ত্রিত্ববাদে বিশ্বাসী কারা?
A
খ্রিস্টান
B
ইহুদী
C
বৌদ্ধ
D
হিন্দু
উত্তরের বিবরণ
ত্রিত্ববাদ অনুসারে খ্রিস্টান ধর্মে ঈশ্বর এক হলেও তাঁর অস্তিত্ব প্রকাশ পেয়েছে তিনটি ভিন্ন রূপে। এই তিনটি রূপ হলো ঈশ্বর পিতা, ঈশ্বর পুত্র (যিশু খ্রিস্ট) এবং পবিত্র আত্মা।
এই মতবাদ অনুযায়ী,
-
প্রত্যেকটি সত্তা স্বতন্ত্র হলেও তারা একই ঐশ্বরিক প্রকৃতির অংশ।
-
ঈশ্বর পিতা সৃষ্টিকর্তা ও সর্বশক্তিমান হিসেবে বিবেচিত।
-
ঈশ্বর পুত্র মানবজাতির মুক্তির জন্য অবতার রূপে পৃথিবীতে আগমন করেন।
-
পবিত্র আত্মা ঈশ্বরের কার্য সম্পাদন ও বিশ্বাসীদের পরিচালনার প্রতীক।
-
তিনজনের মধ্যে কোনো শ্রেষ্ঠত্ব বা অধমতা নেই; তারা একসঙ্গে এক ঈশ্বর হিসেবে পূজিত।

0
Updated: 22 hours ago
যাতুন নিকাতাইন কার উপাধি?
Created: 22 hours ago
A
হযরত যয়নব (রাঃ)
B
হযরত আসমা (রাঃ)
C
হযরত আয়েশা (রাঃ)
D
হযরত সুমাইয়া (রাঃ)
‘যাতুন নিকাতাইন’ উপাধিটি প্রদান করা হয়েছিল হযরত আসমা বিনতে আবু বকর (রা.)-কে। তিনি ছিলেন ইসলামের প্রাথমিক যুগের সাহসী ও নিবেদিতপ্রাণ নারী।
-
মদিনায় হিজরতের সময় তিনি রাসূলুল্লাহ (সা.) এবং আবু বকর (রা.)-এর জন্য খাবার বহন করেন।
-
খাবার রাখার দুটি বস্তার মুখ বাঁধার জন্য তিনি নিজের কোমরবন্ধনী (নিকাত) ছিঁড়ে দুই ভাগে ভাগ করেন।
-
এই ত্যাগ ও বুদ্ধিমত্তার কারণে রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁকে ‘যাতুন নিকাতাইন’ উপাধি দেন, যার অর্থ ‘দুই কোমরবন্ধনীওয়ালা নারী’।
-
তাঁর এই কাজ ইসলামী ইতিহাসে ত্যাগ, বুদ্ধি ও সাহসিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে স্মরণীয়।

0
Updated: 22 hours ago
আল বিরুনীর সবচেয়ে বড় গবেষণার ক্ষেত্র কী ছিল?
Created: 22 hours ago
A
গনিত
B
রসায়ন
C
ভূগোল ও জ্যোতির্বিদ্যা
D
চিকিৎসা বিদ্যা
আল-বিরুনি ছিলেন মধ্যযুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী, যিনি মূলত ভূগোল ও জ্যোতির্বিদ্যা নিয়ে গভীর গবেষণা করেছেন। তিনি পৃথিবীর আকৃতি, পরিধি ও ব্যাসার্ধ নির্ণয়ে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেন এবং তাঁর গণনাগুলো আধুনিক বিজ্ঞানের কাছেও বিস্ময়করভাবে নির্ভুল বলে স্বীকৃত।
-
তিনি পৃথিবীকে গোলাকার ও নিজ অক্ষে ঘূর্ণনশীল বলে যৌক্তিকভাবে প্রমাণ করেছিলেন।
-
তাঁর গবেষণায় পৃথিবীর পরিধি ও ব্যাসার্ধের নির্ধারণ ছিল অত্যন্ত নিখুঁত।
-
নক্ষত্র, সূর্য ও চন্দ্রের গতি ও অবস্থান নিরূপণ, সময় পরিমাপ ও জ্যোতির্বিদ্যাগত পর্যবেক্ষণে তিনি বিশেষ পারদর্শিতা দেখান।
-
তিনি “আল-কানুন আল-মাসউদি” নামক গ্রন্থে ভূগোল, জ্যোতির্বিদ্যা ও গণিতের বহু তথ্য সংকলন করেন।
-
ভারত ভ্রমণের সময় তিনি “তাহকিক মা লি-ল-হিন্দ” গ্রন্থে ভারতীয় সংস্কৃতি, ভূগোল ও জ্যোতির্বিদ্যার বর্ণনা দেন।
-
তাঁর গবেষণার ফলাফল ইউরোপীয় বিজ্ঞান বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

0
Updated: 22 hours ago
'মাইসির' অর্থ কী?
Created: 1 day ago
A
সুদ
B
ঘুষ
C
জুয়া
D
মদ
‘মাইসির’ বা জুয়া ইসলামে এক ধরনের নিষিদ্ধ আর্থিক ও নৈতিক অনাচার, যা পরিশ্রম ছাড়া সম্পদ অর্জনের প্রবণতাকে বোঝায়। এটি সমাজে অন্যায়ভাবে সম্পদ হস্তান্তর ও বৈরিতা সৃষ্টি করে।
-
‘মাইসির’ (مَيْسِر) শব্দের অর্থ জুয়া বা ভাগ্যনির্ভর খেলা, যেখানে লাভ-ক্ষতি সম্পূর্ণভাবে ভাগ্যের ওপর নির্ভরশীল।
-
এটি এসেছে আরবি ধাতু يَسَرَ থেকে, যার অর্থ সহজলাভ বা পরিশ্রম ছাড়া কিছু পাওয়া।
-
ইসলামী পরিভাষায় মাইসির এমন লেনদেন বা খেলাকে বোঝায়, যেখানে একজন লাভবান হয় এবং অন্যজন ক্ষতিগ্রস্ত হয়— অর্থাৎ অন্যের ক্ষতির বিনিময়ে নিজের লাভ।
-
আল-কুরআনে মাইসিরকে নিষিদ্ধ ও শয়তানের কাজ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে, কারণ এটি মানুষের মধ্যে বিরোধ, শত্রুতা ও নৈতিক অবক্ষয় সৃষ্টি করে।
-
ইসলামী দৃষ্টিতে বৈধ সম্পদ অর্জনের উপায় হলো পরিশ্রম, ন্যায়সঙ্গত বাণিজ্য ও হালাল শ্রম, ভাগ্যনির্ভর খেলা নয়।

0
Updated: 1 day ago