‘আল কানুন ফিত্ তিবব' গ্রন্থটি কে রচনা করেন?
A
আবুল কাশেম আল জাহরাবী
B
ইবনে সিনা
C
আল রাযী
D
আল বেরুনী
উত্তরের বিবরণ
‘আল-কানুন ফিত তিব্ব’ একটি বিখ্যাত চিকিৎসাবিষয়ক গ্রন্থ, যার রচয়িতা প্রখ্যাত মুসলিম বিজ্ঞানী ও চিকিৎসক ইবনে সিনা। এটি ছিল মধ্যযুগীয় চিকিৎসা বিজ্ঞানের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংকলন।
-
গ্রন্থটি ১০২৫ সালে রচিত হয় এবং এতে চিকিৎসাবিজ্ঞানের বিস্তৃত ও সংগঠিত ধারণা উপস্থাপন করা হয়েছে।
-
এতে মানবদেহ, রোগ, ঔষধ ও চিকিৎসা-পদ্ধতি সম্পর্কিত বিস্তারিত ব্যাখ্যা রয়েছে।
-
এই গ্রন্থটি পরবর্তীকালে লাতিন, ইংরেজি, হিব্রু ও অন্যান্য ভাষায় অনূদিত হয়।
-
ইউরোপের চিকিৎসা শিক্ষা ও গবেষণায় এটি শতাব্দীর পর শতাব্দী পাঠ্যপুস্তক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।
-
ইবনে সিনার এই রচনা তাঁকে ‘আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক’ উপাধি এনে দেয়।
-
‘আল-কানুন ফিত তিব্ব’ ইসলামী সভ্যতার বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির একটি ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে আজও স্বীকৃত।

0
Updated: 22 hours ago
ব্যাভিচার প্রমান করার জন্য কতজন লোকের সাক্ষ্য প্রয়োজন?
Created: 1 day ago
A
৪ জন
B
৬ জন
C
২ জন
D
৩ জন
নিচে দেওয়া বাক্যটির অর্থ ও স্পষ্টতা বজায় রেখেই সংক্ষেপে পুনঃলিখন করা হল।
-
যেসব নারী ব্যভিচার করবে, তাদের বিরুদ্ধে চারজন পুরুষের সাক্ষ্য গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
-
যদি ওই চারজন সাক্ষ্য প্রদান করে, তাহলে ঐ নারীকে গৃহে আবদ্ধ করে রাখা হবে।
-
আবদ্ধ রাখার মেয়াদ হলো যতক্ষণ না তাদের মৃত্যু হয় বা আল্লাহ তাদের জন্য কোনো পৃথক পথ বের করেন।

0
Updated: 1 day ago
কোন্ মুসলিম গণিতবিদ শূন্য এবং দশমিক সংখ্যা পদ্ধতির আবিষ্কার করেন?
Created: 22 hours ago
A
জাবের ইবনে হাইয়ান
B
আল বেরুনী
C
আল খাওয়ারেজমী
D
ইবনে হাইসাম
আল-খাওয়ারিজমি ছিলেন ইসলামী স্বর্ণযুগের অন্যতম মহান গণিতবিদ, যিনি শূন্য ও দশমিক সংখ্যা পদ্ধতির বিকাশে অসামান্য ভূমিকা রাখেন। তাঁর কাজ আধুনিক গণিতের ভিত্তি স্থাপন করে।
-
তিনি ভারতীয় সংখ্যা পদ্ধতি ইউরোপে পরিচিত করান, যা পরবর্তীতে আজকের আরবি সংখ্যা পদ্ধতি নামে পরিচিত হয়।
-
শূন্যের ধারণাকে তিনি একটি সুসংহত গাণিতিক কাঠামোর মধ্যে সংযোজন করেন, যা গণনা ও বীজগণিতকে সহজতর করে তোলে।
-
তাঁর রচিত গ্রন্থ “আল-কিতাব আল-মুখতাসার ফি হিসাব আল-জাবর ওয়াল-মুকাবালা” থেকে “অ্যালজেব্রা” শব্দটির উৎপত্তি।
-
তাঁর গবেষণা ইউরোপে গণিত ও বিজ্ঞান চর্চায় পুনর্জাগরণের পথ উন্মুক্ত করে।
-
পশ্চিমা গণিতের ইতিহাসে তাঁর নাম থেকেই “Algorithm” শব্দটির উদ্ভব হয়।

0
Updated: 22 hours ago
ইসরা বা মিরাজ কত খ্রিঃ অনুষ্ঠিত হয়েছিল?
Created: 1 day ago
A
৬২১ খ্রিঃ
B
৬২২ খ্রিঃ
C
৬২৪ খ্রিঃ
D
৬২৩ খ্রিঃ
ইসরা ও মিরাজ ইসলামের ইতিহাসে এক অলৌকিক ঘটনা, যেখানে নবী করিম (সা.)-কে এক রাতের মধ্যে মক্কা থেকে বায়তুল মুকাদ্দাস এবং সেখান থেকে সপ্তাকাশে ভ্রমণের সুযোগ দেওয়া হয়। এটি ছিল তাঁর জন্য এক বিশেষ সম্মান ও মানবজাতির জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা।
-
অধিকাংশ ইসলামিক ঐতিহাসিকের মতে, এই ঘটনা সংঘটিত হয় নবুয়তের ১১তম বছরে, অর্থাৎ ৬২১ খ্রিস্টাব্দে।
-
যদিও এর সুনির্দিষ্ট তারিখ নিয়ে মতভেদ রয়েছে—কেউ বলেন রজব মাসের ২৭ তারিখে, আবার কেউ বলেন অন্য কোনো সময়ে এটি সংঘটিত হয়েছিল।
-
‘ইসরা’ বলতে বোঝায় মক্কা থেকে বায়তুল মুকাদ্দাস পর্যন্ত রাত্রিকালীন সফর, আর ‘মিরাজ’ বলতে বোঝায় সেখান থেকে আকাশলোকে আরোহণ।
-
এই সফরে নবী করিম (সা.) আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং মুসলমানদের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হওয়ার নির্দেশ লাভ করেন।
-
ইসরা ও মিরাজ মুসলমানদের জন্য ঈমান, ধৈর্য ও আল্লাহর অসীম ক্ষমতার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
-
এই ঘটনার মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে, আল্লাহ তাঁর প্রিয় বান্দাকে অসাধারণভাবে সম্মানিত করেন এবং ঈমানদারদের জন্য চূড়ান্ত পুরস্কার আখিরাতে রয়েছে।

0
Updated: 1 day ago