামে যুদ্ধ কেবল শক্তির নয়, বুদ্ধিমত্তা ও পরিকল্পনার বিষয়ও।

0
Updated: 1 day ago