আমর বিল্ মারুফ ও নাহী আনিল মুনকার এর আসল উদ্দেশ্য কী?
A
সমাজে সৎ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা
B
ভাল কাজে সহায়তা ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখা
C
যুদ্ধ করা
D
সেবা করা
উত্তরের বিবরণ
‘আমর বিল্ মারুফ ও নাহী আনিল মুনকার’ অর্থাৎ সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজ থেকে নিষেধ — এটি ইসলামী সমাজব্যবস্থার একটি মৌলিক নীতি। এর মূল উদ্দেশ্য হলো এমন একটি সমাজ প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে সৎ কাজ উৎসাহিত হয় এবং অসৎ কাজ নিরুৎসাহিত হয়। এটি কেবল ব্যক্তিগত নৈতিকতার বিষয় নয়; বরং এটি সামাজিক, ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব।
-
এর মাধ্যমে সমাজে সৎ নেতৃত্ব ও ন্যায়ভিত্তিক প্রশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়।
-
ইসলামে প্রত্যেক মুসলমানকে সাধ্যমতো ভালো কাজের নির্দেশ ও মন্দ কাজের প্রতিবাদ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
-
কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে (যেমন সুরা আলে ইমরান, আয়াত ১০৪ ও ১১০) এই নীতির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
-
নবী করিম (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি অন্যায় দেখেও তা পরিবর্তনের চেষ্টা করে না, তার ঈমান দুর্বল।
-
এই নীতি সমাজকে নৈতিক অবক্ষয় থেকে রক্ষা করে এবং ইসলামী আদর্শে গঠিত একটি সুবিচারপূর্ণ সমাজ নিশ্চিত করে।

0
Updated: 22 hours ago
ইসলামের প্রথম শহীদ কে?
Created: 1 day ago
A
হযরত আম্মার
B
হযরত খুবাইর
C
হযরত হারিস
D
হযরত হানজালা
ইসলামের প্রথম শহীদদের মধ্যে পুরুষ ও নারীর পৃথক পরিচয় ইতিহাসে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। হযরত হারিস ইবনে আবি হালা (রাঃ) ছিলেন ইসলামের পথে শহীদ হওয়া প্রথম পুরুষ সাহাবি, যিনি নবী করিম (সা.)-এর ঘনিষ্ঠজন ছিলেন। অপরদিকে, ইসলামের প্রথম শহীদ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন এক সাহসী নারী, হযরত সুমাইয়া বিনতে খাব্বাত (রাঃ)।
-
হযরত সুমাইয়া (রাঃ) ইসলামের শুরুতে মক্কায় নির্যাতিত মুসলিমদের অন্যতম ছিলেন।
-
তিনি ইসলামের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস ও অবিচল সাহসের কারণে আবু জাহলের হাতে নির্মমভাবে শাহাদাত বরণ করেন।
-
তাঁর স্বামী ইয়াসির (রাঃ) ও পুত্র **আম্মার (রাঃ)**ও ইসলামের প্রথম যুগের নির্যাতিত সাহাবিদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।
-
হযরত সুমাইয়া (রাঃ)-এর শহীদত্ব প্রমাণ করে যে, নারীও ইসলামের পথে ত্যাগ ও সাহসিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
-
ইসলামের ইতিহাসে এই ঘটনা মুসলিম সমাজে ঈমান, ধৈর্য ও ত্যাগের এক অনুপ্রেরণামূলক নিদর্শন হিসেবে অমর হয়ে আছে।

0
Updated: 1 day ago
'কিতাব আত্ তাসরিফ' গ্রন্থটি কোন বিষয়ে রচিত?
Created: 21 hours ago
A
শল্য চিকিৎসা
B
ভূগোল বিদ্যা
C
জ্যোতির্বিদ্যা
D
গনিত বিদ্যা
‘কিতাব আত তাসরিফ’ ইসলামী স্বর্ণযুগের চিকিৎসাবিজ্ঞানে এক গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ, যা আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের বিকাশে মৌলিক ভূমিকা পালন করেছে। এটি চিকিৎসাবিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখাকে সুসংগঠিতভাবে উপস্থাপন করেছে।
১. ‘কিতাব আত তাসরিফ’ একটি চিকিৎসা বিষয়ক বিশ্বকোষ, যা চিকিৎসাবিজ্ঞানের প্রায় সব শাখা নিয়ে রচিত।
২. গ্রন্থটির রচয়িতা হলেন আবুল কাসিম আল-জাহরাভি (Abul Qasim al-Zahrawi), যিনি একজন খ্যাতনামা শল্যচিকিৎসক ও সার্জন ছিলেন।
৩. এতে শল্যচিকিৎসা, ওষুধ প্রস্তুতকরণ, শরীরবিদ্যা, দাঁতের যত্ন এবং পুষ্টিবিজ্ঞান সম্পর্কিত বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে।
৪. আল-জাহরাভি তাঁর গ্রন্থে বিভিন্ন শল্যচিকিৎসার পদ্ধতি ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির চিত্র সংযোজন করেন, যা সে সময়ে এক অনন্য উদ্ভাবন ছিল।
৫. এই বই চিকিৎসাবিজ্ঞানের ইতিহাসে প্রথম ব্যবহারিক সার্জিক্যাল নির্দেশিকা হিসেবে স্বীকৃত।
৬. ‘কিতাব আত তাসরিফ’ পরবর্তীকালে ইউরোপীয় চিকিৎসাশাস্ত্রেও গভীর প্রভাব ফেলেছিল, এবং শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এটি চিকিৎসকদের পাঠ্যপুস্তক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।

0
Updated: 21 hours ago
ওয়ারাকা ইবনে নওফেল কোন্ ভাষায় ইনজিল কিতাব লিখতেন?
Created: 1 day ago
A
হিব্রু ভাষায়
B
ইবরানী ভাষায়
C
আরবী ভাষায়
D
মক্কার আঞ্চলিক ভাষায়
ওয়ারাকা বিন নওফেল ছিলেন জ্ঞানী ও ধর্মীয় গ্রন্থসমূহে পারদর্শী ব্যক্তি। তিনি ইবরানী (হিব্রু) ভাষায় লেখালেখি ও অনুবাদে দক্ষ ছিলেন। আল্লাহর তাওফীকে তিনি ইঞ্জিলকে ইবরানী ভাষায় অনুবাদ করতেন, যা তার জ্ঞান ও প্রজ্ঞার প্রতিফলন।
পয়েন্ট আকারে—
-
ওয়ারাকা বিন নওফেল ছিলেন হযরত খাদিজা (রা.)-এর চাচাতো ভাই এবং প্রাক-ইসলামিক যুগে একেশ্বরবাদে বিশ্বাসী ছিলেন।
-
তিনি ইবরানী বা হিব্রু ভাষায় লিখতে জানতেন।
-
আল্লাহর অনুপ্রেরণায় তিনি ইঞ্জিলকে ইবরানী ভাষায় অনুবাদ করতেন।
-
ইবরানী ও হিব্রু ভাষা মূলত একই ভাষা, শুধু নামের পার্থক্য রয়েছে।
-
প্রশ্নে যদি “ইবরানী ভাষা” উল্লেখ থাকে, সেটিই সঠিক উত্তর; আর যদি না থাকে, তবে “হিব্রু ভাষা”ই যথার্থ উত্তর হবে।

0
Updated: 1 day ago