মহান আল্লাহ ছাড়া যে ব্যক্তি অন্য কারো নামে শপথ করে সে?
A
ফাসিক
B
কাফির ও মুশরিক
C
মুনাফিক
D
যালিম
উত্তরের বিবরণ
এই হাদীসটি ইসলামী বিশ্বাসে শপথের গুরুত্ব ও সীমা সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট বার্তা প্রদান করে। এতে বোঝানো হয়েছে যে, শপথ কেবলমাত্র আল্লাহর নামেই করা বৈধ, অন্য কারো নামে শপথ করা গুরুতর পাপ এবং তাওহীদের পরিপন্থী কাজ।
১. হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) থেকে।
২. রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন— “যে ব্যক্তি আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে শপথ করে, সে কুফরি করল বা শিরক করল।”
৩. এখানে “কুফরি করল” বলতে বোঝানো হয়েছে— সে এমন কাজ করেছে যা ঈমানের পরিপন্থী।
৪. আর “শিরক করল” মানে— আল্লাহর সাথে অন্য কাউকে অংশীদার করা, যা ইসলামে সবচেয়ে বড় গুনাহ।
৫. এই হাদীসের দ্বারা শিক্ষা নেওয়া যায় যে, শপথ শুধুমাত্র আল্লাহর নামেই করা উচিত; কোনো নবী, ওলি, কাবা বা অন্য কিছুর নামে শপথ করা হারাম।
৬. এটি তাওহীদের সংরক্ষণ এবং আল্লাহর মহত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করার একটি নির্দেশনা, যা মুমিনের ঈমানকে দৃঢ় রাখে।

0
Updated: 22 hours ago
হযরত আবু সুফিয়ান কখন ইসলাম গ্রহণ করেন?
Created: 1 day ago
A
হুদাইবিয়ার সন্ধির সময়
B
মক্কা বিজয়ের সময়
C
উহুদের যুদ্ধের সময়
D
খন্দকের যুদ্ধের সময়
৬৩০ খ্রিষ্টাব্দে মক্কা বিজয়ের পূর্ব মুহূর্তে আবু সুফিয়ান ইসলাম গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন, যা ইসলামী ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে বিবেচিত। দীর্ঘ সময় তিনি ইসলামের বিরোধিতা করলেও শেষ পর্যন্ত সত্য গ্রহণ করেন।
১. তাঁর পূর্ণ নাম ছিল আবু সুফিয়ান ইবন হারব, এবং তিনি কুরাইশ গোত্রের প্রধান নেতা ছিলেন।
২. তিনি ছিলেন রাসুল (সা.)-এর চাচাতো ভাই ও দুধ ভাই, অর্থাৎ পারিবারিকভাবে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কযুক্ত।
৩. ইসলামের প্রারম্ভিক সময়ে তিনি মুসলমানদের অন্যতম প্রবল বিরোধী ও যুদ্ধনেতা ছিলেন।
৪. তিনি উহুদ ও খন্দকের যুদ্ধসহ বহু যুদ্ধে কুরাইশ বাহিনীকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
৫. মক্কা বিজয়ের প্রাক্কালে রাসুল (সা.)-এর সাথে সাক্ষাতের পর তিনি ইসলামের সত্যতা উপলব্ধি করে ইসলাম গ্রহণ করেন।
৬. ইসলাম গ্রহণের পর তিনি মুসলমানদের মধ্যে সম্মানজনক স্থান লাভ করেন এবং পরবর্তীতে মুয়াবিয়া (রা.)-এর পিতা হিসেবে মুসলিম ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
৭. তাঁর ইসলাম গ্রহণ মক্কাবাসীর মনোভাব পরিবর্তনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে এবং মক্কা বিজয়কে শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সাহায্য করে।

0
Updated: 1 day ago
বিবাহের রোকন কী?
Created: 1 day ago
A
দুইজন সাক্ষী
B
উভয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া
C
ইজাব কবুল
D
গণ্যমান্য মেহমান উপস্থিত থাকা
ইসলামে বিবাহ একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি, যা নির্দিষ্ট শর্ত ও নিয়মের মাধ্যমে সম্পাদিত হয়। এর মূল ভিত্তি বা রুকন হলো ‘ইজাব ও কবুল’, অর্থাৎ প্রস্তাব ও গ্রহণ।
-
ইজাব বলতে বোঝায় কনের অভিভাবক বা প্রতিনিধির পক্ষ থেকে বিয়ের প্রস্তাব প্রদান।
-
কবুল হলো বরের পক্ষ থেকে সেই প্রস্তাব গ্রহণ করা, যা বিবাহের বৈধতা নিশ্চিত করে।
-
এই প্রক্রিয়াটি অবশ্যই দুজন প্রাপ্তবয়স্ক সাক্ষীর উপস্থিতিতে সম্পন্ন হতে হবে, যাতে বিবাহ প্রকাশ্য ও স্বীকৃত হয়।
-
ইজাব ও কবুল স্পষ্ট ও সম্মতভাবে উচ্চারণ করা জরুরি, যাতে কোনো পক্ষের অনিচ্ছা না থাকে।
-
এই বিধান ইসলামে ন্যায়, সম্মতি ও সামাজিক স্বচ্ছতার ভিত্তিতে বিবাহ প্রতিষ্ঠার প্রতীক।

0
Updated: 1 day ago
হাদিস বর্ণনাকারীর ধারাবাহিকতাকে কী বলে?
Created: 21 hours ago
A
সনদ
B
মতন
C
রেওয়ায়ত
D
দেরায়ত
হাদীস বর্ণনার ধারাবাহিকতাকে সনদ (سند) বলা হয়, যা হাদীস বিজ্ঞানের একটি মৌলিক উপাদান। এটি হাদীসের বিশ্বাসযোগ্যতা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
সনদ হলো হাদীস বর্ণনার সূত্র বা পরম্পরা, যা নবী করিম (সঃ) থেকে শুরু হয়ে একের পর এক বর্ণনাকারীর মাধ্যমে সংকলক পর্যন্ত পৌঁছায়।
-
প্রত্যেক বর্ণনাকারীর বিশ্বাসযোগ্যতা, স্মৃতি ও সততা যাচাই করে সনদের মান নির্ধারণ করা হয়।
-
সনদ বিশ্লেষণের মাধ্যমে জানা যায়, একটি হাদীস সহীহ, হাসান, দাঈফ বা মওযু কোন শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্ত।
-
ইসলামী বিদ্যায় এটি এমন এক বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি, যা ইতিহাসে জ্ঞান সংরক্ষণের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ব্যবস্থা হিসেবে স্বীকৃত।
-
সুতরাং, সনদ হাদীস বিজ্ঞানে বিশ্বাসযোগ্যতা ও প্রামাণিকতার মূল ভিত্তি।

0
Updated: 21 hours ago