ইহুদী ধর্মের মূল ভাষা কী?
A
আরবি
B
ইংরেজি
C
হিব্রু
D
ল্যাটিন
উত্তরের বিবরণ
হিব্রু ভাষা ইহুদি ধর্মের পবিত্র ও ধর্মীয় ভাষা হিসেবে বিশেষ মর্যাদা লাভ করেছে। ইহুদিদের ধর্মগ্রন্থ তাওরাত হিব্রু ভাষায় অবতীর্ণ হয়েছিল, যা আজও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান, প্রার্থনা ও ধর্মগ্রন্থ পাঠে ব্যবহৃত হয়।
-
হিব্রু ভাষা একসময় কথ্য ভাষা হিসেবে প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল, তবে পরবর্তীতে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণের মাধ্যমে এটি আবার গুরুত্ব ফিরে পায়।
-
বর্তমানে এটি মূলত ধর্মীয় অধ্যয়ন, প্রার্থনা এবং ইহুদি সম্প্রদায়ের পারস্পরিক যোগাযোগে ব্যবহৃত হয়।
-
প্রাচীন যুগে হিব্রু ভাষাই ছিল ইহুদি জাতির ধর্মীয় ও জাগতিক ভাষা।
-
খ্রিষ্টপূর্ব ৭ম শতাব্দী থেকে আরামীয় (Aramaic) ভাষা ফিলিস্তিন ও ইহুদি জাতির মধ্যে সাধারণ ভাষা বা Lingua Franca হিসেবে প্রচলিত হয়।
-
আরামীয় ও হিব্রু উভয়ই সেমিটিক ভাষা, এবং তাদের মধ্যে গঠন, শব্দভাণ্ডার ও ব্যাকরণে ঘনিষ্ঠ মিল রয়েছে।
-
সবশেষে, ইহুদি ধর্মের মূল ও প্রাচীন ভাষা হিব্রু—যা আজও ধর্মীয় ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবে টিকে আছে।

0
Updated: 22 hours ago
হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী ঈমানের অংশ হচ্ছে?
Created: 21 hours ago
A
সৎসাহস
B
অন্যায়ের প্রতিরোধ
C
তাকওয়া
D
হায়া (লজ্জাশীলতা)
আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণিত এই হাদীসে রাসুলুল্লাহ (সঃ) ঈমানের বিভিন্ন দিক ও স্তর সম্পর্কে বিশদভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। এতে বোঝা যায়, ঈমান শুধু মুখের স্বীকারোক্তি নয়, বরং তা আচরণ, নৈতিকতা ও কাজের মাধ্যমে প্রকাশ পায়।
-
হাদীসে বলা হয়েছে, ঈমানের সত্তরটিরও বেশি শাখা রয়েছে, যা ঈমানের বিস্তৃত ও বহুমাত্রিক প্রকৃতি নির্দেশ করে।
-
এর মধ্যে সর্বোত্তম শাখা হলো “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” — অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোনো উপাস্য নেই— এই ঘোষণা।
-
সাধারণ শাখা হলো পথ থেকে কষ্টদায়ক বস্তু অপসারণ করা, যা সমাজে মানবকল্যাণ ও নিরাপত্তার প্রতীক।
-
লজ্জাশীলতা (হায়া) কে এখানে ঈমানের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, যা নৈতিক চরিত্রের পরিচায়ক।
-
এই হাদীস শিক্ষা দেয় যে ঈমান শুধুমাত্র বিশ্বাস নয়, বরং মানুষের নৈতিক আচরণ, সমাজসেবা ও আত্মসংযমের প্রতিফলন।

0
Updated: 21 hours ago
মক্কাবাসী হযরত খাদিজা (রাঃ) কে কি নামে অভিহিত করতো?
Created: 22 hours ago
A
সালেহা
B
আবিদা
C
সাদিকা
D
তাহিরা
হযরত খাদিজা (রাঃ) ছিলেন ইসলামের ইতিহাসে একজন মহীয়সী নারী, যিনি তাঁর চরিত্র, নৈতিকতা ও পবিত্র জীবনের জন্য সর্বজনবিদিত। মক্কার মানুষ তাঁর এই গুণাবলির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা পোষণ করত এবং তাই তাঁকে বিশেষ উপাধিতে ভূষিত করেছিল।
১. মক্কাবাসীরা তাঁকে “তাহিরা” নামে অভিহিত করত, যার অর্থ “পবিত্র” বা “পুণ্যবতী”।
২. তিনি ব্যবসা-বাণিজ্যে অত্যন্ত সততা ও ন্যায়পরায়ণতা বজায় রাখতেন, যা তাঁর সুনাম বৃদ্ধি করে।
৩. তাঁর বিশ্বস্ততা ও ভদ্রতা সমাজে তাঁকে মর্যাদার উচ্চ আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছিল।
৪. নবুওয়াতের পূর্বেই তিনি তাঁর নৈতিকতা ও আদর্শ আচরণ দ্বারা মক্কার অন্যান্য নারীদের থেকে আলাদা হয়ে ওঠেন।
৫. ইসলাম গ্রহণের পর তিনি প্রথমেই নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সমর্থন দেন এবং তাঁর পাশে দৃঢ়ভাবে দাঁড়ান।
৬. তাঁর চরিত্র মুসলিম সমাজে নারীর মর্যাদা, পবিত্রতা ও আদর্শ জীবনের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

0
Updated: 22 hours ago
উম্মুল কোরআন কোন্ সুরার নাম?
Created: 1 day ago
A
সূরা বাকারা
B
সূরা আর-রহমান
C
সূরা ফীল
D
সূরা ফাতিহা
সূরা ফাতিহা কোরআনের সূচনা সূরা, যা ইসলামের মূল শিক্ষার সারাংশ ধারণ করে এবং তাই একে “উম্মুল কোরআন” বা “কোরআনের মা” বলা হয়।
-
এটি কোরআনের প্রথম সূরা, যা প্রত্যেক নামাজে পাঠ করা বাধ্যতামূলক।
-
সূরাটিতে আল্লাহর প্রশংসা, তাওহিদ, রহমত, বিচার দিবস ও পথনির্দেশনা—এই সব মৌলিক বিষয় সংক্ষেপে প্রকাশ পেয়েছে।
-
এটি মানুষের আল্লাহর প্রতি আনুগত্য ও দিকনির্দেশনা প্রার্থনার প্রতীক।
-
সূরা ফাতিহার প্রতিটি আয়াতে আকিদা, ইবাদত ও নৈতিকতার মূল শিক্ষা প্রতিফলিত হয়েছে।
-
এই সূরা কোরআনের সম্পূর্ণ বার্তার সংক্ষিপ্ত রূপ, যা মুসলমানের বিশ্বাস ও জীবনের কেন্দ্রবিন্দু।

0
Updated: 1 day ago