আল বিরুনীর সবচেয়ে বড় গবেষণার ক্ষেত্র কী ছিল?
A
গনিত
B
রসায়ন
C
ভূগোল ও জ্যোতির্বিদ্যা
D
চিকিৎসা বিদ্যা
উত্তরের বিবরণ
আল-বিরুনি ছিলেন মধ্যযুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী, যিনি মূলত ভূগোল ও জ্যোতির্বিদ্যা নিয়ে গভীর গবেষণা করেছেন। তিনি পৃথিবীর আকৃতি, পরিধি ও ব্যাসার্ধ নির্ণয়ে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেন এবং তাঁর গণনাগুলো আধুনিক বিজ্ঞানের কাছেও বিস্ময়করভাবে নির্ভুল বলে স্বীকৃত।
-
তিনি পৃথিবীকে গোলাকার ও নিজ অক্ষে ঘূর্ণনশীল বলে যৌক্তিকভাবে প্রমাণ করেছিলেন।
-
তাঁর গবেষণায় পৃথিবীর পরিধি ও ব্যাসার্ধের নির্ধারণ ছিল অত্যন্ত নিখুঁত।
-
নক্ষত্র, সূর্য ও চন্দ্রের গতি ও অবস্থান নিরূপণ, সময় পরিমাপ ও জ্যোতির্বিদ্যাগত পর্যবেক্ষণে তিনি বিশেষ পারদর্শিতা দেখান।
-
তিনি “আল-কানুন আল-মাসউদি” নামক গ্রন্থে ভূগোল, জ্যোতির্বিদ্যা ও গণিতের বহু তথ্য সংকলন করেন।
-
ভারত ভ্রমণের সময় তিনি “তাহকিক মা লি-ল-হিন্দ” গ্রন্থে ভারতীয় সংস্কৃতি, ভূগোল ও জ্যোতির্বিদ্যার বর্ণনা দেন।
-
তাঁর গবেষণার ফলাফল ইউরোপীয় বিজ্ঞান বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

0
Updated: 22 hours ago
মদিনায় গিয়ে রাসুল (সাঃ) সর্বপ্রথম কার মেহমান হন?
Created: 21 hours ago
A
আবু আইয়ুব আনসারী (রাঃ)
B
আব্দুর রাহমান বিন আউফ (রাঃ)
C
আবু জার গিফারী (রাঃ)
D
মুসআব ইবনু উমাইর
মদিনায় হিজরতের পর নবী করিম (সা.) যখন সেখানে পৌঁছান, তখন তিনি সর্বপ্রথম হযরত আবু আইয়ুব আনসারী (রা.)-এর ঘরে মেহমান হন। তিনি ছিলেন নবীর প্রতি অতুলনীয় ভালোবাসা ও আতিথেয়তার উদাহরণ।
-
তাঁর আসল নাম ছিল খালেদ ইবনে জায়েদ ইবনে কুলাইব।
-
নবী (সা.)-এর আগমনে মদিনার লোকেরা নিজেদের ঘরে তাঁকে আতিথ্য দেওয়ার অনুরোধ করলেও, উটের থামার স্থানে নবী (সা.) থাকার সিদ্ধান্ত নেন, আর সেটিই ছিল আবু আইয়ুব (রা.)-এর বাড়ি।
-
নবী (সা.) কিছু দিন তাঁর ঘরের নিচতলায় অবস্থান করেন এবং ইসলামী সমাজ গঠনের ভিত্তি স্থাপন শুরু করেন।
-
হযরত আবু আইয়ুব আনসারী (রা.) পরবর্তীতে জিহাদে অংশগ্রহণ ও ইসলামের প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
-
তাঁর মাজার বর্তমানে ইস্তানবুলে (তুরস্ক) অবস্থিত এবং এটি মুসলমানদের জন্য এক ঐতিহাসিক স্মৃতিচিহ্ন।

0
Updated: 21 hours ago
ইসরা বা মিরাজ কত খ্রিঃ অনুষ্ঠিত হয়েছিল?
Created: 1 day ago
A
৬২১ খ্রিঃ
B
৬২২ খ্রিঃ
C
৬২৪ খ্রিঃ
D
৬২৩ খ্রিঃ
ইসরা ও মিরাজ ইসলামের ইতিহাসে এক অলৌকিক ঘটনা, যেখানে নবী করিম (সা.)-কে এক রাতের মধ্যে মক্কা থেকে বায়তুল মুকাদ্দাস এবং সেখান থেকে সপ্তাকাশে ভ্রমণের সুযোগ দেওয়া হয়। এটি ছিল তাঁর জন্য এক বিশেষ সম্মান ও মানবজাতির জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা।
-
অধিকাংশ ইসলামিক ঐতিহাসিকের মতে, এই ঘটনা সংঘটিত হয় নবুয়তের ১১তম বছরে, অর্থাৎ ৬২১ খ্রিস্টাব্দে।
-
যদিও এর সুনির্দিষ্ট তারিখ নিয়ে মতভেদ রয়েছে—কেউ বলেন রজব মাসের ২৭ তারিখে, আবার কেউ বলেন অন্য কোনো সময়ে এটি সংঘটিত হয়েছিল।
-
‘ইসরা’ বলতে বোঝায় মক্কা থেকে বায়তুল মুকাদ্দাস পর্যন্ত রাত্রিকালীন সফর, আর ‘মিরাজ’ বলতে বোঝায় সেখান থেকে আকাশলোকে আরোহণ।
-
এই সফরে নবী করিম (সা.) আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং মুসলমানদের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হওয়ার নির্দেশ লাভ করেন।
-
ইসরা ও মিরাজ মুসলমানদের জন্য ঈমান, ধৈর্য ও আল্লাহর অসীম ক্ষমতার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
-
এই ঘটনার মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে, আল্লাহ তাঁর প্রিয় বান্দাকে অসাধারণভাবে সম্মানিত করেন এবং ঈমানদারদের জন্য চূড়ান্ত পুরস্কার আখিরাতে রয়েছে।

0
Updated: 1 day ago
ইসলামী খেলাফত রাষ্ট্রের মূল দায়িত্ব কী?
Created: 1 day ago
A
ইসলাম প্রচার
B
অমুসলিমদের সুরক্ষা
C
অপরাধ রোধ
D
ইসলাম প্রচার ও সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা
ইসলামী খেলাফত রাষ্ট্র এমন একটি শাসনব্যবস্থা যা আল্লাহর নির্দেশনা ও নববী আদর্শ অনুসারে সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনা করে। এর মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মাঝে ন্যায়, সমতা ও আল্লাহর দীন প্রতিষ্ঠা করা।
১. খেলাফত রাষ্ট্রের অন্যতম দায়িত্ব ইসলাম প্রচার ও দাওয়াতের প্রসার ঘটানো, যাতে মানবজাতি সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত হয়।
২. এটি সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করে, যেখানে প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার সংরক্ষিত থাকে।
৩. রাষ্ট্রের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা পরস্পর সম্পর্কিত, কারণ উভয় ক্ষেত্রেই আল্লাহর বিধান কার্যকর করা হয়।
৪. কুরআন ও সুন্নাহকে প্রশাসনিক ও বিচারব্যবস্থার ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করা হয়।
৫. খেলাফত রাষ্ট্র দারিদ্র্য দূরীকরণ, ন্যায়বিচার ও জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে সমাজে ভারসাম্য আনে।
৬. এটি নৈতিকতা ও চরিত্র গঠনের মাধ্যমে আত্মিক শুদ্ধতা ও সামাজিক ঐক্য প্রতিষ্ঠা করে।
৭. রাষ্ট্রের লক্ষ্য হলো আল্লাহর মনোনীত দীন (ইসলাম) সংরক্ষণ, রক্ষা ও বিশ্বব্যাপী প্রচার করা।
৮. খেলাফত ব্যবস্থার মাধ্যমে সমাজে সত্য, ন্যায়, সাম্য ও শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়, যা ইসলামী সভ্যতার মূল ভিত্তি।

0
Updated: 1 day ago