কোনটি মারসুপিয়াল প্রানী নয়?
A
কোরাল
B
অপোসাম
C
ক্যাঙ্গারু
D
প্লাটিপাস
উত্তরের বিবরণ
উ. ঘ) প্লাটিপাস
-
মার্সুপিয়াল (Marsupial) হলো Infraclass Marsupialia-এর অন্তর্ভুক্ত স্তন্যপায়ী প্রাণীর একটি দল, যাদের বাচ্চা অত্যন্ত অপরিণত অবস্থায় জন্মগ্রহণ করে।
-
জন্মের পর বাচ্চাটি মায়ের পেটের থলির ভিতরে (marsupium) অবস্থান করে এবং স্তনবৃন্তে লেগে থেকে বিকাশ সম্পূর্ণ করে।
-
মার্সুপিয়াল প্রাণীর উদাহরণ: ক্যাঙ্গারু (Kangaroo), ওয়ালাবি (Wallaby), ওমব্যাট (Wombat), অপোসাম (Opossum), কোয়ালা (Koala), ট্যাসোম্যানিয়ান ডেভিল (Tasmanian Devil)।
-
অন্যদিকে কোরাল (Coral) কোনো স্তন্যপায়ী প্রাণী নয়; এটি Cnidaria পর্বের একটি জলজ অমেরুদণ্ডী প্রাণী, যা ক্যালসিয়াম কার্বোনেট (CaCO₃) নিঃসরণ করে প্রবাল প্রাচীর তৈরি করে।
-
প্লাটিপাস (Platypus) হলো মনোট্রিম (Monotreme) শ্রেণির স্তন্যপায়ী প্রাণী, যারা ডিম পাড়ে, জীবন্ত বাচ্চা জন্ম দেয় না এবং থলিধারী নয়, তাই এটি মার্সুপিয়াল নয়।

0
Updated: 1 day ago
কুমীরের বৈশিষ্ট্য নয় কোনটি?
Created: 13 hours ago
A
শীতল রক্তবিশিস্ট
B
ডিমপাড়া প্রানী
C
শক্তিশালী চোয়াল
D
সর্বভুক ও নিশাচর
কুমির হলো শক্তিশালী ও আধা-জলজ সরীসৃপ, যার প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো শক্তিশালী চোয়াল, পুরু আঁশযুক্ত ত্বক এবং জল ও স্থলে সমানভাবে বসবাসের ক্ষমতা। এদের চোখ, কান ও নাকের ছিদ্র এমনভাবে অবস্থান করে যে দেহের বেশিরভাগ অংশ জলে ডুবে থাকলেও শ্বাস নেওয়া ও শিকার পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হয়।
-
চোয়াল: কুমিরের চোয়াল অত্যন্ত শক্তিশালী ও শঙ্কু-আকৃতির দাঁতে পরিপূর্ণ। চোয়াল খোলার পেশী তুলনামূলক দুর্বল হলেও বন্ধ করার পেশী খুব শক্তিশালী, যা শিকার ধরতে সহায়ক।
-
ত্বক: দেহের ত্বক পুরু, শক্ত এবং আঁশযুক্ত, যা সুরক্ষা প্রদান করে।
-
লেজ: এদের লম্বা ও শক্তিশালী লেজ সাঁতার ও শিকার ধরতে সাহায্য করে।
-
পা: কুমিরের ছোট পা ও নখরযুক্ত আঙুল থাকে; পায়ের মধ্যে জালযুক্ত ত্বক থাকার কারণে সহজে সাঁতার কাটতে পারে।
-
শ্বাস-প্রশ্বাস: চোখ, কান ও নাকের ছিদ্র জলের উপরে থাকে, ফলে দেহ ডুবিয়ে রেখেও তারা দেখতে, শুনতে ও শ্বাস নিতে পারে।
আচরণ ও জীবনযাত্রা:
-
আবাসস্থল: কুমির উষ্ণ জলবায়ু পছন্দ করে এবং জল ও স্থল উভয় পরিবেশে বসবাস করে।
-
খাদ্য: এরা মাংসাশী, সাধারণত মাছ, পাখি ও ছোট স্তন্যপায়ী প্রাণী খায়; বড় কুমির গৃহপালিত পশু বা মানুষকেও আক্রমণ করতে পারে।
-
প্রজনন: স্ত্রী কুমির বালি বা মাটিতে ডিম পাড়ে।
-
জীবনকাল: সাধারণ কুমির প্রায় ৩০–৪০ বছর বাঁচে, তবে লবণ পানির কুমির ৬০–৭০ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে।
বিশেষ বৈশিষ্ট্য:
-
কুমিরের চার-কক্ষবিশিষ্ট হৃদপিণ্ড থাকে, যা অন্যান্য সরীসৃপের তুলনায় উন্নত।
-
এদের দাঁত হাড়ে প্রোথিত, যা স্তন্যপায়ী প্রাণীর বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।

0
Updated: 13 hours ago
বাংলাদেশ কোন প্রানী ভৌগলিক অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত?
Created: 13 hours ago
A
Neotropical
B
Oriental
C
Palearctic
D
South-Asian
বাংলাদেশ প্রাণিভৌগোলিকভাবে ওরিয়েন্টাল অঞ্চল বা প্রাচ্য অঞ্চল-এর অন্তর্ভুক্ত, যা পৃথিবীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জীবভূগোলিক অঞ্চল। এই অঞ্চলটি প্রধানত উপউষ্ণমণ্ডলীয় আবহাওয়া ও বৈচিত্র্যময় বাস্তুতন্ত্র দ্বারা চিহ্নিত।
-
অবস্থান ও প্রকৃতি: ওরিয়েন্টাল অঞ্চল দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি অংশ, যেখানে বনাঞ্চল, প্লাবনভূমি, জলাভূমি ও পাহাড়ি অঞ্চলসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক পরিবেশ বিদ্যমান।
-
প্রাণিবৈচিত্র্য: বাংলাদেশে এই অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী বহু প্রজাতির প্রাণী, যেমন—স্তন্যপায়ী, পাখি, সরীসৃপ, উভচর ও মাছের বৈচিত্র্য দেখা যায়।
-
অভিযোজন: এখানকার প্রাণীরা স্থানীয় পরিবেশ ও জলবায়ুর সাথে অভিযোজিত, যেমন বনাঞ্চলে বাঘ ও হরিণ, জলাভূমিতে কুমির ও মাছ প্রভৃতি।
-
ফলে বাংলাদেশ ওরিয়েন্টাল অঞ্চলের একটি জীববৈচিত্র্যসমৃদ্ধ অংশ, যেখানে প্রাকৃতিক বাস্তুসংস্থান ও প্রাণিকুলের মধ্যে নিবিড় পারস্পরিক সম্পর্ক বিদ্যমান।

0
Updated: 13 hours ago
কোন প্রাণীতে লিউকোনয়ড ধরণের নালীতন্ত্র দেখা যায়?
Created: 12 hours ago
A
Scypha
B
Spongilla
C
Leucosolenia
D
Sycon
লিউকোনয়ড (Leuconoid) ধরনের নালিতন্ত্র হলো পরিফেরা (Porifera) পর্বের প্রাণীদের মধ্যে সর্বাধিক জটিল জল চলাচল ব্যবস্থা, যা বিশেষভাবে স্পঞ্জে দেখা যায়। এই তন্ত্র স্পঞ্জের দেহে জল প্রবাহের মাধ্যমে খাদ্যগ্রহণ, রেচন ও গ্যাসের আদান-প্রদান নিশ্চিত করে।
-
পরিফেরা পর্ব: এই পর্বের প্রাণীরা ছিদ্রযুক্ত দেহ বিশিষ্ট এবং তাদের দেহের মধ্য দিয়ে জল প্রবাহিত হয়ে অক্সিজেন সরবরাহ, খাদ্য গ্রহণ ও বর্জ্য অপসারণে সহায়তা করে।
-
লিউকোনয়ড নালিতন্ত্র: এটি স্পঞ্জের সবচেয়ে উন্নত নালিতন্ত্র, যেখানে অসংখ্য ক্ষুদ্র নালি (canals) ও কয়ানোসাইট কোষ দ্বারা আবৃত ছোট ছোট গহ্বর (flagellated chambers) থাকে।
-
জল চলাচল প্রক্রিয়া:
-
জল অস্টিয়া (Ostia) নামক ছোট ছিদ্র দিয়ে দেহে প্রবেশ করে।
-
পরে তা ছোট নালির মাধ্যমে কয়ানোসাইট গহ্বর দিয়ে প্রবাহিত হয়, যেখানে খাদ্য কণাগুলো ধরা পড়ে।
-
পরিশেষে জল অ্যাস্কুলাম (Osculum) নামক বড় ছিদ্রপথ দিয়ে দেহ থেকে বেরিয়ে যায়।
-
-
উদাহরণ: মিঠা পানির স্পঞ্জে লিউকোনয়ড নালিতন্ত্র বিদ্যমান, যা এদের দেহে জটিল জল চলাচলের পথ তৈরি করে।

0
Updated: 12 hours ago