বায়তুল মাল কী?
A
ক্রয়কৃত সম্পদ
B
বাবসায়ীক সম্পদ
C
মজুদকৃত সম্পদ
D
ইসলামী রাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় তহবিল
উত্তরের বিবরণ
বায়তুল মাল শব্দটি ইসলামী অর্থব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা, যা মুসলিম সমাজের আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও জনকল্যাণমূলক কাজের কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত। এটি শুধু অর্থ সংরক্ষণের স্থান নয়, বরং রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ভারসাম্য রক্ষার অন্যতম মাধ্যম।
১. বায়তুল মাল (بيت المال) শব্দের অর্থ “অর্থের ঘর” বা “ধনের ঘর”।
২. এটি মূলত একটি ইসলামী রাষ্ট্রীয় কোষাগার, যেখানে যাকাত, খরাজ, জিজিয়া, ফয় ইত্যাদি রাষ্ট্রীয় রাজস্ব সংরক্ষিত হয়।
৩. সংগৃহীত অর্থ জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করা হয়, যেমন—দরিদ্রদের সহায়তা, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং যুদ্ধকালীন ব্যয়।
৪. প্রাথমিক ইসলামিক খিলাফতে এটি রাষ্ট্রীয় আর্থিক ব্যবস্থার কেন্দ্র হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।
৫. খলিফা ও সুলতানরা এর মাধ্যমে রাষ্ট্রের আয়-ব্যয় তত্ত্বাবধান করতেন এবং ন্যায়বিচারভিত্তিক অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা করতেন।
৬. বায়তুল মাল ইসলামী সমাজে অর্থনৈতিক সাম্য ও সামাজিক নিরাপত্তা বজায় রাখার অন্যতম কার্যকর ব্যবস্থা হিসেবে বিবেচিত।

0
Updated: 22 hours ago
মহান আল্লাহ ছাড়া যে ব্যক্তি অন্য কারো নামে শপথ করে সে?
Created: 22 hours ago
A
ফাসিক
B
কাফির ও মুশরিক
C
মুনাফিক
D
যালিম
এই হাদীসটি ইসলামী বিশ্বাসে শপথের গুরুত্ব ও সীমা সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট বার্তা প্রদান করে। এতে বোঝানো হয়েছে যে, শপথ কেবলমাত্র আল্লাহর নামেই করা বৈধ, অন্য কারো নামে শপথ করা গুরুতর পাপ এবং তাওহীদের পরিপন্থী কাজ।
১. হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) থেকে।
২. রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন— “যে ব্যক্তি আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে শপথ করে, সে কুফরি করল বা শিরক করল।”
৩. এখানে “কুফরি করল” বলতে বোঝানো হয়েছে— সে এমন কাজ করেছে যা ঈমানের পরিপন্থী।
৪. আর “শিরক করল” মানে— আল্লাহর সাথে অন্য কাউকে অংশীদার করা, যা ইসলামে সবচেয়ে বড় গুনাহ।
৫. এই হাদীসের দ্বারা শিক্ষা নেওয়া যায় যে, শপথ শুধুমাত্র আল্লাহর নামেই করা উচিত; কোনো নবী, ওলি, কাবা বা অন্য কিছুর নামে শপথ করা হারাম।
৬. এটি তাওহীদের সংরক্ষণ এবং আল্লাহর মহত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করার একটি নির্দেশনা, যা মুমিনের ঈমানকে দৃঢ় রাখে।

0
Updated: 22 hours ago
‘দেবতাভীতি হতে মুক্ত হতে না পারলে মানবজাতি কখনো স্বাধীন হতে পারে না' এটা কার উক্তি?
Created: 22 hours ago
A
এরিস্টটল
B
জর্জ বার্নার্ড শ
C
ইপিকিউরাস
D
ইবনে সিনা
ইপিকিউরাস ছিলেন প্রাচীন গ্রিক চিন্তাধারার একজন বিশিষ্ট দার্শনিক, যিনি মানবজীবনের প্রকৃত সুখকে ভয় ও কুসংস্কারমুক্ত মানসিক শান্তিতে খুঁজে পেয়েছিলেন। তাঁর চিন্তায় মুক্তি মানে ছিল আত্মিক প্রশান্তি ও বুদ্ধিবৃত্তিক স্বচ্ছতা অর্জন করা।
১. উক্তি — “দেবতাভীতি হতে মুক্ত হতে না পারলে মানবজাতি কখনো স্বাধীন হতে পারে না।” — এর মাধ্যমে তিনি মানুষকে অযৌক্তিক ভয় ও ধর্মীয় কুসংস্কার থেকে মুক্তির আহ্বান জানান।
২. ইপিকিউরাস (খ্রিষ্টপূর্ব ৩৪১–২৭০) ছিলেন একজন প্রাচীন গ্রিক দার্শনিক।
৩. তিনি “Epicureanism” নামের দর্শনধারার প্রবর্তক, যার মূল ভিত্তি হলো আনন্দ ও মানসিক প্রশান্তি (Ataraxia)।
৪. তাঁর মতে, প্রকৃত সুখ আসে দেবতা, মৃত্যু ও অজানার ভয় থেকে মুক্তি লাভের মাধ্যমে।
৫. তিনি বিশ্বাস করতেন যে, মানুষ যদি যুক্তি ও জ্ঞানের দ্বারা জীবন পরিচালনা করে, তবে ভয়, কুসংস্কার ও দুঃখ থেকে মুক্তি সম্ভব।
৬. ইপিকিউরাসের দর্শন পরবর্তীতে পাশ্চাত্য চিন্তাধারায় নৈতিকতা, আত্মসংযম ও সুখবাদ (Hedonism) সম্পর্কে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে।

0
Updated: 22 hours ago
যে হাদিসের বর্ণনা সূত্র সাহাবি পর্যন্ত পৌঁছেছে তাকে কোন্ হাদীস বলে?
Created: 1 day ago
A
মারফু
B
গরীব
C
মাওকুফ
D
মাকতু
হাদিসের বর্ণনাশ্রেণি অনুযায়ী বিভিন্ন প্রকার নামকরণ করা হয়েছে, যা বর্ণনাকারীর স্তর অনুসারে নির্ধারিত হয়।
-
মাওকুফ হাদিস হলো সেই হাদিস, যার বর্ণনা সূত্র সাহাবি পর্যন্ত সীমাবদ্ধ, অর্থাৎ রাসুল (সা.)-এর কথা নয়, বরং সাহাবির উক্তি, কর্ম বা অনুমোদন এতে উল্লেখ থাকে।
-
মারফু হাদিস সেই হাদিস, যার বর্ণনা সূত্র সরাসরি রাসুলুল্লাহ (সা.) পর্যন্ত পৌঁছেছে; অর্থাৎ নবী (সা.)-এর বাণী, কর্ম বা অনুমোদন এতে অন্তর্ভুক্ত।
-
মাকতু হাদিস হলো সেই হাদিস, যার বর্ণনা সূত্র তাবেয়ি পর্যন্ত সীমিত, অর্থাৎ তাবেয়ির নিজস্ব মত, কর্ম বা ব্যাখ্যা এতে প্রকাশ পায়।
-
এই শ্রেণিবিভাগের উদ্দেশ্য হলো হাদিসের উৎস ও নির্ভরযোগ্যতা নির্ধারণ করা, যাতে ইসলামি জ্ঞানের সঠিক শৃঙ্খল রক্ষা পায়।

0
Updated: 1 day ago