মানুচি কোন দেশের পর্যটক?
A
ইংল্যান্ড
B
ফ্রান্স
C
ইতালি
D
স্পেন
উত্তরের বিবরণ
ভেনিসের পর্যটক নিকোলো মানুচি (১৬৩৯–১৭১৭) ছিলেন ভারতের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ ইউরোপীয় ভ্রমণকারী, যিনি তাঁর ভ্রমণবৃত্তান্তে ভারত ও এর অধিবাসীদের জীবনযাত্রার নির্ভরযোগ্য বর্ণনা দিয়েছেন।
ভেনিস ইতালির একটি শহর, সেখানকারই নাগরিক ছিলেন নিকোলো মানুচি।
-
তিনি ভারতের নানা অঞ্চল পরিভ্রমণ করে স্থানীয় সংস্কৃতি, মানুষ ও শাসনব্যবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত লিখেছেন।
-
ধারণা করা হয়, তিনি ১৬৬২–৬৩ খ্রিষ্টাব্দে বাংলায় ভ্রমণ করেন।
-
তিনি রাজমহল হয়ে নদীপথে (গঙ্গা) বাংলায় প্রবেশ করেছিলেন।
-
তাঁর বর্ণনা অনুযায়ী, রাজমহল থেকে ঢাকা পৌঁছাতে তাঁর ১৫ দিন সময় লেগেছিল।
-
যাত্রাপথে তিনি মীরজুমলার পাঠানো বিশাল নৌকা দেখতে পান, যা সম্ভবত আসাম বিজয়ের অধিকৃত দ্রব্য ও অস্ত্রশস্ত্রে পূর্ণ ছিল।
-
এই ঘটনাস্থলটি সম্ভবত পদ্মা ও ব্রহ্মপুত্রের মিলিত ধারার পরবর্তী অঞ্চল ছিল বলে অনুমান করা হয়।
-
তিনি ঢাকায় কতদিন অবস্থান করেছিলেন, তা উল্লেখ করেননি।

0
Updated: 22 hours ago
'একাডেমিক এসোসিয়েশন' এর প্রতিষ্ঠাতা হলেন-
Created: 4 hours ago
A
রাজা রামমোহন রায়
B
শিবনাথ শাস্ত্রী
C
সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জী
D
ডিরোজিও
ডিরোজিও ছিলেন এক অসাধারণ চিন্তাবিদ ও শিক্ষক, যিনি শিক্ষার্থীদের মধ্যে যুক্তিবাদ, স্বাধীন চিন্তা ও জ্ঞানের প্রতি আকর্ষণ জাগিয়ে তুলেছিলেন। তাঁর শিক্ষাদান ও মননচর্চার ধরন ছিল প্রচলিত ধারা থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন।
-
হেনরী লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও ১৮০৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৮৩১ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
-
তিনি ছিলেন একজন ইউরেশীয় কবি, যুক্তিবাদী চিন্তাবিদ ও শিক্ষক।
-
১৮২৬ সালে, মাত্র সতেরো বছর বয়সে, তিনি কলকাতা হিন্দু কলেজে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন।
-
তিনি ইংরেজি সাহিত্য ও ইতিহাস পড়াতেন এবং তাঁর শিক্ষাদান পদ্ধতি ছিল গতানুগতিকতামুক্ত।
-
শ্রেণীকক্ষের বাইরে তিনি ছাত্রদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করতেন, প্রায়ই নিজের বাসভবনেই সেই আলোচনা হতো।
-
আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল সাহিত্য, ইতিহাস, দর্শন ও বিজ্ঞানসহ নানা জ্ঞানমূলক ক্ষেত্র।
-
তাঁর অনুপ্রেরণায় ছাত্ররা ১৮২৮ সালে ‘অ্যাকাডেমিক অ্যাসোসিয়েশন’ নামে একটি সাহিত্য ও বিতর্ক সংঘ গঠন করে।
-
এই সংঘের সভাগুলো মানিকটোলার এক বাগানবাড়িতে পাক্ষিকভাবে অনুষ্ঠিত হতো, যেখানে ছাত্র ও উদার ইউরোপীয় ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করতেন।
-
এর সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় আরও অনুরূপ সংঘ গঠিত হয়।
-
ডিরোজিও ছিলেন অ্যাকাডেমিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, পাশাপাশি অন্যান্য সংঘের সঙ্গেও যুক্ত থেকে তাদের কার্যক্রমে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতেন।
তাঁর প্রভাবেই এক নতুন শিক্ষিত তরুণ প্রজন্ম গড়ে ওঠে, যারা পরবর্তীকালে বাংলার নবজাগরণের অগ্রদূত হিসেবে পরিচিত হয়।

0
Updated: 4 hours ago
আরবদের সঙ্গে ভারতের ঘনিষ্ঠ সাংস্কৃতিক যোগাযোগ ঘটে-
Created: 14 hours ago
A
মহানবীর সময়ে
B
খোলাফায়ে রাশেদীনের যুগে
C
উমাইয়া যুগে
D
আঝাসীয় যুগে
উমাইয়া যুগে আরব ও ভারতের মধ্যে এক গভীর সাংস্কৃতিক যোগাযোগের সূত্রপাত ঘটে, যা পরবর্তী সময়ে দুই দেশের সংস্কৃতিতে স্থায়ী প্রভাব ফেলে।
উমাইয়া খলিফার নেতৃত্বে আরবরা ভারত আক্রমণ করে, যার ফলে রাজনৈতিক সম্পর্কের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানও শুরু হয়।
-
মুহাম্মদ বিন কাসিমের সিন্ধু বিজয় ছিল এই সাংস্কৃতিক সংযোগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা; এর ফলেই মুসলমান সংস্কৃতি ভারতীয় ঐতিহ্যের দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হয়।
-
আরবরা ভারতে এসে এখানকার উন্নত সভ্যতা ও সংস্কৃতি দেখে বিস্মিত হয়েছিল এবং ভারতীয় সঙ্গীতজ্ঞ, চিত্রশিল্পী, দার্শনিক, পণ্ডিত ও কারিগরদের প্রশংসা করেছিল।
-
ঐতিহাসিক তাবারির বিবরণে জানা যায়, অসুস্থ হলে খলিফা হারুন-উর-রশিদ ভারতীয় এক চিকিৎসকের চিকিৎসায় আরোগ্য লাভ করেন।
-
ভারতীয় চিকিৎসাশাস্ত্রের বহু গ্রন্থ আরবি ভাষায় অনূদিত হয়, যার মধ্যে শুশ্রুত ও চরকের গ্রন্থ বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
-
পশু-চিকিৎসা ও সর্পদংশন চিকিৎসা বিষয়ক কয়েকটি গ্রন্থও আরবিতে অনুবাদ করা হয়।
সব মিলিয়ে বোঝা যায়, আরবরা ভারতীয় চিকিৎসা ও সংস্কৃতির কাছে গভীরভাবে ঋণী, এবং উমাইয়া যুগে এই সাংস্কৃতিক বিনিময়ই ছিল দুই সভ্যতার মিলনের সূচনা।

0
Updated: 14 hours ago
সিন্দু বিজয়ের পর আরবদের ব্যবহৃত প্রধান বন্দর ছিল-
Created: 14 hours ago
A
সুরাট
B
দেবল
C
হুগলী
D
গোয়া
দেবল ছিল সেই প্রথম শহর যেটি মুহাম্মদ বিন কাসিম তার আক্রমণের সূচনায় দখল করেন। এটি ছিল সিন্ধু অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দরনগরী, যা ইসলামী শাসনের প্রাথমিক প্রবেশদ্বার হিসেবে বিবেচিত হয়।
-
নবম শতাব্দীর মুসলিম ইতিহাসবিদ আল-বালাধুরি উল্লেখ করেন যে দেবলে সংঘটিত যুদ্ধ তিন দিন স্থায়ী হয়েছিল, এবং সেই সময় অনেক মানুষ নিহত হয়েছিলেন।
-
যুদ্ধ শেষে হিন্দু নেতারা একটি মন্দির পুনর্নির্মাণ করেন এবং শহরে চার হাজার লোককে বসবাসের অনুমতি দেওয়া হয়।
-
মুহাম্মদ বিন কাসিম শহরের এক চতুর্থাংশ অংশ মুসলিম সেনাদের জন্য নির্ধারণ করেন।
-
দেবল বন্দর পরবর্তীতে আরবদের প্রধান বাণিজ্যিক ও সামরিক বন্দর হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
এই ঘটনাকে ভারতবর্ষে ইসলামী শাসনের সূচনালগ্নের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে গণ্য করা হয়।

0
Updated: 14 hours ago