‘আমার সুন্নাত' বলে রাসুল (সাঃ) একটি আমলের দিকে নির্দেশ করেছেন সেটি কী?
A
ব্যবসা করা
B
রাষ্ট্র পরিচালনা করা
C
মসজিদের ইমামতি করা
D
বিবাহ করা
উত্তরের বিবরণ
রাসূলুল্লাহ (সা.) বিবাহের গুরুত্ব অত্যন্ত স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, “যে বিবাহ করেছে, সে তার ঈমানের অর্ধেক পূর্ণ করেছে।” অর্থাৎ বিবাহ মানুষের চরিত্র ও আত্মসংযমকে রক্ষা করে, যা ঈমানের পরিপূর্ণতার অংশ। অন্য হাদীসে তিনি আরও বলেন, “বিবাহ করা আমার সুন্নাত।” এ নির্দেশনার মাধ্যমে তিনি মুসলমানদের বিবাহকে ধর্মীয় ও সামাজিক দায়িত্ব হিসেবে গ্রহণ করতে উৎসাহিত করেছেন।
-
বিবাহ মানুষকে অশ্লীলতা ও পাপ থেকে রক্ষা করে, তাই একে ঈমানের অর্ধেক বলা হয়েছে।
-
এটি ইসলামী সমাজে নৈতিকতা, পরিবারব্যবস্থা ও সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখে।
-
রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর এই নির্দেশ মুসলমানদের জন্য জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত হিসেবে বিবেচিত।
-
বিবাহের মাধ্যমে মানুষ আল্লাহভীতির বাস্তব প্রকাশ ঘটাতে পারে, কারণ এটি দায়িত্বশীলতা ও আত্মসংযম শেখায়।
-
ইসলামে বিবাহ কেবল দাম্পত্য সম্পর্ক নয়, বরং এটি আধ্যাত্মিক ও সামাজিক ভারসাম্যের প্রতীক।

0
Updated: 22 hours ago
যাকাত প্রদান অস্বীকারকারীদের বিরুদ্ধে কে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন?
Created: 21 hours ago
A
হযরত আলী (রাঃ)
B
হযরত ওমর (রাঃ)
C
হযরত ওসমান (রাঃ)
D
হযরত আবু বকর (রাঃ)
হযরত আবু বকর (রা.), ইসলামের প্রথম খলিফা হিসেবে, যাকাত দিতে অস্বীকারকারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। তিনি এটিকে শুধু আর্থিক অমান্যতা নয়, বরং ইসলামের একটি মৌলিক স্তম্ভের প্রতি অবজ্ঞা হিসেবে দেখেছিলেন।
-
নবী করিম (সা.)-এর wafat-এর পর কিছু গোত্র যাকাত প্রদান বন্ধ করে দেয় এবং এটিকে তাদের ব্যক্তিগত সম্পদের অধিকার বলে দাবি করে।
-
হযরত আবু বকর (রা.) দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করেন, যে ব্যক্তি সালাত ও যাকাতের মধ্যে পার্থক্য করে, তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা হবে।
-
তাঁর এই সিদ্ধান্তে অনেক সাহাবি প্রথমে দ্বিধাগ্রস্ত হলেও পরে হযরত উমর (রা.) তাঁর অবস্থানের সমর্থন করেন।
-
এই যুদ্ধে মুসলমানরা বিজয়ী হন, এবং ফলস্বরূপ ইসলামের অর্থনৈতিক ও ধর্মীয় শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়।
-
ইতিহাসে এই যুদ্ধগুলো পরিচিত “হুরুবুর রিদ্দা” (বিদ্রোহ দমন যুদ্ধ) নামে।হযরত আবু বকর (রা.), ইসলামের প্রথম খলিফা হিসেবে, যাকাত দিতে অস্বীকারকারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। তিনি এটিকে শুধু আর্থিক অমান্যতা নয়, বরং ইসলামের একটি মৌলিক স্তম্ভের প্রতি অবজ্ঞা হিসেবে দেখেছিলেন।
-
নবী করিম (সা.)-এর wafat-এর পর কিছু গোত্র যাকাত প্রদান বন্ধ করে দেয় এবং এটিকে তাদের ব্যক্তিগত সম্পদের অধিকার বলে দাবি করে।
-
হযরত আবু বকর (রা.) দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করেন, যে ব্যক্তি সালাত ও যাকাতের মধ্যে পার্থক্য করে, তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা হবে।
-
তাঁর এই সিদ্ধান্তে অনেক সাহাবি প্রথমে দ্বিধাগ্রস্ত হলেও পরে হযরত উমর (রা.) তাঁর অবস্থানের সমর্থন করেন।
-
এই যুদ্ধে মুসলমানরা বিজয়ী হন, এবং ফলস্বরূপ ইসলামের অর্থনৈতিক ও ধর্মীয় শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়।
-
ইতিহাসে এই যুদ্ধগুলো পরিচিত “হুরুবুর রিদ্দা” (বিদ্রোহ দমন যুদ্ধ) নামে।
-

0
Updated: 21 hours ago
মহান আল্লাহ ছাড়া যে ব্যক্তি অন্য কারো নামে শপথ করে সে?
Created: 22 hours ago
A
ফাসিক
B
কাফির ও মুশরিক
C
মুনাফিক
D
যালিম
এই হাদীসটি ইসলামী বিশ্বাসে শপথের গুরুত্ব ও সীমা সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট বার্তা প্রদান করে। এতে বোঝানো হয়েছে যে, শপথ কেবলমাত্র আল্লাহর নামেই করা বৈধ, অন্য কারো নামে শপথ করা গুরুতর পাপ এবং তাওহীদের পরিপন্থী কাজ।
১. হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) থেকে।
২. রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন— “যে ব্যক্তি আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে শপথ করে, সে কুফরি করল বা শিরক করল।”
৩. এখানে “কুফরি করল” বলতে বোঝানো হয়েছে— সে এমন কাজ করেছে যা ঈমানের পরিপন্থী।
৪. আর “শিরক করল” মানে— আল্লাহর সাথে অন্য কাউকে অংশীদার করা, যা ইসলামে সবচেয়ে বড় গুনাহ।
৫. এই হাদীসের দ্বারা শিক্ষা নেওয়া যায় যে, শপথ শুধুমাত্র আল্লাহর নামেই করা উচিত; কোনো নবী, ওলি, কাবা বা অন্য কিছুর নামে শপথ করা হারাম।
৬. এটি তাওহীদের সংরক্ষণ এবং আল্লাহর মহত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করার একটি নির্দেশনা, যা মুমিনের ঈমানকে দৃঢ় রাখে।

0
Updated: 22 hours ago
টলেমী কে ছিলেন?
Created: 1 day ago
A
একজন গনিতবিদ
B
একজন জ্যোতির্বিদ
C
একজন চিকিৎসক
D
একজন শল্য চিকিৎসক
টলেমি ছিলেন প্রাচীন যুগের এক বিশিষ্ট গ্রিক-মিশরীয় বিজ্ঞানী, যিনি জ্যোতির্বিদ্যা, গণিত ও ভূগোলের ক্ষেত্রে অসাধারণ অবদান রেখে গেছেন। তাঁর গবেষণা মধ্যযুগীয় বৈজ্ঞানিক চিন্তাধারার ভিত্তি গঠন করেছিল এবং শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে প্রভাব বিস্তার করেছে।
পয়েন্ট আকারে—
-
টলেমির পূর্ণ নাম ক্লডিয়াস টলেমি (Claudius Ptolemy)।
-
তিনি মিশরের আলেকজান্দ্রিয়া শহরে দ্বিতীয় শতাব্দীতে বসবাস করতেন।
-
তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত তত্ত্ব হলো ভূকেন্দ্রিক (Geocentric) মডেল, যেখানে পৃথিবীকে মহাবিশ্বের কেন্দ্র হিসেবে ধরা হয়েছে।
-
এই তত্ত্ব অনুযায়ী সূর্য, চন্দ্র ও গ্রহসমূহ পৃথিবীর চারপাশে ঘোরে।
-
তিনি ‘আলমাগেস্ট’ (Almagest) নামে বিখ্যাত গ্রন্থে তাঁর জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক মতবাদ তুলে ধরেন।
-
জ্যোতির্বিদ্যার পাশাপাশি টলেমি গণিত, ভূগোল, মানচিত্র প্রণয়ন এবং সঙ্গীত তত্ত্ব সম্পর্কেও গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ রচনা করেন।
-
তাঁর রচিত ‘জিওগ্রাফিয়া’ (Geographia) বইটি ভূগোলবিদ্যার ইতিহাসে এক অমূল্য সংযোজন।
-
টলেমির কাজ পরবর্তীকালে ইউরোপীয় বিজ্ঞানীদের ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছিল, বিশেষ করে কোপারনিকাসের যুগ পর্যন্ত তাঁর তত্ত্ব প্রাধান্য পেয়েছিল।

0
Updated: 1 day ago