বদর যুদ্ধের পর মদিনার কোন্ ইহুদী গোত্রকে বহিষ্কার করা হয়?
A
বানু কায়নুকা
B
বানু গাত্ফান
C
বানু নাসির
D
বানু কোরায়জা
উত্তরের বিবরণ
বদর যুদ্ধের পর মদিনার বনু কায়নুকা ইহুদি গোত্রকে মদিনা থেকে বহিষ্কার করা হয়, কারণ তারা মদিনা সনদের শর্ত ভঙ্গ করেছিল। এক মুসলিম নারীর সম্ভ্রমহানি ঘটনার মাধ্যমে তারা মুসলমানদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে, যার ফলস্বরূপ এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
-
বনু কায়নুকা ছিল মদিনার তিনটি প্রধান ইহুদি গোত্রের একটি।
-
তারা প্রথমেই মুসলমানদের সঙ্গে করা চুক্তি ভঙ্গ করে শত্রুতা প্রকাশ করে।
-
এক ইহুদি স্বর্ণকার এক মুসলিম নারীর বস্ত্র খুলে দিয়ে অপমান করলে ঘটনাটি সংঘর্ষে রূপ নেয়।
-
ফলস্বরূপ মুসলমানরা তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় এবং খলিফা মুহাম্মদ (সা.) তাদের মদিনা থেকে বহিষ্কারের নির্দেশ দেন।
-
এই ঘটনার পর বাকি ইহুদি গোত্রগুলোও মুসলমানদের প্রতি সতর্ক হয়ে যায়।

0
Updated: 22 hours ago
বিদায়ী হজ্জের ভাষণে কোন্ মৌলিক নীতির প্রতি জোর দেওয়া হয়েছে?
Created: 21 hours ago
A
যুদ্ধ কৌশল
B
যুদ্ধ বিলোপ
C
নারী অধিকার
D
মানবতার মর্যাদা ও ক্ষমতা
বিদায় হজের ভাষণ ছিল মানবতার মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠার এক অনন্য দৃষ্টান্ত, যেখানে রাসুলুল্লাহ ﷺ মানবজাতির ন্যায়, সমতা ও ভ্রাতৃত্বের নীতিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন। এটি শুধু ধর্মীয় নির্দেশ নয়, বরং সমগ্র মানবসমাজের জন্য এক সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা হিসেবে বিবেচিত হয়।
-
মানুষের জীবন, সম্পদ ও মর্যাদা পবিত্র, এগুলোর প্রতি আঘাত বা অবমাননা করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
-
জাতি, বর্ণ ও ভাষার কোনো শ্রেষ্ঠত্ব নেই, প্রকৃত মর্যাদা নির্ধারিত হয় কেবল তাকওয়া ও সৎকর্মের ভিত্তিতে।
-
নারীদের অধিকার সুরক্ষিত করার ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়, যাতে পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
সমাজে ন্যায়বিচার, ভ্রাতৃত্ব, সহমর্মিতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধা বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
-
সুদ, রক্তপাত ও অন্যায়ের সকল রূপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সমাজে শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানানো হয়।
-
এই ভাষণ মানবসভ্যতার ইতিহাসে এমন এক দলিল, যেখানে মানবতার মর্যাদা ও সমতার মূলনীতি সবচেয়ে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।

0
Updated: 21 hours ago
রাঈসুল মুফাসসিরীন কার উপাধি?
Created: 1 day ago
A
আবদুল্লাহ বিন ওমর (রাঃ)
B
আবদুল্লাহ্ বিন আব্বাস (রাঃ)
C
হযরত আবু বকর (রাঃ)
D
হযরত ওসমান (রাঃ)
‘রঈসুল মুফাসসিরীন’ উপাধি প্রদান করা হয়েছে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.)-কে, যিনি কুরআনের ব্যাখ্যায় অতুলনীয় জ্ঞান ও প্রজ্ঞার অধিকারী ছিলেন।
-
তিনি ছিলেন রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর চাচাতো ভাই এবং ইসলামী জ্ঞানে বিশেষভাবে কুরআনের তাফসিরে খ্যাতিমান।
-
রাসুল (সা.) তাঁর জন্য দোয়া করেছিলেন, যাতে আল্লাহ তাঁকে কুরআনের গভীর জ্ঞান ও প্রজ্ঞা দান করেন।
-
তাঁর তাফসিরে ভাষাগত বিশ্লেষণ, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও অর্থগত ব্যাখ্যা অসাধারণভাবে প্রকাশ পেয়েছে।
-
পরবর্তী প্রজন্মের মুফাসসিররা তাঁকে কুরআন ব্যাখ্যার মৌলিক পথপ্রদর্শক হিসেবে অনুসরণ করেছেন।
-
তাই তাঁকে ‘কুরআনের প্রধান ব্যাখ্যাকারী’ বা ‘রঈসুল মুফাসসিরীন’ উপাধিতে সম্মানিত করা হয়েছে।

0
Updated: 1 day ago
ভাই ভাই সম্পর্ক বিনষ্টকারী কোন কাজ সুরা আল-হুজরাতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে?
Created: 1 day ago
A
টাকা ধার দেয়া
B
সালাম না দেয়া
C
উপহাস ও বিদ্রূপ করা
D
দাওয়াত না দেয়া
এই আয়াতে মুসলমানদের পারস্পরিক সম্পর্কের আদর্শ আচরণ শিক্ষা দেওয়া হয়েছে, যাতে কেউ অন্যকে তুচ্ছ বা অপমান না করে।
-
আয়াতে বলা হয়েছে, “হে ঈমানদারগণ” — অর্থাৎ এটি সরাসরি বিশ্বাসীদের উদ্দেশ্যে করা আহ্বান।
-
নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, কোনো সম্প্রদায় যেন অন্য সম্প্রদায়কে বিদ্রূপ না করে, কারণ এতে অহংকার ও হীনমন্যতা সৃষ্টি হয়।
-
বিদ্রূপের শিকার ব্যক্তিরাই আল্লাহর কাছে উত্তম হতে পারে, তাই কাউকে ছোট করে দেখা অন্যায়ের শামিল।
-
এই আয়াত মানুষকে সম্মান, ভ্রাতৃত্ব ও নৈতিক শালীনতার শিক্ষা দেয়।
-
এটি সমাজে ঘৃণা ও বিভেদ রোধের এক গুরুত্বপূর্ণ নীতি, যা ইসলামী সামাজিক ন্যায়ের মূলভিত্তি।

0
Updated: 1 day ago