মহানবীর (সাঃ) মদিনায় প্রথম কোন্ মসজিদ নির্মাণ করেন?
A
মসজিদে নববী
B
মসজিদে কুবা
C
মসজিদে নামিরা
D
মসজিদে দ্বিয়ার
উত্তরের বিবরণ
ইসলামের ইতিহাসে প্রথম প্রতিষ্ঠিত মসজিদ হলো মসজিদে কুবা। মহানবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হিজরতের পর মদিনার উপকণ্ঠে এসে এই মসজিদের ভিত্তি স্থাপন করেন। এটি ছিল এমন একটি মসজিদ যা তাকওয়া ও আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে নির্মিত হয়েছিল।
-
মসজিদে কুবা ইসলামের প্রথম নির্মিত ইবাদতগৃহ, যেখানে নবী করিম (সা.) নিজ হাতে ইট বসিয়েছিলেন।
-
এটি মদিনা শরিফের দক্ষিণে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
-
এই মসজিদ সম্পর্কে সুরা আত-তাওবা (আয়াত ১০৮)-এ আল্লাহ তাআলা প্রশংসা করেছেন এবং বলেছেন যে এটি তাকওয়ার ভিত্তিতে নির্মিত।
-
নবী করিম (সা.) প্রতি শনিবার এখানে এসে দুই রাকাত নামাজ আদায় করতেন।
-
ইতিহাসে বলা হয়, এখানে নামাজ আদায় করা এক উমরাহ পালনের সমতুল্য সওয়াব অর্জনের মাধ্যম।
-
মসজিদে কুবা আজও মুসলমানদের জন্য পবিত্র স্থান ও ঐতিহাসিক নিদর্শন হিসেবে গুরুত্ব বহন করে।

0
Updated: 22 hours ago
‘দেবতাভীতি হতে মুক্ত হতে না পারলে মানবজাতি কখনো স্বাধীন হতে পারে না' এটা কার উক্তি?
Created: 22 hours ago
A
এরিস্টটল
B
জর্জ বার্নার্ড শ
C
ইপিকিউরাস
D
ইবনে সিনা
ইপিকিউরাস ছিলেন প্রাচীন গ্রিক চিন্তাধারার একজন বিশিষ্ট দার্শনিক, যিনি মানবজীবনের প্রকৃত সুখকে ভয় ও কুসংস্কারমুক্ত মানসিক শান্তিতে খুঁজে পেয়েছিলেন। তাঁর চিন্তায় মুক্তি মানে ছিল আত্মিক প্রশান্তি ও বুদ্ধিবৃত্তিক স্বচ্ছতা অর্জন করা।
১. উক্তি — “দেবতাভীতি হতে মুক্ত হতে না পারলে মানবজাতি কখনো স্বাধীন হতে পারে না।” — এর মাধ্যমে তিনি মানুষকে অযৌক্তিক ভয় ও ধর্মীয় কুসংস্কার থেকে মুক্তির আহ্বান জানান।
২. ইপিকিউরাস (খ্রিষ্টপূর্ব ৩৪১–২৭০) ছিলেন একজন প্রাচীন গ্রিক দার্শনিক।
৩. তিনি “Epicureanism” নামের দর্শনধারার প্রবর্তক, যার মূল ভিত্তি হলো আনন্দ ও মানসিক প্রশান্তি (Ataraxia)।
৪. তাঁর মতে, প্রকৃত সুখ আসে দেবতা, মৃত্যু ও অজানার ভয় থেকে মুক্তি লাভের মাধ্যমে।
৫. তিনি বিশ্বাস করতেন যে, মানুষ যদি যুক্তি ও জ্ঞানের দ্বারা জীবন পরিচালনা করে, তবে ভয়, কুসংস্কার ও দুঃখ থেকে মুক্তি সম্ভব।
৬. ইপিকিউরাসের দর্শন পরবর্তীতে পাশ্চাত্য চিন্তাধারায় নৈতিকতা, আত্মসংযম ও সুখবাদ (Hedonism) সম্পর্কে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে।

0
Updated: 22 hours ago
ইসলামী রাষ্ট্রে জোর জবরদস্তি আছে কী?
Created: 1 day ago
A
আছে, আইনের ব্যবস্থাপনায়
B
নাই
C
কিছু ধর্মীয় অনুশাসনের ক্ষেত্রে
D
ধর্মীয় ও আইন উভয় ক্ষেত্রে
ইসলামী রাষ্ট্রে ধর্ম ও আইনের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ইসলামের মূলনীতি অনুযায়ী ধর্মের বিষয়ে কোনো প্রকার জোর-জবরদস্তি নেই, তবে সমাজে ন্যায়বিচার ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার জন্য আইন প্রয়োগ অপরিহার্য।
-
কুরআনে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে—“ধর্মে কোনো জোর-জবরদস্তি নেই” (সূরা আল-বাকারা ২:২৫৬); অর্থাৎ কেউ কাউকে ইসলাম গ্রহণে বাধ্য করতে পারে না।
-
তবে আইন ও সামাজিক শৃঙ্খলা রক্ষা ইসলামী রাষ্ট্রের দায়িত্ব, তাই অপরাধ, অন্যায় বা অবাধ্যতার ক্ষেত্রে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
-
ইসলামী শাসনব্যবস্থায় ধর্মীয় বিধান ও নাগরিক আইন—দুটিকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়।
-
প্রশ্নে যেহেতু কেবল “জোর-জবরদস্তি” বলা হয়েছে, কিন্তু ধর্ম বিষয়টি নির্দিষ্ট করা হয়নি, তাই এর আওতা বিস্তৃত হয়ে ধর্মীয় ও আইন উভয় ক্ষেত্রকেই অন্তর্ভুক্ত করে।
-
এই নীতির উদ্দেশ্য হলো সমাজে ন্যায়, নিরাপত্তা ও পারস্পরিক সম্মান বজায় রাখা, যাতে সবাই স্বাধীনভাবে ধর্ম পালন করতে পারে এবং আইনশৃঙ্খলা অক্ষুণ্ণ থাকে।

0
Updated: 1 day ago
যে হাদিসের সনদের দোষ-ত্রুটি গোপন করা হয় তাকে বলে?
Created: 1 day ago
A
মুদাল্লাস
B
মন্কাতা
C
শাম
D
মাক্তু
মুদাল্লাস হাদীস এমন একটি হাদীস যার সনদে অস্পষ্টতা বা গোপনতা থাকে। এতে কোনো বর্ণনাকারী তার শিক্ষক বা যিনি তাকে হাদীসটি বলেছেন, তার নাম উল্লেখ না করে এমনভাবে বর্ণনা করেন যেন তিনি সরাসরি তার কাছ থেকে শুনেছেন। এর ফলে সনদের একটি স্তর আড়াল হয়ে যায়, যা হাদীসের নির্ভরযোগ্যতায় প্রভাব ফেলে।
পয়েন্ট আকারে—
-
মুদাল্লাস হাদীস শব্দটি এসেছে “তাদলিস” থেকে, যার অর্থ গোপন করা বা আড়াল করা।
-
এতে বর্ণনাকারী ইচ্ছাকৃতভাবে বা অসাবধানতাবশত সনদের ত্রুটি বা দুর্বলতা লুকিয়ে রাখেন।
-
তিনি এমনভাবে হাদীস বর্ণনা করেন যেন সরাসরি তার শিক্ষক থেকে শুনেছেন, অথচ বাস্তবে অন্য কারও মাধ্যমে শুনেছেন।
-
এ কারণে এই ধরণের হাদীস বিশুদ্ধতার দিক থেকে দুর্বল বা যাচাইযোগ্য নয় বলে বিবেচিত হয়।
-
হাদীসবিদগণ মুদাল্লাস বর্ণনাকারীদের সনদ যাচাইয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করেন যাতে সত্যতা নিশ্চিত করা যায়।

0
Updated: 1 day ago