মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি থেকে প্রথমে কী পরিশোধ করতে হয়?
A
দাফন কাপড়ের খরচ
B
উত্তরাধিকারীর প্রাপ্য অধিকার
C
ঋণ পরিশোধ
D
প্রতিবন্ধী কন্যা সন্তানের খরচ
উত্তরের বিবরণ
ইসলামী আইনে মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি বণ্টনের আগে কিছু নির্দিষ্ট দায়িত্ব পালন করা বাধ্যতামূলক। প্রথমেই মৃত ব্যক্তির দাফন-কাফনের সব খরচ তার সম্পত্তি থেকেই পরিশোধ করতে হয়। এরপর বাকি সম্পদ থেকে অন্যান্য বিষয়গুলো সম্পন্ন করা হয়।
১. দাফন-কাফনের খরচ প্রথমে পরিশোধ করতে হয়, কারণ এটি মৃত ব্যক্তির প্রতি সমাজ ও পরিবারের ধর্মীয় দায়িত্ব।
২. এরপর যদি ঋণ থাকে, তবে সেই ঋণ পরিশোধ করতে হয়।
৩. ঋণ পরিশোধের পর মৃত ব্যক্তি যদি কোনো ওসিয়ত করে যান, তা সম্পত্তির এক-তৃতীয়াংশ সীমার মধ্যে পূরণ করা হয়।
৪. উপরোক্ত সব দায়িত্ব পালন শেষে অবশিষ্ট সম্পত্তি উত্তরাধিকারীদের মধ্যে শরিয়াহ অনুযায়ী বণ্টন করা হয়।
৫. এ নিয়মের মাধ্যমে ইসলামী আইন সম্পদের ন্যায্য ব্যবহার ও সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে।

0
Updated: 22 hours ago
‘আমার সুন্নাত' বলে রাসুল (সাঃ) একটি আমলের দিকে নির্দেশ করেছেন সেটি কী?
Created: 22 hours ago
A
ব্যবসা করা
B
রাষ্ট্র পরিচালনা করা
C
মসজিদের ইমামতি করা
D
বিবাহ করা
রাসূলুল্লাহ (সা.) বিবাহের গুরুত্ব অত্যন্ত স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, “যে বিবাহ করেছে, সে তার ঈমানের অর্ধেক পূর্ণ করেছে।” অর্থাৎ বিবাহ মানুষের চরিত্র ও আত্মসংযমকে রক্ষা করে, যা ঈমানের পরিপূর্ণতার অংশ। অন্য হাদীসে তিনি আরও বলেন, “বিবাহ করা আমার সুন্নাত।” এ নির্দেশনার মাধ্যমে তিনি মুসলমানদের বিবাহকে ধর্মীয় ও সামাজিক দায়িত্ব হিসেবে গ্রহণ করতে উৎসাহিত করেছেন।
-
বিবাহ মানুষকে অশ্লীলতা ও পাপ থেকে রক্ষা করে, তাই একে ঈমানের অর্ধেক বলা হয়েছে।
-
এটি ইসলামী সমাজে নৈতিকতা, পরিবারব্যবস্থা ও সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখে।
-
রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর এই নির্দেশ মুসলমানদের জন্য জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত হিসেবে বিবেচিত।
-
বিবাহের মাধ্যমে মানুষ আল্লাহভীতির বাস্তব প্রকাশ ঘটাতে পারে, কারণ এটি দায়িত্বশীলতা ও আত্মসংযম শেখায়।
-
ইসলামে বিবাহ কেবল দাম্পত্য সম্পর্ক নয়, বরং এটি আধ্যাত্মিক ও সামাজিক ভারসাম্যের প্রতীক।

0
Updated: 22 hours ago
হাদিস বর্ণনাকারীর ধারাবাহিকতাকে কী বলে?
Created: 21 hours ago
A
সনদ
B
মতন
C
রেওয়ায়ত
D
দেরায়ত
হাদীস বর্ণনার ধারাবাহিকতাকে সনদ (سند) বলা হয়, যা হাদীস বিজ্ঞানের একটি মৌলিক উপাদান। এটি হাদীসের বিশ্বাসযোগ্যতা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
সনদ হলো হাদীস বর্ণনার সূত্র বা পরম্পরা, যা নবী করিম (সঃ) থেকে শুরু হয়ে একের পর এক বর্ণনাকারীর মাধ্যমে সংকলক পর্যন্ত পৌঁছায়।
-
প্রত্যেক বর্ণনাকারীর বিশ্বাসযোগ্যতা, স্মৃতি ও সততা যাচাই করে সনদের মান নির্ধারণ করা হয়।
-
সনদ বিশ্লেষণের মাধ্যমে জানা যায়, একটি হাদীস সহীহ, হাসান, দাঈফ বা মওযু কোন শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্ত।
-
ইসলামী বিদ্যায় এটি এমন এক বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি, যা ইতিহাসে জ্ঞান সংরক্ষণের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ব্যবস্থা হিসেবে স্বীকৃত।
-
সুতরাং, সনদ হাদীস বিজ্ঞানে বিশ্বাসযোগ্যতা ও প্রামাণিকতার মূল ভিত্তি।

0
Updated: 21 hours ago
মদিনায় গিয়ে রাসুল (সাঃ) সর্বপ্রথম কার মেহমান হন?
Created: 21 hours ago
A
আবু আইয়ুব আনসারী (রাঃ)
B
আব্দুর রাহমান বিন আউফ (রাঃ)
C
আবু জার গিফারী (রাঃ)
D
মুসআব ইবনু উমাইর
মদিনায় হিজরতের পর নবী করিম (সা.) যখন সেখানে পৌঁছান, তখন তিনি সর্বপ্রথম হযরত আবু আইয়ুব আনসারী (রা.)-এর ঘরে মেহমান হন। তিনি ছিলেন নবীর প্রতি অতুলনীয় ভালোবাসা ও আতিথেয়তার উদাহরণ।
-
তাঁর আসল নাম ছিল খালেদ ইবনে জায়েদ ইবনে কুলাইব।
-
নবী (সা.)-এর আগমনে মদিনার লোকেরা নিজেদের ঘরে তাঁকে আতিথ্য দেওয়ার অনুরোধ করলেও, উটের থামার স্থানে নবী (সা.) থাকার সিদ্ধান্ত নেন, আর সেটিই ছিল আবু আইয়ুব (রা.)-এর বাড়ি।
-
নবী (সা.) কিছু দিন তাঁর ঘরের নিচতলায় অবস্থান করেন এবং ইসলামী সমাজ গঠনের ভিত্তি স্থাপন শুরু করেন।
-
হযরত আবু আইয়ুব আনসারী (রা.) পরবর্তীতে জিহাদে অংশগ্রহণ ও ইসলামের প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
-
তাঁর মাজার বর্তমানে ইস্তানবুলে (তুরস্ক) অবস্থিত এবং এটি মুসলমানদের জন্য এক ঐতিহাসিক স্মৃতিচিহ্ন।

0
Updated: 21 hours ago