হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী ঈমানের অংশ হচ্ছে?
A
সৎসাহস
B
অন্যায়ের প্রতিরোধ
C
তাকওয়া
D
হায়া (লজ্জাশীলতা)
উত্তরের বিবরণ
আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণিত এই হাদীসে রাসুলুল্লাহ (সঃ) ঈমানের বিভিন্ন দিক ও স্তর সম্পর্কে বিশদভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। এতে বোঝা যায়, ঈমান শুধু মুখের স্বীকারোক্তি নয়, বরং তা আচরণ, নৈতিকতা ও কাজের মাধ্যমে প্রকাশ পায়।
-
হাদীসে বলা হয়েছে, ঈমানের সত্তরটিরও বেশি শাখা রয়েছে, যা ঈমানের বিস্তৃত ও বহুমাত্রিক প্রকৃতি নির্দেশ করে।
-
এর মধ্যে সর্বোত্তম শাখা হলো “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” — অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোনো উপাস্য নেই— এই ঘোষণা।
-
সাধারণ শাখা হলো পথ থেকে কষ্টদায়ক বস্তু অপসারণ করা, যা সমাজে মানবকল্যাণ ও নিরাপত্তার প্রতীক।
-
লজ্জাশীলতা (হায়া) কে এখানে ঈমানের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, যা নৈতিক চরিত্রের পরিচায়ক।
-
এই হাদীস শিক্ষা দেয় যে ঈমান শুধুমাত্র বিশ্বাস নয়, বরং মানুষের নৈতিক আচরণ, সমাজসেবা ও আত্মসংযমের প্রতিফলন।

0
Updated: 22 hours ago
হুদাইবিয়ার সন্ধি কত বছর স্থায়ী হয়?
Created: 1 day ago
A
২ বছর
B
৩ বছর
C
৪ বছর
D
১ বছর
হুদাইবিয়ার সন্ধি ইসলামের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক চুক্তি, যা মুসলমানদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি শান্তি ও ইসলামের বিস্তারের সুযোগ সৃষ্টি করেছিল। এটি মদিনার মুসলমান ও মক্কার কুরাইশদের মধ্যে সম্পাদিত হয়।
১. চুক্তিটি ৬২৮ খ্রিষ্টাব্দে (৬ হিজরি) হুদাইবিয়া নামক স্থানে স্বাক্ষরিত হয়।
২. এর মেয়াদ ছিল ১০ বছর, যার মধ্যে উভয় পক্ষ যুদ্ধবিগ্রহ থেকে বিরত থাকবে বলে শর্ত নির্ধারণ করা হয়েছিল।
৩. সন্ধির মাধ্যমে মুসলমানদের নিরাপদে মক্কায় ওমরাহ পালনের অনুমতি পরবর্তী বছরে দেওয়া হয়।
৪. এতে কিছু শর্ত মুসলমানদের জন্য আপাতদৃষ্টিতে কঠিন মনে হলেও, তা ভবিষ্যতে ইসলামের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক শক্তি বৃদ্ধির ভিত্তি তৈরি করে।
৫. মাত্র দুই বছর পর কুরাইশরা সন্ধির শর্ত ভঙ্গ করে, একটি মিত্র গোত্রের ওপর হামলা চালিয়ে।
৬. এর ফলে চুক্তিটি বাতিল হয় এবং মুসলমানরা মক্কা বিজয়ের পথে অগ্রসর হয়, যা ইসলামী ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় নেয়।
৭. হুদাইবিয়ার সন্ধি ছিল ইসলামী কূটনীতির ধৈর্য, প্রজ্ঞা ও কৌশলগত সফলতার এক উজ্জ্বল উদাহরণ।
৮. এই চুক্তির মাধ্যমে ইসলামের বার্তা শান্তিপূর্ণভাবে আরব উপদ্বীপে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়।

0
Updated: 1 day ago
হিজরতের পর ইসলামের প্রথম সৃষ্ট সামাজিক বন্ধন কী নামে পরিচিত?
Created: 22 hours ago
A
মুয়াখাত (ভাই ভাই)
B
আখলাকী বন্ধন
C
মদিনা সনদ
D
বৈমাত্রেয় ভাই
হিজরতের পর ইসলামি সমাজে একটি নতুন সামাজিক কাঠামো প্রতিষ্ঠিত হয়, যার মূল ভিত্তি ছিল মুহাজির ও আনসারদের ভ্রাতৃত্ব বা মুখাওয়াত। রাসুলুল্লাহ (সা.) মদিনায় আগমনের পর মক্কার মুহাজির ও মদিনার আনসারদের মধ্যে এই ভ্রাতৃত্ব স্থাপন করেন, যা মুসলমানদের পারস্পরিক ঐক্য, সহানুভূতি ও সহযোগিতার দৃষ্টান্ত তৈরি করে।
-
মুখাওয়াত ছিল ইসলামের প্রথম সামাজিক বন্ধন, যা সমাজে ভ্রাতৃত্ব ও সমতার ভিত্তি স্থাপন করে।
-
মদিনার আনসাররা মুহাজিরদের সহায়তা ও আশ্রয় দেন, ফলে তারা অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারেন।
-
এই বন্ধনের মাধ্যমে মুসলিম সমাজে পারস্পরিক সহমর্মিতা ও ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
এটি পরবর্তীতে ইসলামি সমাজব্যবস্থার একটি মূল নীতি হিসেবে গণ্য হয়, যেখানে মুসলমানরা একে অপরের ভাই হিসেবে বিবেচিত।
-
মুখাওয়াতের মাধ্যমে ইসলামী সমাজে জাতি, বংশ ও শ্রেণিবৈষম্য বিলুপ্ত হয়ে মানবিক মূল্যবোধের বিকাশ ঘটে।

0
Updated: 22 hours ago
কোন্ সাহাবী খন্দকের যুদ্ধে পরীখা খননের পরামর্শ দেন?
Created: 1 day ago
A
হযরত ওমর (রাঃ)
B
হযরত আলী (রাঃ)
C
হযরত সালমান ফার্সি (রাঃ)
D
হযরত আবু বকর (রাঃ)
খন্দকের যুদ্ধ ইসলামি ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়, যা আহযাবের যুদ্ধ নামেও পরিচিত। এই যুদ্ধ মদিনার প্রতিরক্ষায় নবী করিম (সা.)-এর কৌশলগত প্রজ্ঞা ও সাহাবিদের ত্যাগের সাক্ষ্য বহন করে।
-
মদিনা নগরীর তিন দিক প্রাকৃতিকভাবে খেজুরবাগান ও পাহাড় দ্বারা সুরক্ষিত ছিল।
-
চতুর্থ দিকটি ছিল উন্মুক্ত, যেখান দিয়ে শত্রু আক্রমণের সম্ভাবনা ছিল সবচেয়ে বেশি।
-
এই উন্মুক্ত দিক রক্ষার জন্য হজরত সালমান ফারসি (রা.) পরিখা খননের পরামর্শ দেন, যা মূলত পারস্যদের যুদ্ধকৌশল ছিল।
-
নবী করিম (সা.) তার পরামর্শ গ্রহণ করে সাহাবিদের নিয়ে খন্দক বা পরিখা খনন শুরু করেন।
-
পরিখার প্রশস্ততা এমনভাবে নির্ধারণ করা হয় যাতে কোনো ঘোড়া বা উট লাফিয়ে তা পার হতে না পারে।
-
এই কৌশল শত্রুদের অগ্রযাত্রা থামিয়ে দেয় এবং মুসলমানদের বিজয়ের পথ সুগম করে।
-
খন্দকের যুদ্ধ প্রমাণ করে যে ইসলামে যুদ্ধ কেবল শক্তির নয়, বুদ্ধিমত্তা ও পরিকল্পনার বিষয়ও।

0
Updated: 1 day ago