শ্রী চৈতন্যদেবের আবির্ভাব হয়েছিল বাংলার কোন শাসকের আমলে?
A
শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ্
B
গিয়াস উদ্দিন আযম শাহ্
C
আলাউদ্দিন হুসেন শাহ্
D
নসরৎ শাহ্
উত্তরের বিবরণ
আলাউদ্দিন হোসেন শাহের শাসনামলে বৈষ্ণব কাব্যে তাঁর উদার মানসিকতার প্রতিফলন স্পষ্টভাবে দেখা যায়। তিনি ধর্মীয় সহনশীলতার এক উজ্জ্বল উদাহরণ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
-
বৈষ্ণব কাব্যসমূহে আলাউদ্দিন হোসেন শাহের উদার দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ পেয়েছে।
-
বলা হয়েছে যে, তিনি শ্রী চৈতন্যের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাশীল ছিলেন এবং তাঁকে ঈশ্বরের অবতার হিসেবে গণ্য করতেন।
-
শ্রী চৈতন্যের ধর্ম প্রচার কার্যক্রমে হোসেন শাহ সার্বিক সহযোগিতা ও সুবিধা প্রদান করেছিলেন।

0
Updated: 22 hours ago
ফরায়েজী মতবাদকে 'খারিজী' ঘোষণা করেন
Created: 22 hours ago
A
মৌলানা শরাফত আলী জৌনপুরি
B
মৌলানা নিয়ামত আলী জৌনপুরি
C
মৌলানা কেরামত আলী জৌনপুরি
D
মৌলানা শওকত আলী জৌনপুরি
কেরামত আলী জৌনপুরী ছিলেন উনিশ শতকের এক প্রখ্যাত ধর্মপ্রচারক, যিনি ইসলামী সংস্কার আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে কাজ করেছেন। তাঁর চিন্তা ও কার্যক্রম মূলত ধর্মীয় সংস্কার ও সমাজে নৈতিক শুদ্ধতা ফিরিয়ে আনার উদ্দেশ্যে পরিচালিত হলেও, ফরায়েজী মতবাদের সঙ্গে কিছু নীতিগত পার্থক্য ছিল।
-
কেরামত আলী জৌনপুরী ফরায়েজী মতবাদকে ‘খারিজী’ ঘোষণা করেন।
-
তিনি কলকাতায় ধর্মপ্রচারের প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন করে যশোর ও খুলনা হয়ে বরিশাল পৌঁছেন।
-
এ সময় হাজী শরীয়তউল্লাহ, আব্দুল জববার ও অন্যান্য ফরায়েজী নেতা সংস্কার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
-
যদিও হাজী শরীয়তউল্লাহ, দুদু মিয়া ও আব্দুল জববারের সংস্কার আন্দোলন এবং কেরামত আলীর আন্দোলন—উভয়ের নীতি ও আদর্শে খুব সামান্য পার্থক্য ছিল, তবুও ব্রিটিশ শাসনের ব্যাপারে তাদের অবস্থান ছিল সম্পূর্ণ বিপরীত।
-
হাজী শরীয়তউল্লাহ মনে করতেন, ব্রিটিশ শাসিত ভারত দার-উল-হারব (শত্রু নিয়ন্ত্রিত দেশ)।
-
অন্যদিকে কেরামত আলী জৌনপুরী যুক্তি দেন যে, যেহেতু ব্রিটিশরা ধর্মীয় বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না, তাই ভারতবর্ষ দার-উল-হারব নয়।
-
তাঁর মতে, ভারতবর্ষ দারুল ইসলাম না হলেও অন্তত দারুল আমান, অর্থাৎ নিরাপদ আবাসস্থল হিসেবে বিবেচ্য।

0
Updated: 22 hours ago
সামরিক বিভাগে দুর্নীতি দূর করার জন্য 'হলিয়া' ও 'দাগ' নামে দুটি ব্যবস্থার প্রচলন করেন কোন্ সুলতান?
Created: 14 hours ago
A
পিয়াস উদ্দীন বলবন
B
জালাল উদ্দীন ফিরোজ খলজী
C
আলাউদ্দিন খলজী
D
মুহম্মদ বিন তুঘলক
আলাউদ্দিন খলজী সৈন্যবাহিনীতে শৃঙ্খলা ও সততা বজায় রাখতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করেন। তাঁর সময় সৈন্যদের অনুপস্থিতি ও নিম্নমানের ঘোড়া ব্যবহারের মাধ্যমে দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়েছিল, যা তিনি কঠোরভাবে দমন করেন।
এই সংস্কারের মূল দিকগুলো ছিল—
-
হুলিয়া প্রথা: প্রতিটি সৈন্যের দৈহিক বৈশিষ্ট্য ও পরিচয় সরকারিভাবে নথিভুক্ত করা হয়, যাতে অন্য কেউ তার স্থলাভিষিক্ত হতে না পারে।
-
দাগ প্রথা: সৈন্যদের ব্যবহৃত ঘোড়ার শরীরে লোহা পুড়িয়ে বিশেষ চিহ্ন (দাগ) দেওয়া হতো, যাতে যুদ্ধের সময় নিম্নমানের বা ভিন্ন ঘোড়া বদলে ব্যবহার করা না যায়।
-
এই ব্যবস্থা দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সৈন্যবাহিনীর দক্ষতা ও বিশ্বস্ততা নিশ্চিত করে।

0
Updated: 14 hours ago
হুগলীতে পর্তুগীজদের দমন করেন কে?
Created: 4 hours ago
A
সুবাদার মীর জুমলা
B
সুবাদার কাসিম খান জুয়াইনী
C
সুবাদার শায়েন্তা খাঁন
D
সুবাদার মুর্শিদ কুলী খান
কাসিম খান জুইনি ছিলেন সম্রাট শাহজাহান কর্তৃক বাংলার সুবাহদার হিসেবে নিযুক্ত একজন বিশিষ্ট প্রশাসক। তিনি শাহজাহানের শাসনামলে বাংলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং তাঁর প্রশাসনিক দক্ষতা বিশেষভাবে স্মরণীয়।
কাসিম খান জুইনি (১৬২৮–১৬৩২) সম্রাট শাহজাহান কর্তৃক বাংলার সুবাহদার নিযুক্ত হন।
-
শাহজাহান সিংহাসনে আরোহণের পর ফিদাই খানকে বরখাস্ত করে তাঁকে এই পদে নিয়োগ দেন।
-
তিনি ছিলেন মীর মুরাদের পুত্র।
-
সম্রাট আকবর, শাহজাদা খুররমকে (পরবর্তী শাহজাহান) ধনুর্বিদ্যায় প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য মীর মুরাদকে নিয়োগ করেছিলেন এবং পরে তাঁকে লাহোরের বখশী নিযুক্ত করেন।
-
ইসলাম খান চিশতির সুবাহদারি আমলে, কাসিম খান বাংলায় খাজাঞ্চি পদে কর্মরত ছিলেন।
-
তাঁর সুবাহদারি আমলের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা ছিল পর্তুগিজদের নিকট থেকে হুগলি দখল।

0
Updated: 4 hours ago