কাদেরকে হানিফ সম্প্রদায় বলা হয়?
A
প্রকৃত একেশ্বরবাদী
B
ঈসা (আঃ)-এর অনুসারী
C
মুসা (আঃ)এর অনুসারী
D
নূহ (আঃ) এর অনুসারী
উত্তরের বিবরণ
হানিফ সম্প্রদায় বলতে ইসলাম-পূর্ব আরবের সেই একেশ্বরবাদী মানুষদের বোঝানো হয়, যারা একমাত্র আল্লাহর উপাসনা করতেন এবং মূর্তিপূজাকে ঘৃণা করতেন। তারা ইহুদি ও খ্রিস্টান ধর্মের বিকৃত রূপ থেকে দূরে থেকে আদিপুরুষ হযরত ইবরাহিম (আঃ)-এর তাওহিদের পথে চলার চেষ্টা করতেন।
-
“হানিফ” শব্দের অর্থ হচ্ছে ত্যাগী বা সত্যপথে অবিচল ব্যক্তি।
-
তারা আল্লাহর একত্বে বিশ্বাসী ছিলেন এবং কোনো প্রকার মূর্তিপূজা বা বহুত্ববাদে অংশ নিতেন না।
-
হানিফরা ইসলামের পূর্বাভাস হিসেবে বিবেচিত, কারণ তাদের বিশ্বাস ইসলামের মৌলিক তাওহিদের ধারণার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।
-
ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য হানিফদের মধ্যে ছিলেন ওরাকা ইবন নাওফাল ও উমাইয়া ইবন আবি আস-সলত, যারা তাওহিদের দাওয়াত দিতেন।
-
হানিফদের আদর্শ পরবর্তীতে ইসলামের আবির্ভাবে একেশ্বরবাদী চিন্তার ভিত্তি তৈরি করে।

0
Updated: 22 hours ago
দাসদের প্রতি ইসলামের মূল দৃষ্টিভঙ্গি-
Created: 1 day ago
A
সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ
B
তাদের দ্বারা অর্থ উপার্জন
C
সামাজিক কাজে লাগানো
D
মানবিক মর্যাদা প্রদান ও ন্যায্য আচরণ
ইসলাম দাসপ্রথা বিলোপে যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করেছে। ইসলামের আগমনের পূর্বে সমাজে দাসত্ব ছিল প্রচলিত ও নির্মম একটি প্রথা, কিন্তু ইসলাম ধীরে ধীরে সেই ব্যবস্থা সংস্কার করে মানবিক ও ন্যায্যতার পথে পরিচালিত করেছে।
পয়েন্ট আকারে—
-
ইসলামের আবির্ভাবকালে দাসত্বের নানা উৎস ও পথ বিদ্যমান ছিল, ইসলাম সেগুলো বন্ধ করে দিয়েছে।
-
একই সঙ্গে ইসলাম দাসদের মুক্ত করার বহু সুযোগ ও উৎসাহের ব্যবস্থা করেছে।
-
কেবল যুদ্ধে বন্দী হওয়া কাফির, মুশরিক ও তাদের নারী-শিশুদের দাসত্বের আওতায় আনা হতো।
-
যুদ্ধবন্দীরা যদি ইসলাম গ্রহণ করত, তবে তারা মুক্তি পেত এবং সমাজে স্বাধীন নাগরিক হিসেবে অবস্থান করত।
-
ইসলাম দাসদের সাথে উত্তম আচরণ, সমান খাদ্য ও বস্ত্র প্রদান এবং নিপীড়ন নিষিদ্ধ করেছে।
-
দাস মুক্ত করা ইসলামি শরিয়তে পাপ মোচনের অন্যতম সওয়াবপূর্ণ কাজ হিসেবে ঘোষিত হয়েছে।
-
এই ন্যায় ও মানবিক আচরণের নীতি অন্য কোনো ধর্মে এত বিস্তৃত ও বাস্তব রূপে বিদ্যমান ছিল না।

0
Updated: 1 day ago
মহান আল্লাহ ছাড়া যে ব্যক্তি অন্য কারো নামে শপথ করে সে?
Created: 22 hours ago
A
ফাসিক
B
কাফির ও মুশরিক
C
মুনাফিক
D
যালিম
এই হাদীসটি ইসলামী বিশ্বাসে শপথের গুরুত্ব ও সীমা সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট বার্তা প্রদান করে। এতে বোঝানো হয়েছে যে, শপথ কেবলমাত্র আল্লাহর নামেই করা বৈধ, অন্য কারো নামে শপথ করা গুরুতর পাপ এবং তাওহীদের পরিপন্থী কাজ।
১. হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) থেকে।
২. রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন— “যে ব্যক্তি আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে শপথ করে, সে কুফরি করল বা শিরক করল।”
৩. এখানে “কুফরি করল” বলতে বোঝানো হয়েছে— সে এমন কাজ করেছে যা ঈমানের পরিপন্থী।
৪. আর “শিরক করল” মানে— আল্লাহর সাথে অন্য কাউকে অংশীদার করা, যা ইসলামে সবচেয়ে বড় গুনাহ।
৫. এই হাদীসের দ্বারা শিক্ষা নেওয়া যায় যে, শপথ শুধুমাত্র আল্লাহর নামেই করা উচিত; কোনো নবী, ওলি, কাবা বা অন্য কিছুর নামে শপথ করা হারাম।
৬. এটি তাওহীদের সংরক্ষণ এবং আল্লাহর মহত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করার একটি নির্দেশনা, যা মুমিনের ঈমানকে দৃঢ় রাখে।

0
Updated: 22 hours ago
ইসলামে গণতন্ত্রের মূল সীমা রেখা কী?
Created: 1 day ago
A
সব কিছু জনগনের মতের উপর নির্ভরশীল
B
নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মতামত
C
ইসলামী শরীয়ার সীমার মধ্যে জনগনের মতামত
D
জনগনের ভোট সীমারেখা নির্ধারণ করবে
ইসলামে গণতন্ত্রের ধারণা শূরা বা পরামর্শভিত্তিক শাসনব্যবস্থার ওপর প্রতিষ্ঠিত, যেখানে জনগণের মতামতকে মূল্য দেওয়া হয়, তবে তা সর্বদা কুরআন ও সুন্নাহর সীমার মধ্যে থাকতে হয়। এই পদ্ধতি ইসলামি রাষ্ট্রে ন্যায়, অংশগ্রহণ ও দায়িত্ববোধের সমন্বয় ঘটায়।
১. ইসলামী শাসনব্যবস্থায় শূরা (পরামর্শ) একটি মৌলিক নীতি, যা সিদ্ধান্ত গ্রহণে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে।
২. কুরআনে বলা হয়েছে— “وَأَمْرُهُمْ شُورَى بَيْنَهُمْ” অর্থাৎ “তাদের কাজ পরামর্শের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়” (সূরা আশ-শূরা, ৪২:৩৮)।
৩. ইসলামী গণতন্ত্রে জনমতকে গুরুত্ব দেওয়া হয়, তবে তা কখনও আল্লাহর বিধান অমান্য করতে পারে না।
৪. পশ্চিমা গণতন্ত্রে মতামতের স্বাধীনতা অসীম ও সীমাহীন, কিন্তু ইসলামে মতামত শরীয়ার নির্দেশনাধীন ও নিয়ন্ত্রিত।
৫. শূরা ভিত্তিক শাসনব্যবস্থায় ন্যায়, পরামর্শ ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
৬. এতে শাসক ও জনগণের মধ্যে পারস্পরিক দায়িত্ববোধ ও পরামর্শের সংস্কৃতি গড়ে ওঠে।
৭. ইসলামী শূরা পদ্ধতির লক্ষ্য হলো ন্যায়ভিত্তিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা ও সমাজে ভারসাম্য বজায় রাখা।
৮. এভাবে ইসলামি গণতন্ত্রে জনগণের মতামত আল্লাহর বিধানের পরিপূরক হিসেবে কাজ করে, বিরোধী নয়।

0
Updated: 1 day ago