বাইতুল হিকমাহ কোথায় অবস্থিত?
A
মক্কায়
B
ইরানে
C
বাগদাদ
D
তুরস্ক
উত্তরের বিবরণ
বাইতুল হিকমাহ ছিল আব্বাসীয় আমলে বাগদাদে প্রতিষ্ঠিত একটি বিখ্যাত গ্রন্থাগার ও অনুবাদকেন্দ্র, যা ইসলামি স্বর্ণযুগে জ্ঞানচর্চার অন্যতম কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। ইংরেজিতে একে “House of Wisdom” বলা হয়। এটি ছিল এমন একটি স্থান যেখানে বিভিন্ন ভাষার গ্রন্থ আরবিতে অনুবাদ করা হতো এবং বিজ্ঞান, গণিত ও জ্যোতির্বিদ্যার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।
-
এটি আব্বাসীয় খলিফা হারুনুর রশিদ ও তাঁর পুত্র আল-মামুনের আমলে সর্বাধিক সমৃদ্ধি লাভ করে।
-
এখানে গ্রিক, ফারসি, ভারতীয় ও সিরীয় উৎসের বহু গ্রন্থ অনূদিত হয়েছিল।
-
এই প্রতিষ্ঠানে আল-খোয়ারিজমি, হুনাইন ইবনে ইসহাক প্রমুখ পণ্ডিতরা কাজ করতেন।
-
এটি মধ্যযুগে ইউরোপে জ্ঞান ও বিজ্ঞানের পুনর্জাগরণে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছিল।
-
মঙ্গোলদের বাগদাদ আক্রমণের সময় (১২৫৮ খ্রিষ্টাব্দে) এই কেন্দ্র ধ্বংস হয়ে যায়।

0
Updated: 22 hours ago
তাবুক কোথায় অবস্থিত?
Created: 21 hours ago
A
বসরার সীমান্তে
B
ইরাকে
C
সিরিয়ার সীমান্তে
D
হিজাজের সীমান্তে
তাবুক ছিল মদিনা ও দামেস্কের (সিরিয়া) মধ্যবর্তী একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান, যেখানে ইসলামী ইতিহাসের এক তাৎপর্যপূর্ণ যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এই যুদ্ধ ইসলামের বিরুদ্ধে আরবের কাফের, মুনাফিক ও রোমান সাম্রাজ্যের সম্মিলিত প্রচেষ্টার চূড়ান্ত পর্যায় হিসেবে পরিচিত।
-
যুদ্ধটি সংঘটিত হয় ৬৩০ খ্রিষ্টাব্দে (নবম হিজরিতে)।
-
রাসুলুল্লাহ (সা.) মদিনা থেকে প্রায় ৬৯০ কিলোমিটার দূরে তাবুক প্রান্তরে সেনাবাহিনীসহ যাত্রা করেন।
-
এটি ইতিহাসে “গাযওয়াতুল উসরা” নামেও পরিচিত, যার অর্থ “কষ্টের যুদ্ধ”।
-
যুদ্ধটি সংঘটিত হয়েছিল অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতিতে, যখন প্রচণ্ড গরম, খাদ্যাভাব ও পানির সংকট ছিল।
-
মুসলমানদের এই অভিযাত্রা ছিল মূলত রোমান বাহিনীর সম্ভাব্য আক্রমণ প্রতিরোধের জন্য প্রস্তুতি।
-
যদিও বড় কোনো যুদ্ধ সংঘটিত হয়নি, তবুও এটি ইসলামী ইতিহাসে অসাধারণ ত্যাগ, ধৈর্য ও ঈমানের পরীক্ষা হিসেবে স্মরণীয় হয়ে আছে।

0
Updated: 21 hours ago
‘দেবতাভীতি হতে মুক্ত হতে না পারলে মানবজাতি কখনো স্বাধীন হতে পারে না' এটা কার উক্তি?
Created: 22 hours ago
A
এরিস্টটল
B
জর্জ বার্নার্ড শ
C
ইপিকিউরাস
D
ইবনে সিনা
ইপিকিউরাস ছিলেন প্রাচীন গ্রিক চিন্তাধারার একজন বিশিষ্ট দার্শনিক, যিনি মানবজীবনের প্রকৃত সুখকে ভয় ও কুসংস্কারমুক্ত মানসিক শান্তিতে খুঁজে পেয়েছিলেন। তাঁর চিন্তায় মুক্তি মানে ছিল আত্মিক প্রশান্তি ও বুদ্ধিবৃত্তিক স্বচ্ছতা অর্জন করা।
১. উক্তি — “দেবতাভীতি হতে মুক্ত হতে না পারলে মানবজাতি কখনো স্বাধীন হতে পারে না।” — এর মাধ্যমে তিনি মানুষকে অযৌক্তিক ভয় ও ধর্মীয় কুসংস্কার থেকে মুক্তির আহ্বান জানান।
২. ইপিকিউরাস (খ্রিষ্টপূর্ব ৩৪১–২৭০) ছিলেন একজন প্রাচীন গ্রিক দার্শনিক।
৩. তিনি “Epicureanism” নামের দর্শনধারার প্রবর্তক, যার মূল ভিত্তি হলো আনন্দ ও মানসিক প্রশান্তি (Ataraxia)।
৪. তাঁর মতে, প্রকৃত সুখ আসে দেবতা, মৃত্যু ও অজানার ভয় থেকে মুক্তি লাভের মাধ্যমে।
৫. তিনি বিশ্বাস করতেন যে, মানুষ যদি যুক্তি ও জ্ঞানের দ্বারা জীবন পরিচালনা করে, তবে ভয়, কুসংস্কার ও দুঃখ থেকে মুক্তি সম্ভব।
৬. ইপিকিউরাসের দর্শন পরবর্তীতে পাশ্চাত্য চিন্তাধারায় নৈতিকতা, আত্মসংযম ও সুখবাদ (Hedonism) সম্পর্কে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে।

0
Updated: 22 hours ago
মক্কাবাসী হযরত খাদিজা (রাঃ) কে কি নামে অভিহিত করতো?
Created: 22 hours ago
A
সালেহা
B
আবিদা
C
সাদিকা
D
তাহিরা
হযরত খাদিজা (রাঃ) ছিলেন ইসলামের ইতিহাসে একজন মহীয়সী নারী, যিনি তাঁর চরিত্র, নৈতিকতা ও পবিত্র জীবনের জন্য সর্বজনবিদিত। মক্কার মানুষ তাঁর এই গুণাবলির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা পোষণ করত এবং তাই তাঁকে বিশেষ উপাধিতে ভূষিত করেছিল।
১. মক্কাবাসীরা তাঁকে “তাহিরা” নামে অভিহিত করত, যার অর্থ “পবিত্র” বা “পুণ্যবতী”।
২. তিনি ব্যবসা-বাণিজ্যে অত্যন্ত সততা ও ন্যায়পরায়ণতা বজায় রাখতেন, যা তাঁর সুনাম বৃদ্ধি করে।
৩. তাঁর বিশ্বস্ততা ও ভদ্রতা সমাজে তাঁকে মর্যাদার উচ্চ আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছিল।
৪. নবুওয়াতের পূর্বেই তিনি তাঁর নৈতিকতা ও আদর্শ আচরণ দ্বারা মক্কার অন্যান্য নারীদের থেকে আলাদা হয়ে ওঠেন।
৫. ইসলাম গ্রহণের পর তিনি প্রথমেই নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সমর্থন দেন এবং তাঁর পাশে দৃঢ়ভাবে দাঁড়ান।
৬. তাঁর চরিত্র মুসলিম সমাজে নারীর মর্যাদা, পবিত্রতা ও আদর্শ জীবনের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

0
Updated: 22 hours ago