ফরায়েজী মতবাদকে 'খারিজী' ঘোষণা করেন
A
মৌলানা শরাফত আলী জৌনপুরি
B
মৌলানা নিয়ামত আলী জৌনপুরি
C
মৌলানা কেরামত আলী জৌনপুরি
D
মৌলানা শওকত আলী জৌনপুরি
উত্তরের বিবরণ
কেরামত আলী জৌনপুরী ছিলেন উনিশ শতকের এক প্রখ্যাত ধর্মপ্রচারক, যিনি ইসলামী সংস্কার আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে কাজ করেছেন। তাঁর চিন্তা ও কার্যক্রম মূলত ধর্মীয় সংস্কার ও সমাজে নৈতিক শুদ্ধতা ফিরিয়ে আনার উদ্দেশ্যে পরিচালিত হলেও, ফরায়েজী মতবাদের সঙ্গে কিছু নীতিগত পার্থক্য ছিল।
-
কেরামত আলী জৌনপুরী ফরায়েজী মতবাদকে ‘খারিজী’ ঘোষণা করেন।
-
তিনি কলকাতায় ধর্মপ্রচারের প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন করে যশোর ও খুলনা হয়ে বরিশাল পৌঁছেন।
-
এ সময় হাজী শরীয়তউল্লাহ, আব্দুল জববার ও অন্যান্য ফরায়েজী নেতা সংস্কার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
-
যদিও হাজী শরীয়তউল্লাহ, দুদু মিয়া ও আব্দুল জববারের সংস্কার আন্দোলন এবং কেরামত আলীর আন্দোলন—উভয়ের নীতি ও আদর্শে খুব সামান্য পার্থক্য ছিল, তবুও ব্রিটিশ শাসনের ব্যাপারে তাদের অবস্থান ছিল সম্পূর্ণ বিপরীত।
-
হাজী শরীয়তউল্লাহ মনে করতেন, ব্রিটিশ শাসিত ভারত দার-উল-হারব (শত্রু নিয়ন্ত্রিত দেশ)।
-
অন্যদিকে কেরামত আলী জৌনপুরী যুক্তি দেন যে, যেহেতু ব্রিটিশরা ধর্মীয় বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না, তাই ভারতবর্ষ দার-উল-হারব নয়।
-
তাঁর মতে, ভারতবর্ষ দারুল ইসলাম না হলেও অন্তত দারুল আমান, অর্থাৎ নিরাপদ আবাসস্থল হিসেবে বিবেচ্য।

0
Updated: 22 hours ago
শ্রী চৈতন্যদেবের আবির্ভাব হয়েছিল বাংলার কোন শাসকের আমলে?
Created: 22 hours ago
A
শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ্
B
গিয়াস উদ্দিন আযম শাহ্
C
আলাউদ্দিন হুসেন শাহ্
D
নসরৎ শাহ্
আলাউদ্দিন হোসেন শাহের শাসনামলে বৈষ্ণব কাব্যে তাঁর উদার মানসিকতার প্রতিফলন স্পষ্টভাবে দেখা যায়। তিনি ধর্মীয় সহনশীলতার এক উজ্জ্বল উদাহরণ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
-
বৈষ্ণব কাব্যসমূহে আলাউদ্দিন হোসেন শাহের উদার দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ পেয়েছে।
-
বলা হয়েছে যে, তিনি শ্রী চৈতন্যের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাশীল ছিলেন এবং তাঁকে ঈশ্বরের অবতার হিসেবে গণ্য করতেন।
-
শ্রী চৈতন্যের ধর্ম প্রচার কার্যক্রমে হোসেন শাহ সার্বিক সহযোগিতা ও সুবিধা প্রদান করেছিলেন।

0
Updated: 22 hours ago
'উষ্ণজল' নীতি কার ছিল?
Created: 15 hours ago
A
মহান ফ্রেডারিক
B
দ্বিতীয় ক্যাথারিন
C
মহান পিটার
D
জার নিকলাস
উষ্ণজল নীতি ছিল রাশিয়ার পররাষ্ট্রনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যার মূল লক্ষ্য ছিল সারা বছর নৌচলাচল ও বাণিজ্য চালু রাখার জন্য বরফমুক্ত সমুদ্রবন্দর দখল করা।
-
রাশিয়ার উত্তরাঞ্চলের সব বন্দর শীতকালে বরফে জমে যেত, ফলে বাণিজ্য ও নৌচলাচল ব্যাহত হতো।
-
এ সমস্যার সমাধানে রাশিয়া দক্ষিণমুখী সম্প্রসারণের নীতি গ্রহণ করে, যা পরিচিত হয় ‘উষ্ণজল নীতি’ নামে।
-
এই নীতির মূল উদ্দেশ্য ছিল Black Sea, Mediterranean Sea, ও ভারত মহাসাগর অভিমুখে প্রভাব বিস্তার করা।
-
উষ্ণজল নীতির ফলে রাশিয়ার সঙ্গে অন্যান্য ইউরোপীয় শক্তির সংঘাত ঘটে, যার অন্যতম উদাহরণ ক্রিমিয়া যুদ্ধ (1853–1856)।
-
এই নীতির সূচনা ও বাস্তবায়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন মহান পিটার (Peter the Great)।

0
Updated: 15 hours ago
দ্বিতীয় যোসেফের উল্লেখযোগ্য সংস্কার হলো-
Created: 4 hours ago
A
মৃত্যুদন্ড নিষিদ্ধকরন
B
রাজস্ব বৃদ্ধি
C
ভূমিদাস প্রথার অবসান
D
প্রশাসনিক ক্ষমতা বৃদ্ধি
দ্বিতীয় যোসেফ ছিলেন অস্ট্রিয়ার প্রজাহিতৈষী স্বৈরশাসকদের মধ্যে অন্যতম, যিনি প্রজাদের কল্যাণে নানা গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কার্য সম্পন্ন করেন।
তিনি তাঁর মা মারিয়া থেরেসার মৃত্যুর পর ১৭৮০ সালে অস্ট্রিয়ার পূর্ণ শাসনভার গ্রহণ করেন এবং সমাজের প্রায় সবক্ষেত্রে পরিবর্তনের উদ্যোগ নেন।
ভূমিদাস প্রথার অবসান ছিল তাঁর সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার।
-
মৃত্যুদণ্ডের বিলুপ্তি ঘটান।
-
ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রদান করে সব ধর্মের মানুষকে সমান অধিকার ভোগের সুযোগ দেন।
-
আইনের চোখে সকল নাগরিকের সমতা ঘোষণা করেন।
-
প্রশাসনিক, আর্থ-সামাজিক ও ধর্মীয় ক্ষেত্রে ব্যাপক সংস্কার আনেন।
তাঁর সকল উদ্যোগের মূল লক্ষ্য ছিল প্রজাদের মঙ্গলসাধন। তিনি আন্তরিকভাবে এ লক্ষ্যে কাজ করলেও তাঁর গৃহীত সংস্কারসমূহ দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। অবশেষে তিনি ১৭৯০ সালে মৃত্যুবরণ করেন।

0
Updated: 4 hours ago