মক্কাবাসী হযরত খাদিজা (রাঃ) কে কি নামে অভিহিত করতো?
A
সালেহা
B
আবিদা
C
সাদিকা
D
তাহিরা
উত্তরের বিবরণ
হযরত খাদিজা (রাঃ) ছিলেন ইসলামের ইতিহাসে একজন মহীয়সী নারী, যিনি তাঁর চরিত্র, নৈতিকতা ও পবিত্র জীবনের জন্য সর্বজনবিদিত। মক্কার মানুষ তাঁর এই গুণাবলির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা পোষণ করত এবং তাই তাঁকে বিশেষ উপাধিতে ভূষিত করেছিল।
১. মক্কাবাসীরা তাঁকে “তাহিরা” নামে অভিহিত করত, যার অর্থ “পবিত্র” বা “পুণ্যবতী”।
২. তিনি ব্যবসা-বাণিজ্যে অত্যন্ত সততা ও ন্যায়পরায়ণতা বজায় রাখতেন, যা তাঁর সুনাম বৃদ্ধি করে।
৩. তাঁর বিশ্বস্ততা ও ভদ্রতা সমাজে তাঁকে মর্যাদার উচ্চ আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছিল।
৪. নবুওয়াতের পূর্বেই তিনি তাঁর নৈতিকতা ও আদর্শ আচরণ দ্বারা মক্কার অন্যান্য নারীদের থেকে আলাদা হয়ে ওঠেন।
৫. ইসলাম গ্রহণের পর তিনি প্রথমেই নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সমর্থন দেন এবং তাঁর পাশে দৃঢ়ভাবে দাঁড়ান।
৬. তাঁর চরিত্র মুসলিম সমাজে নারীর মর্যাদা, পবিত্রতা ও আদর্শ জীবনের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

0
Updated: 22 hours ago
বাইয়াতে রিদওয়ানের প্রেক্ষাপট কী ছিল?
Created: 21 hours ago
A
হযরত ওসমান (রাঃ)এর শহীদ হওয়ার গুজব
B
হযরত উমর (রাঃ) এর বিরোধিতা করার কারনে
C
মক্কায় প্রবেশে কুরাইশদের প্রচন্ড বিরোধিতা
D
মুসলমানদের মধ্যে সাহস সঞ্চার করার জন্য
বাইয়াতে রিদওয়ান ছিল ইসলামী ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, যা ঘটে হুদায়বিয়ার সময়। এর প্রেক্ষাপট ছিল মক্কার কুরাইশদের দ্বারা হযরত উসমান (রা.)-কে মক্কায় প্রবেশের অনুমতি না দেওয়া। এতে মক্কা ও মদিনার মধ্যে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
-
নবী মুহাম্মদ (সা.) হযরত উসমান (রা.)-কে দূত হিসেবে মক্কায় পাঠান শান্তিপূর্ণ আলোচনার জন্য।
-
তাঁর ফিরে আসতে বিলম্ব হওয়ায় গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে উসমান (রা.) শহিদ হয়েছেন, যা মুসলমানদের মধ্যে গভীর ক্ষোভের সৃষ্টি করে।
-
এই পরিস্থিতিতে নবী (সা.)-এর নির্দেশে প্রায় ১৪০০ সাহাবি বাবলা গাছের নিচে শপথ (বাইয়াত) গ্রহণ করেন, যে তারা হযরত উসমান (রা.)-এর হত্যার প্রতিশোধ নেবেন।
-
এই শপথই ইতিহাসে পরিচিত ‘বাইয়াতে রিদওয়ান’ নামে, যার অর্থ আল্লাহর সন্তুষ্টির বাইয়াত।
-
কুরআনে সূরা আল-ফাতহে এই ঘটনার উল্লেখ আছে, যেখানে আল্লাহ তাআলা বলেন যে, যারা এই বাইয়াত গ্রহণ করেছিলেন, আল্লাহ তাঁদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছিলেন।

0
Updated: 21 hours ago
আল বিরুনীর সবচেয়ে বড় গবেষণার ক্ষেত্র কী ছিল?
Created: 22 hours ago
A
গনিত
B
রসায়ন
C
ভূগোল ও জ্যোতির্বিদ্যা
D
চিকিৎসা বিদ্যা
আল-বিরুনি ছিলেন মধ্যযুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী, যিনি মূলত ভূগোল ও জ্যোতির্বিদ্যা নিয়ে গভীর গবেষণা করেছেন। তিনি পৃথিবীর আকৃতি, পরিধি ও ব্যাসার্ধ নির্ণয়ে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেন এবং তাঁর গণনাগুলো আধুনিক বিজ্ঞানের কাছেও বিস্ময়করভাবে নির্ভুল বলে স্বীকৃত।
-
তিনি পৃথিবীকে গোলাকার ও নিজ অক্ষে ঘূর্ণনশীল বলে যৌক্তিকভাবে প্রমাণ করেছিলেন।
-
তাঁর গবেষণায় পৃথিবীর পরিধি ও ব্যাসার্ধের নির্ধারণ ছিল অত্যন্ত নিখুঁত।
-
নক্ষত্র, সূর্য ও চন্দ্রের গতি ও অবস্থান নিরূপণ, সময় পরিমাপ ও জ্যোতির্বিদ্যাগত পর্যবেক্ষণে তিনি বিশেষ পারদর্শিতা দেখান।
-
তিনি “আল-কানুন আল-মাসউদি” নামক গ্রন্থে ভূগোল, জ্যোতির্বিদ্যা ও গণিতের বহু তথ্য সংকলন করেন।
-
ভারত ভ্রমণের সময় তিনি “তাহকিক মা লি-ল-হিন্দ” গ্রন্থে ভারতীয় সংস্কৃতি, ভূগোল ও জ্যোতির্বিদ্যার বর্ণনা দেন।
-
তাঁর গবেষণার ফলাফল ইউরোপীয় বিজ্ঞান বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

0
Updated: 22 hours ago
ইসরা বা মিরাজ কত খ্রিঃ অনুষ্ঠিত হয়েছিল?
Created: 1 day ago
A
৬২১ খ্রিঃ
B
৬২২ খ্রিঃ
C
৬২৪ খ্রিঃ
D
৬২৩ খ্রিঃ
ইসরা ও মিরাজ ইসলামের ইতিহাসে এক অলৌকিক ঘটনা, যেখানে নবী করিম (সা.)-কে এক রাতের মধ্যে মক্কা থেকে বায়তুল মুকাদ্দাস এবং সেখান থেকে সপ্তাকাশে ভ্রমণের সুযোগ দেওয়া হয়। এটি ছিল তাঁর জন্য এক বিশেষ সম্মান ও মানবজাতির জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা।
-
অধিকাংশ ইসলামিক ঐতিহাসিকের মতে, এই ঘটনা সংঘটিত হয় নবুয়তের ১১তম বছরে, অর্থাৎ ৬২১ খ্রিস্টাব্দে।
-
যদিও এর সুনির্দিষ্ট তারিখ নিয়ে মতভেদ রয়েছে—কেউ বলেন রজব মাসের ২৭ তারিখে, আবার কেউ বলেন অন্য কোনো সময়ে এটি সংঘটিত হয়েছিল।
-
‘ইসরা’ বলতে বোঝায় মক্কা থেকে বায়তুল মুকাদ্দাস পর্যন্ত রাত্রিকালীন সফর, আর ‘মিরাজ’ বলতে বোঝায় সেখান থেকে আকাশলোকে আরোহণ।
-
এই সফরে নবী করিম (সা.) আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং মুসলমানদের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হওয়ার নির্দেশ লাভ করেন।
-
ইসরা ও মিরাজ মুসলমানদের জন্য ঈমান, ধৈর্য ও আল্লাহর অসীম ক্ষমতার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
-
এই ঘটনার মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে, আল্লাহ তাঁর প্রিয় বান্দাকে অসাধারণভাবে সম্মানিত করেন এবং ঈমানদারদের জন্য চূড়ান্ত পুরস্কার আখিরাতে রয়েছে।

0
Updated: 1 day ago