হিজরতের পর ইসলামের প্রথম সৃষ্ট সামাজিক বন্ধন কী নামে পরিচিত?
A
মুয়াখাত (ভাই ভাই)
B
আখলাকী বন্ধন
C
মদিনা সনদ
D
বৈমাত্রেয় ভাই
উত্তরের বিবরণ
হিজরতের পর ইসলামি সমাজে একটি নতুন সামাজিক কাঠামো প্রতিষ্ঠিত হয়, যার মূল ভিত্তি ছিল মুহাজির ও আনসারদের ভ্রাতৃত্ব বা মুখাওয়াত। রাসুলুল্লাহ (সা.) মদিনায় আগমনের পর মক্কার মুহাজির ও মদিনার আনসারদের মধ্যে এই ভ্রাতৃত্ব স্থাপন করেন, যা মুসলমানদের পারস্পরিক ঐক্য, সহানুভূতি ও সহযোগিতার দৃষ্টান্ত তৈরি করে।
-
মুখাওয়াত ছিল ইসলামের প্রথম সামাজিক বন্ধন, যা সমাজে ভ্রাতৃত্ব ও সমতার ভিত্তি স্থাপন করে।
-
মদিনার আনসাররা মুহাজিরদের সহায়তা ও আশ্রয় দেন, ফলে তারা অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারেন।
-
এই বন্ধনের মাধ্যমে মুসলিম সমাজে পারস্পরিক সহমর্মিতা ও ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
এটি পরবর্তীতে ইসলামি সমাজব্যবস্থার একটি মূল নীতি হিসেবে গণ্য হয়, যেখানে মুসলমানরা একে অপরের ভাই হিসেবে বিবেচিত।
-
মুখাওয়াতের মাধ্যমে ইসলামী সমাজে জাতি, বংশ ও শ্রেণিবৈষম্য বিলুপ্ত হয়ে মানবিক মূল্যবোধের বিকাশ ঘটে।

0
Updated: 22 hours ago
স্বামী ও স্ত্রী সম্পর্কে কুরআনে কিসের সাথে তুলনা করা হয়েছে?
Created: 1 day ago
A
মনের সাথে
B
দেহের সাথে
C
পোশাকের সাথে
D
ফুলের বাগানের সাথে
এই আয়াতে স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক সম্পর্কের গভীরতা ও পরিপূর্ণতা অত্যন্ত সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এখানে তাদের সম্পর্ককে ‘লিবাস’ (পোশাক) এর সঙ্গে তুলনা করে একে অপরের পরিপূরক ও রক্ষাকবচ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
-
সূরা আল-বাকারা (২:১৮৭)-এ আল্লাহ বলেন, “তোমরা পরস্পরের জন্য পোশাক।”
-
পোশাক যেমন মানবদেহকে আচ্ছাদিত, রক্ষিত ও শোভিত করে, তেমনি স্বামী ও স্ত্রীও একে অপরের সম্মান, মর্যাদা ও গোপনীয়তা রক্ষা করেন।
-
এটি বোঝায় যে, দাম্পত্য সম্পর্কের মধ্যে ভালোবাসা, পারস্পরিক শ্রদ্ধা, মানসিক প্রশান্তি ও নিরাপত্তা বিদ্যমান থাকা উচিত।
-
স্বামী-স্ত্রী উভয়েই একে অপরের দোষ-ত্রুটি আড়াল করে, যেমন পোশাক দেহের ত্রুটি ঢেকে রাখে।
-
এই উপমা ইসলামী দৃষ্টিতে বিবাহকে শুধু সামাজিক বন্ধন নয় বরং আত্মিক ও নৈতিক পরিপূর্ণতার সম্পর্ক হিসেবে উপস্থাপন করে।

0
Updated: 1 day ago
বিবাহ বৈধ হওয়ার জন্য সর্বনিম্ন কতজন সাক্ষী প্রয়োজন?
Created: 22 hours ago
A
দুইজন পুরুষ ও দুইজন নারী
B
দুইজন পুরুষ অথবা একজন পুরুষ ও দুইজন নারী
C
একজন পুরুষ ও একজন নারী
D
একজন পুরুষ ও তিন জন নারী
বিবাহের আকদ বা চুক্তি ইসলামী শরীয়তের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক, যেখানে সাক্ষীর উপস্থিতি অপরিহার্য। কুরআনের নির্দেশ অনুযায়ী, সাক্ষী হিসেবে দুজন পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুজন নারী থাকা আবশ্যক। এতে চুক্তির স্বচ্ছতা, নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়।
-
সূত্র: সুরা আল-বাকারা, আয়াত ২৮২—এ আয়াতে সাক্ষীর সংখ্যা ও শর্ত স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে।
-
বিয়ের সময় সাক্ষীরা প্রস্তাব (ইজাব) ও কবুল (কবুল) উভয় বক্তব্য শুনে উপস্থিত থাকতে হবে।
-
সাক্ষী হতে হবে বিশ্বাসযোগ্য ও স্বাধীন ব্যক্তি, যাতে পরবর্তীতে কোনো বিভ্রান্তি বা অস্বীকারের সুযোগ না থাকে।
-
ইসলামে সাক্ষীর উপস্থিতি বিবাহের বৈধতা ও সামাজিক স্বীকৃতি নিশ্চিত করার একটি মূল শর্ত।
-
এই নিয়মের মাধ্যমে সমাজে ন্যায়বিচার ও পারিবারিক শৃঙ্খলা বজায় থাকে এবং বিবাহ সম্পর্কের সুরক্ষা নিশ্চিত হয়।

0
Updated: 22 hours ago
বিবাহের রোকন কী?
Created: 1 day ago
A
দুইজন সাক্ষী
B
উভয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া
C
ইজাব কবুল
D
গণ্যমান্য মেহমান উপস্থিত থাকা
ইসলামে বিবাহ একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি, যা নির্দিষ্ট শর্ত ও নিয়মের মাধ্যমে সম্পাদিত হয়। এর মূল ভিত্তি বা রুকন হলো ‘ইজাব ও কবুল’, অর্থাৎ প্রস্তাব ও গ্রহণ।
-
ইজাব বলতে বোঝায় কনের অভিভাবক বা প্রতিনিধির পক্ষ থেকে বিয়ের প্রস্তাব প্রদান।
-
কবুল হলো বরের পক্ষ থেকে সেই প্রস্তাব গ্রহণ করা, যা বিবাহের বৈধতা নিশ্চিত করে।
-
এই প্রক্রিয়াটি অবশ্যই দুজন প্রাপ্তবয়স্ক সাক্ষীর উপস্থিতিতে সম্পন্ন হতে হবে, যাতে বিবাহ প্রকাশ্য ও স্বীকৃত হয়।
-
ইজাব ও কবুল স্পষ্ট ও সম্মতভাবে উচ্চারণ করা জরুরি, যাতে কোনো পক্ষের অনিচ্ছা না থাকে।
-
এই বিধান ইসলামে ন্যায়, সম্মতি ও সামাজিক স্বচ্ছতার ভিত্তিতে বিবাহ প্রতিষ্ঠার প্রতীক।

0
Updated: 1 day ago