কোন্ যুদ্ধে অধিক সংখ্যক হাফিজে কুরআন শহীদ হয়?
A
খন্দকের যুদ্ধে
B
হুনাইনের যুদ্ধে
C
তাবুকের যুদ্ধে
D
ইয়ামামার যুদ্ধে
উত্তরের বিবরণ
ইয়ামামার যুদ্ধ ছিল ইসলামের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক যুদ্ধ, যেখানে অসংখ্য সাহাবি শাহাদাত বরণ করেন। এই যুদ্ধে ভণ্ড নবী মুসাইলিমা কজ্জাবের অনুসারীদের বিরুদ্ধে মুসলমানরা লড়াই করেছিলেন।
-
এই যুদ্ধে প্রায় ৭০ জন হাফেজে কুরআন শাহাদাত বরণ করেন।
-
এত অধিক সংখ্যক হাফেজের শাহাদতের কারণে কুরআন হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়।
-
ফলে খলিফা আবু বকর (রা.) সাহাবিদের পরামর্শে কুরআন সংকলনের নির্দেশ দেন।
-
এই সংকলনের দায়িত্ব পালন করেন হজরত যায়েদ ইবন সাবিত (রা.), যিনি নবী করিম (সা.)-এর ওহি লেখক ছিলেন।
-
ইয়ামামার যুদ্ধের এই ঘটনা কুরআন সংরক্ষণের ইতিহাসে একটি মোড় ঘোরানো ঘটনা হিসেবে বিবেচিত।

0
Updated: 22 hours ago
অ্যালজেব্রা শব্দটি প্রথমত কার নিকট থেকে এসেছে?
Created: 1 day ago
A
আল বিরুনী
B
আল কিন্দি
C
আল খাওয়ারিজমি
D
আল ফারাবী
মুহাম্মাদ বিন মুসা আল খাওয়ারিজমি ছিলেন মধ্যযুগীয় ইসলামী বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ পণ্ডিত, যিনি গণিত, জ্যোতির্বিজ্ঞান ও ভূগোলে অসাধারণ অবদান রেখেছিলেন। তাঁর কাজ পরবর্তীতে ইউরোপীয় বিজ্ঞান ও গণিতের বিকাশে গভীর প্রভাব ফেলে।
১. তিনি ৭৮০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে ফার্স অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন এবং প্রায় ৮৫০ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন।
২. তিনি বাগদাদের বায়তুল হিকমা (House of Wisdom)-এ কাজ করতেন, যা ছিল তৎকালীন জ্ঞানের কেন্দ্র।
৩. তাঁর অন্যতম বিখ্যাত গ্রন্থ “আল-কিতাব আল-মুখতাসার ফি হিসাব আল-জাবর ওয়াল-মুকাবালা”, যেখান থেকে ‘Algebra’ শব্দটির উৎপত্তি।
৪. ‘Algorithm’ শব্দটি তাঁর নাম ‘Al-Khwarizmi’-এর লাতিন রূপ ‘Algorismi’ থেকে এসেছে।
৫. তিনি হিন্দু-আরবিক সংখ্যা পদ্ধতি ইউরোপে পরিচিত করার ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন।
৬. তাঁর জ্যোতির্বিজ্ঞান বিষয়ক কাজগুলোতে পৃথিবীর পরিধি ও জ্যোতির্বিদ্যাগত পর্যবেক্ষণ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অন্তর্ভুক্ত ছিল।
৭. ভূগোলবিদ হিসেবেও তিনি বিশ্ব মানচিত্রের সংশোধিত সংস্করণ তৈরি করেন, যা পরবর্তী কালে ইউরোপীয় মানচিত্রবিদদের জন্য ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

0
Updated: 1 day ago
আমর বিল্ মারুফ ও নাহী আনিল মুনকার এর আসল উদ্দেশ্য কী?
Created: 22 hours ago
A
সমাজে সৎ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা
B
ভাল কাজে সহায়তা ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখা
C
যুদ্ধ করা
D
সেবা করা
‘আমর বিল্ মারুফ ও নাহী আনিল মুনকার’ অর্থাৎ সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজ থেকে নিষেধ — এটি ইসলামী সমাজব্যবস্থার একটি মৌলিক নীতি। এর মূল উদ্দেশ্য হলো এমন একটি সমাজ প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে সৎ কাজ উৎসাহিত হয় এবং অসৎ কাজ নিরুৎসাহিত হয়। এটি কেবল ব্যক্তিগত নৈতিকতার বিষয় নয়; বরং এটি সামাজিক, ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব।
-
এর মাধ্যমে সমাজে সৎ নেতৃত্ব ও ন্যায়ভিত্তিক প্রশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়।
-
ইসলামে প্রত্যেক মুসলমানকে সাধ্যমতো ভালো কাজের নির্দেশ ও মন্দ কাজের প্রতিবাদ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
-
কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে (যেমন সুরা আলে ইমরান, আয়াত ১০৪ ও ১১০) এই নীতির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
-
নবী করিম (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি অন্যায় দেখেও তা পরিবর্তনের চেষ্টা করে না, তার ঈমান দুর্বল।
-
এই নীতি সমাজকে নৈতিক অবক্ষয় থেকে রক্ষা করে এবং ইসলামী আদর্শে গঠিত একটি সুবিচারপূর্ণ সমাজ নিশ্চিত করে।

0
Updated: 22 hours ago
হযরত আবু সুফিয়ান কখন ইসলাম গ্রহণ করেন?
Created: 1 day ago
A
হুদাইবিয়ার সন্ধির সময়
B
মক্কা বিজয়ের সময়
C
উহুদের যুদ্ধের সময়
D
খন্দকের যুদ্ধের সময়
৬৩০ খ্রিষ্টাব্দে মক্কা বিজয়ের পূর্ব মুহূর্তে আবু সুফিয়ান ইসলাম গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন, যা ইসলামী ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে বিবেচিত। দীর্ঘ সময় তিনি ইসলামের বিরোধিতা করলেও শেষ পর্যন্ত সত্য গ্রহণ করেন।
১. তাঁর পূর্ণ নাম ছিল আবু সুফিয়ান ইবন হারব, এবং তিনি কুরাইশ গোত্রের প্রধান নেতা ছিলেন।
২. তিনি ছিলেন রাসুল (সা.)-এর চাচাতো ভাই ও দুধ ভাই, অর্থাৎ পারিবারিকভাবে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কযুক্ত।
৩. ইসলামের প্রারম্ভিক সময়ে তিনি মুসলমানদের অন্যতম প্রবল বিরোধী ও যুদ্ধনেতা ছিলেন।
৪. তিনি উহুদ ও খন্দকের যুদ্ধসহ বহু যুদ্ধে কুরাইশ বাহিনীকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
৫. মক্কা বিজয়ের প্রাক্কালে রাসুল (সা.)-এর সাথে সাক্ষাতের পর তিনি ইসলামের সত্যতা উপলব্ধি করে ইসলাম গ্রহণ করেন।
৬. ইসলাম গ্রহণের পর তিনি মুসলমানদের মধ্যে সম্মানজনক স্থান লাভ করেন এবং পরবর্তীতে মুয়াবিয়া (রা.)-এর পিতা হিসেবে মুসলিম ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
৭. তাঁর ইসলাম গ্রহণ মক্কাবাসীর মনোভাব পরিবর্তনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে এবং মক্কা বিজয়কে শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সাহায্য করে।

0
Updated: 1 day ago