কোন্ মুসলিম গণিতবিদ শূন্য এবং দশমিক সংখ্যা পদ্ধতির আবিষ্কার করেন?
A
জাবের ইবনে হাইয়ান
B
আল বেরুনী
C
আল খাওয়ারেজমী
D
ইবনে হাইসাম
উত্তরের বিবরণ
আল-খাওয়ারিজমি ছিলেন ইসলামী স্বর্ণযুগের অন্যতম মহান গণিতবিদ, যিনি শূন্য ও দশমিক সংখ্যা পদ্ধতির বিকাশে অসামান্য ভূমিকা রাখেন। তাঁর কাজ আধুনিক গণিতের ভিত্তি স্থাপন করে।
-
তিনি ভারতীয় সংখ্যা পদ্ধতি ইউরোপে পরিচিত করান, যা পরবর্তীতে আজকের আরবি সংখ্যা পদ্ধতি নামে পরিচিত হয়।
-
শূন্যের ধারণাকে তিনি একটি সুসংহত গাণিতিক কাঠামোর মধ্যে সংযোজন করেন, যা গণনা ও বীজগণিতকে সহজতর করে তোলে।
-
তাঁর রচিত গ্রন্থ “আল-কিতাব আল-মুখতাসার ফি হিসাব আল-জাবর ওয়াল-মুকাবালা” থেকে “অ্যালজেব্রা” শব্দটির উৎপত্তি।
-
তাঁর গবেষণা ইউরোপে গণিত ও বিজ্ঞান চর্চায় পুনর্জাগরণের পথ উন্মুক্ত করে।
-
পশ্চিমা গণিতের ইতিহাসে তাঁর নাম থেকেই “Algorithm” শব্দটির উদ্ভব হয়।

0
Updated: 21 hours ago
রাসুল (সঃ) 'আল আমিন' উপাধি লাভ করেন?
Created: 22 hours ago
A
তাঁর সামাজিক কর্মদক্ষতা ও সততার কারণে
B
সত্য কথা বলার জন্য
C
মিথ্যাকে ঘৃণা করার কারণে
D
সামাজিক কর্মকান্ডে তাঁর সততা ও বিশ্বস্ততাঁর কারণে
রাসুল (সঃ) তাঁর অসাধারণ সততা, ন্যায়নিষ্ঠা ও বিশ্বস্ততার কারণে ‘আল-আমিন’ উপাধিতে ভূষিত হন। সমাজে তিনি ছিলেন এমন একজন ব্যক্তি, যাঁর প্রতি সবাই সম্পূর্ণ আস্থা রাখত।
-
তিনি সত্যবাদিতা ও আমানতদারিতার জন্য প্রসিদ্ধ ছিলেন।
-
শত্রু-মিত্র নির্বিশেষে সবাই তাঁর কাছে মূল্যবান সম্পদ গচ্ছিত রাখত, কারণ তাঁরা জানত, নবী (সঃ) কখনো বিশ্বাসভঙ্গ করবেন না।
-
ব্যবসা-বাণিজ্য, সামাজিক আচরণ ও ব্যক্তিগত জীবনে তিনি সর্বদা সততা ও ন্যায়পরায়ণতা বজায় রাখতেন।
-
তাঁর এই গুণাবলি মক্কার সমাজে তাঁকে বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
-
‘আল-আমিন’ উপাধি ইসলামী ইতিহাসে তাঁর নৈতিক আদর্শ ও চরিত্রের উৎকর্ষের প্রতীক হিসেবে আজও সমাদৃত।

0
Updated: 22 hours ago
জাহেলী যুগে উকাজ মেলা কিসের জন্য বিখ্যাত ছিল?
Created: 21 hours ago
A
ঘোড়া দৌড়ের প্রতিযোগিতার জন্য
B
বংশ মর্যাদা বিষয়ক পুঁথিপাঠের জন্য
C
বিখ্যাত কবিতা ও সাহিত্য চর্চার জন্য
D
সামাজিক বিচার ও সালিশের জন্য
উকাজ ছিল মক্কার নিকটবর্তী এক গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক মেলা, যা প্রাচীন আরব সমাজে বিশেষ মর্যাদা লাভ করেছিল। এটি বছরে নির্দিষ্ট সময়ে অনুষ্ঠিত হতো এবং আরবের বিভিন্ন কাবিলা এতে অংশগ্রহণ করত।
-
এটি মূলত জাহেলী যুগের (Pre-Islamic Arabia) এক বিখ্যাত মিলনমেলা, যেখানে বাণিজ্য, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সমন্বয় ঘটত।
-
মেলায় বিভিন্ন কাবিলার মানুষ এসে বাণিজ্যিক লেনদেন করত এবং নিজেদের কবিতা ও সাহিত্যকর্ম উপস্থাপন করত।
-
এখানে কবিতা পাঠ ও সাহিত্য প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হতো, যা আরবদের সামাজিক মূল্যবোধ, বীরত্ব ও নৈতিকতা প্রকাশের মাধ্যম ছিল।
-
ইম্বার, হামসা, আমর ইবন কাব, আমর ইবন আব্দুল্লাহ প্রমুখ খ্যাতনামা কবিরা তাঁদের কাব্য এখানে আবৃত্তি করতেন।
-
এই মেলা আরব সমাজে কাব্য ও ভাষাশিল্পের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
উকাজের মাধ্যমে আরব জাতি সাংস্কৃতিক ঐক্য, ভাষাগত উৎকর্ষ ও সাহিত্যিক পরিচিতি অর্জন করেছিল।

0
Updated: 21 hours ago
মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি থেকে প্রথমে কী পরিশোধ করতে হয়?
Created: 22 hours ago
A
দাফন কাপড়ের খরচ
B
উত্তরাধিকারীর প্রাপ্য অধিকার
C
ঋণ পরিশোধ
D
প্রতিবন্ধী কন্যা সন্তানের খরচ
ইসলামী আইনে মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি বণ্টনের আগে কিছু নির্দিষ্ট দায়িত্ব পালন করা বাধ্যতামূলক। প্রথমেই মৃত ব্যক্তির দাফন-কাফনের সব খরচ তার সম্পত্তি থেকেই পরিশোধ করতে হয়। এরপর বাকি সম্পদ থেকে অন্যান্য বিষয়গুলো সম্পন্ন করা হয়।
১. দাফন-কাফনের খরচ প্রথমে পরিশোধ করতে হয়, কারণ এটি মৃত ব্যক্তির প্রতি সমাজ ও পরিবারের ধর্মীয় দায়িত্ব।
২. এরপর যদি ঋণ থাকে, তবে সেই ঋণ পরিশোধ করতে হয়।
৩. ঋণ পরিশোধের পর মৃত ব্যক্তি যদি কোনো ওসিয়ত করে যান, তা সম্পত্তির এক-তৃতীয়াংশ সীমার মধ্যে পূরণ করা হয়।
৪. উপরোক্ত সব দায়িত্ব পালন শেষে অবশিষ্ট সম্পত্তি উত্তরাধিকারীদের মধ্যে শরিয়াহ অনুযায়ী বণ্টন করা হয়।
৫. এ নিয়মের মাধ্যমে ইসলামী আইন সম্পদের ন্যায্য ব্যবহার ও সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে।

0
Updated: 22 hours ago